সৌদি যুবরাজের জন্য পাকিস্তানের লালগালিচা
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৩:৪০
পাকিস্তানের অর্থ সংকট এখন চরমে। বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ কমতে কমতে মাত্র ৮০০ কোটি ডলারে এসে দাঁড়িয়েছে। বাজেট ঘাটতি বেড়েছে চলেছে। বিদেশি সাহায্যের এতটা প্রয়োজন সাম্প্রতিক সময়ে কখনই হয়নি পাকিস্তানের।
এই সংকটের মধ্যে রবিবার পাকিস্তান সফরে আসছেন ক্ষমতাধর সৌদি যুবরাজ মোহামেদ বিন সালমান, যিনি এমবিএস নামেও পরিচিত। তাকে খুশি করতে যতটা মেহমানদারি সম্ভব সব কিছুরই আয়োজন করেছেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
ইসলামাবাদে বিবিসির আবিদ হুসেইন বলছেন, কারণ খুব সহজ তার টাকা চাই, অনেক টাকা এবং সেটা চাই খুব দ্রুত।
এবং ইঙ্গিত রয়েছে, এমবিএস পাকিস্তানকে কয়েকশ কোটি ডলারের প্রতিশ্রুতি দেবেন। অবশ্য সৌদি-পাকিস্তান সম্পর্কের গভীরতা শুধু টাকা দিয়ে বিচার্য নয়।
এমবিএসের সফর উপলক্ষে পাকিস্তানে এবার যে তোড়জোড় তেমনটি শেষবার দেখা গিয়েছিল যখন ২০০৬ সালে তৎকালীন সৌদি বাদশাহ আব্দুল্লাহ বিন আব্দুল আজিজ এসেছিলেন।
ইমরান খান নিজে বলেন, নিরাপত্তার দিকটি তিনি নিজে দেখছেন। সফরটি এমন সময় হচ্ছে যখন ভারত-শাসিত কাশ্মীরে একটি সন্ত্রাসী হামলার পরিপ্রেক্ষিতে দুই দেশের সম্পর্কে নতুন করে চরম উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।
রবিবার যখন এমবিএসের বিমান পাকিস্তানের আকাশ সীমায় পৌঁছুবে, পাকিস্তান বিমান বাহিনীর যুদ্ধবিমান পাহারা দিয়ে ইসলামাবাদে আনবে। সে সময় অন্য সমস্ত বিমান চলাচল স্থগিত থাকবে।
যুবরাজ সালমানের সফর সঙ্গীর সংখ্যা এক হাজার। তাদের জন্য ইসলামাবাদের ৫ তারকার হোটেলে প্রায় সব রুম বুক। ৩০০ টয়োটা ল্যান্ডক্রজার গাড়ির ব্যবস্থা করা হয়েছ
সৌদি যুবরাজ থাকবেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে। এ সম্মান এর আগে আর কোনো বিদেশি অতিথি কখনই পাননি।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের সময় হাজার হাজার পায়রা একসাথে আকাশে ছাড়া হবে।
যুবরাজ সালমানের সফরের ঠিক কদিন আগে এসেছিলেন আবুধাবির যুবরাজ মোহামেদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান। সে সময় সংযুক্ত আরব আমিরাত পাকিস্তানকে ৬০০ কোটি ডলার সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল পত্রিকা বলছে, মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশ থেকে পাকিস্তান ৩০০০ কোটি ডলার সাহায্য পাওয়ার আশা করছে।
সৌদি যুবরাজ কোথায় কোথায় বিনিয়োগ বা সাহায্যের প্রস্তাব দেবেন, তা নিশ্চিত নয়, তবে বন্দর নগরী গাদারে ৮০০ কোটি ডলারের নতুন একটি তেল শোধনাগারে সৌদি বিনিয়োগ আশা করছে পাকিস্তান।
চীন এবং পাকিস্তানের মধ্যে এখন যে ৬০০০ কোটি ডলারের ব্যবসা হচ্ছে, তার জন্য গাদার বন্ধর খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চীনা সাহায্যের সাথে এত বেশি শর্ত জোড়া থাকে যে তা নিয়ে পাকিস্তানের সরকার সবসময় দোটানায় থাকে।
খবর বিবিসি এবিএন/সাদিক/জসিম
খবর বিবিসি এবিএন/সাদিক/জসিম
এই বিভাগের আরো সংবাদ