আজকের শিরোনাম :

ব্রিটিশ নাগরিকত্ব হারাচ্ছেন আইএসে যোগ দেয়া শামিমা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১২:২৩ | আপডেট : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৩:১৪

ব্রিটিশ নাগরিকত্ব হারাতে যাচ্ছেন আইএসে যোগ দেয়া বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত শামিমা বেগম। ২০১৫ সালে মাত্র ১৫ বছর বয়সে ইসলামিক স্টেটে (আইএস) যোগ দিতে সিরিয়ায় পাড়ি জমান তিনি।

ব্রিটেনের হোয়াইট হলের তরফ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ১৯ বছর বয়সী শামিমা বেগমের নাগরিকত্ব বাতিল করা হবে। তবে ১৮ বছর পার হওয়ায় অন্য দেশের নাগরিকত্ব গ্রহণ করতে পারবেন শামিমা।

শামিমার পারিবারিক আইনজীবী তাসনিম আকুঞ্জে জানিয়েছেন, তারা ব্রিটেনের এমন পদক্ষেপে হতাশ হয়েছেন। এমন পদক্ষেপের বিরুদ্ধে সব ধরনের আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।

সম্প্রতি দেশে ফেরার আকুতি জানিয়েছিলেন শামিমা। আইএসে যোগ দেয়া নিয়ে অনুতপ্ত নন বরং তিনি তার সন্তানের জন্যই দেশে ফিরতে চান। তবে সিরিয়ার একটি আশ্রয় শিবিরে জন্ম হওয়ায় তার ছেলে সন্তানের নাগরিকত্ব কি হবে তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।

এদিকে শামিমার সন্তানের নাগরিকত্বের বিষয়ে ব্রিটিশ সরকারের মন্ত্রী জেরেমি রাইট বলেছেন, শামিমা বেগমের সন্তানের নাগরিকত্ব সোজাসাপ্টা কোনো বিষয় নয়। তাকে তার কর্মকাণ্ডের জবাবদিহি করতে হবে। সে যদি এ দেশে ফিরে আসতে পারেও তাকে বুঝতে হবে সে যা করেছে তার জন্য তাকে জবাব দিতে হবে।

গত সপ্তাহে শামিমা বেগমকে সিরিয়ার একটি আশ্রয় শিবিরে খুঁজে পাওয়া যায়। আইএসের সর্বশেষ ঘাঁটি বাঘুজ থেকে পালিয়ে তিনি ওই শিবিরে আশ্রয় নেন। সেখানেই তার ছেলে সন্তানের জন্ম হয়।

সিরিয়ায় গিয়ে শামিমা বেগম নেদারল্যান্ডস থেকে আসা একজন আইএস যোদ্ধাকে বিয়ে করেছিলেন। ওই যোদ্ধা অন্য ধর্ম থেকে ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন। মাত্র ১৫ বছর বয়সে পূর্ব লন্ডনের বেথনাল গ্রিন এলাকা থেকে আরও দুজন বান্ধবীসহ শামীমা বেগম আইএসে যোগ দিতে সিরিয়ায় পালিয়ে গিয়েছিলেন। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত হলেও বাংলাদেশের পাসপোর্ট নেই শামিমা বেগমের। তিনি কখনো বাংলাদেশেও আসেননি।

শামিমা বেগমের সন্তানের নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন করা হলে এটা বলা যায় যে, কোন ব্রিটিশ বাবা-মায়ের ব্রিটেনের নাগরিকত্ব বাতিল হওয়ার আগে সন্তান জন্মালে সে ব্রিটেনের নাগরিক বলেই গণ্য হবে। তবে এই শিশুটিরও নাগরিকত্ব বাতিল করতে পারে যুক্তরাজ্য।

শামিমা বেগম আইএসে যোগ দেয়ায় তার দেশে ফেরা নিয়ে ব্রিটেনে ব্যাপক বিতর্ক চলছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক সময়ে ব্রিটেন এবং এখানে বসবাসকারী লোকজনের নিরাপত্তা এবং সুরক্ষার বিষয়টিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

তিনি বলেন, নির্দিষ্ট কারো বিষয়ে কোন মন্তব্য করেনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে বিভিন্ন তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতেই যে কারো নাগরিকত্ব বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এটি হালকাভাবে দেখার কোনো সুযোগ নেই।

এবিএন/সাদিক/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ