একের পর এক দেশে নিষিদ্ধ হচ্ছে বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স
প্রকাশ: ১৩ মার্চ ২০১৯, ১৮:৫৭ | আপডেট : ১৩ মার্চ ২০১৯, ১৮:৫৯
যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স বিমান ওঠা-নামা একের পর এক দেশে নিষিদ্ধ হচ্ছে। গত রোববার ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সের এই মডেলের একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ১৫৭ জন আরোহীর সবাই মারা যাওয়ার পর বোয়িংয়ের এই মডেলের নিরাপত্তা নিয়ে বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ তৈরি হয়।
বেশ কয়েকটি দেশ তাদের আকাশ সীমায় এই বিমানের উড়াল বা তাদের বিমান বন্দরে ওঠা-নামা সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করেছে। সিঙ্গাপুর, চীন, মালয়েশিয়া এবং অস্ট্রেলিয়ার পর সর্বশেষ এই সিদ্ধান্ত এসেছে ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানির কাছ থেকে। বাংলাদেশেও এ বিমান নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
ব্রিটেনের বেসামরিক বিমান কর্তৃপক্ষ (সিএএ) এক বিবৃতিতে বলেছে, বিধ্বস্ত ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার থেকে এখনো কোনো তথ্য জানা যায়নি। ফলে, আপাতত ব্রিটেনের আকাশ সীমায় বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স নিষিদ্ধ থাকবে।
ব্রিটেনের বিমান চালকরা এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। ব্রিটেনে বোয়িং কোম্পানির এই মডেলের বিমানের সার্ভিস চালায় দুটো এয়ারলাইন্স- টুই এবং নরওয়েজিয়ান এয়ারলাইন্স।
সিএএ বলেছে, বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স বিমানে ব্রিটেনে ফেরার কথা রয়েছে যে সব যাত্রীর, তাদের অন্য কোনো বিমানে করে ফিরতে হবে।
অবশ্য নরওয়েজিয়ান এয়ারলাইন্স ইতিমধ্যেই তাদের ৭৩৭ ম্যাক্স বিমানগুলো আপাতত না ওড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যাত্রীদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছে এই কোম্পানি।
বোয়িংয়ের সফল ৭৩৭ বিমানের সর্বশেষ মডেলটি হচ্ছে ম্যাক্স (৭, ৮, ৯ এবং ১০)। এ বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত বোয়িং বিভিন্ন ধরনের ৫,০১১ টি ম্যাক্স বিমানের অর্ডার পেয়েছে। এখন পর্যন্ত সরবরাহ করেছে ৩৫০টি।
রোববার ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সের যে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে সেটি ৭৩৭ ম্যাক্স ৮ মডেল। বোয়িংয়ের কাছ থেকে এরকম ৩০টি বিমান কেনার চুক্তি করেছে ইথিওপিয়ার এই বিমান সংস্থা।
গত বছর অক্টোবরে ইন্দোনেশিয়ার লায়ন এয়ারের যে বিমানটি সাগরে বিধ্বস্ত হয়েছিল সেটিও ছিল ৭৩৭ ম্যাক্স। পাঁচ মাসের মধ্যে এই মডেলের আরো একটি বিমান বিধ্বস্ত হওয়ায় বিশ্বজুড়ে এর নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ অবশ্য বলছে, বোয়িংয়ের এই মডেল নিরাপদ নয়-এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনো আসেনি। সূত্র: বিবিসি বাংলা।
এবিএন/মমিন/জসিম