আজকের শিরোনাম :

যুক্তরাষ্ট্রে দশক ধরে চেতনাহীন রোগীর সন্তান জন্মদানে হৈচৈ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৯ জানুয়ারি ২০১৯, ১১:২২

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক কেয়ার হোমে এক দশকেরও বেশি সময় চেতনাহীন অবস্থায় থাকা এক রোগীর বাচ্চা হওয়ার পর এ নিয়ে শুরু হয়েছে প্রবল হৈচৈ। এ ঘটনার জেরে ওই কেয়ার হোমটি পরিচালনা করে যে কোম্পানি তার প্রধান নির্বাহী পদত্যাগ করেছেন। 

যৌন নিপীড়নের অভিযোগ পুলিশ একটি তদন্ত শুরু করেছে।

ঘটনাটি ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যের ফিনিক্স শহরের কাছে। সেখানে হাসিয়েন্দা হেলথ কেয়ারের একটি ক্লিনিকে ওই নারী এক দশকেরও বেশি সময় ধরে চেতনাহীন অবস্থায় ছিলেন এবং তাকে সার্বক্ষণিক সেবা দিতে হতো। কিন্তু ওই নারী গত ২৯ ডিসেম্বরে একটি সন্তান জন্মদান করেন। রোগীর পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।

সেখানকার স্থানীয় এক চ্যানেল কেএইচ-ও টিভি তার সংবাদে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সূত্রকে উদ্ধৃত করে বলেছে, ‘আমি যেটা শুনছি তা হলো, হঠাৎ করেই ওই রোগী গোঙাতে থাকেন। এবং কেউ বুঝতে পারছিলেন যে তিনি কেন গোঙাচ্ছিলেন। বাচ্চার জন্ম হওয়ার আগ পর্যন্তও স্টাফদের মধ্যে কেউ বুঝতেই পারেননি যে নারী অন্তঃসত্ত্বা।’

কেয়ার হোমের মালিক কোম্পানির নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট গ্যারি অরম্যান বলেন, ‘এ ভয়াবহ ঘটনার পুরোটা না জানা পর্যন্ত আমরা থেমে থাকব না।’

নিউইয়র্ক টাইমস খবর দিচ্ছে যে, ওই কেয়ার হোম সম্পর্কে কিছু নতুন অভিযোগ পাওয়া গেছে।

অভিযোগে বলা হচ্ছে, ‘ভিজিটেটভি স্টেটে’ থাকা এসব জ্ঞানহীন রোগীদের পোশাক পরিবর্তন বা তাদের গোসল করানো সময় তাদের নগ্ন করে রাখা হতো এবং কোন ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষা করা হতো না। এ ঘটনায় ফিনিক্স পুলিশের একজন মুখপাত্র বিস্তারিত তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানান এবং বলেন যে এ ঘটনা নিয়ে তাদের তদন্ত চলছে।

ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর কেয়ার হোমের কিছু নিয়মকানুনে পরিবর্তন আনা হয়েছে।

এখন কেয়ার হোম কর্মী কোনো নারী রোগীর ঘুর ঢুকতে চাইলে তাকে একজন নারী সহকর্মীকে সঙ্গে রাখতে হবে।

কেয়ার হোম কর্তৃপক্ষ বলছে, তারা পুলিশের তদন্তের সাথে পরিপূর্ণভাবে সহযোগিতা করছে।

হাসিয়েন্দা হেলথ কেয়ার তার ওয়েবসাইটে বলে থাকে, কঠিন অসুখে পড়া রোগী, এবং দুর্বল নারী, শিশু, টিনএজার ও তরুণদের তারা সেবা দিয়ে থাকে।
খবর বিবিসি

এবিএন/সাদিক/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ