আজকের শিরোনাম :

বাংলাদেশ ভবন উভয় দেশের সাংস্কৃতিক বিনিময়ের প্রতীক: মোদি

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৬ মে ২০১৮, ০০:৩৫ | আপডেট : ২৬ মে ২০১৮, ০২:১০

ঢাকা, ২৬ মে, এবিনিউজ : ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, শান্তি নিকেতনে বাংলাদেশ ভবন বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সাংস্কৃতিক সম্পর্কের প্রতীক হয়ে থাকবে।

তিনি বলেন, অনেক বাধা সত্ত্বেও বাংলাদেশ ও ভারতের জনগণের বিশেষ করে যুব সমাজের আকাঙ্খা পূরণে একসঙ্গে এগিয়ে চলার প্রচুর সুযোগ রয়েছে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী শুক্রবার শান্তি নিকেতনে বাংলাদেশ ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় এ কথা বলেন।

এসময় তিনি বলেন, প্রযুক্তি, বিজ্ঞান ও আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাফল্যে আপনার মত ভারতীয় জনগণও সমানভাবে খুশি।বাংলাদেশ ভবন দুই দেশের শিল্পকলা, ভাষা, ইতিহাস ও শিক্ষা বিষয়ক অধ্যয়ন ও গবেষণা এবং সাংস্কৃতিক বিনিময়ে কেন্দ্রে পরিণত হবে।

বাংলাদেশ ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে ধন্যবাদ জানিয়ে মোদি বলেন, গত কয়েক বছরে বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্কের স্বর্ণযুগ রচিত হচ্ছে। এ সময়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার স্থল সীমানার মত জটিল সমস্যা সমাধান হয়েছে, যা একসময় অসম্ভব বলে মনে করা হত।

‘আমাদের সামনে এক ধ্রুব সত্য এসেছে, তা হলো প্রগতি, সমৃদ্ধি, শান্তি ও ঐক্যের জন্য দরকার ভারত এবং বাংলাদেশের বন্ধুত্ব। পারস্পরিক সহযোগিতা। এ সহযোগিতার বিকাশ কেবল দুই পক্ষের কারণেই হয়েছে তা নয়, বিমসটেকের মতো একটি প্লাটফর্মও আমাদের সহযোগিতা, প্রগতি ও সংযোগকে এগিয়ে নিয়ে গেছে,- যোগ করেন মোদী।

উপকূলীয় অঞ্চলে নৌ চলাচল ও যোগাযোগে দুই দেশের সহযোগিতার কথা উল্লেখ করে মোদি বলেন, ভারত বাংলাদেশের ২০২১ সালের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সবরকম সহযোগিতা করছে।

কক্ষপথে বাংলাদেশের প্রথম উপগ্রহ উৎক্ষেপণের প্রশংসা করে মোদি বলেন, এই সাফল্যের ফলে এ অঞ্চলে বাংলাদেশের সঙ্গে মহাকাশ প্রযুক্তিতে সহযোগিতার নতুন সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের এই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক অন্যান্য দেশের জন্য একটি শিক্ষা ও অনুপ্রেরণার বিষয়।

বাংলাদেশ ভবন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ-ভারত ছিটমহল বিনিময়ের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, ভারতের পার্লামেন্টে ভারতের প্রতিটি দলের সংসদ সদস্যরা মিলে, দল-মত নির্বিশেষে এক হয়ে স্থল সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নের বিলটি পাস করে দিলো। অনেক দেশে ছিটমহল বিনিময় নিয়ে যুদ্ধ বেধে আছে। কিন্তু ভারত-বাংলাদেশে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে, শান্তিপূর্ণভাবে ভ্রাতৃত্ববোধ নিয়ে, আনন্দঘন পরিবেশে আমরা ছিটমহল বিনিময় করেছি। সত্যি কথা বলতে কি, আমি এতো আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েছিলাম, চোখের পানি ধরে রাখতে পারিনি। মনে হয়েছিলো একাত্তর সালে যেভাবে আমরা ভারতের কাছ থেকে সহযোগিতা পেয়েছিলাম, আবার একবার দেখলাম, ঠিকই আমাদের প্রতিবেশী আমাদের বড় বন্ধু পাশে দাঁড়াল।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে নিতে সে দেশের ওপর চাপ অব্যাহত রাখতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আপনারা জানেন, ১১ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশের মাটিতে আশ্রয় নিয়েছে, মানবিক কারণে আমরা আশ্রয় দিয়েছি। তারা দ্রুত তাদের নিজ দেশে ফিরে যাক- আমরা সেটাই চাই। এজন্য মিয়ানমারকে সবাই চাপ দিন, চাপ অব্যাহত রাখুন।

এবিএন/জনি/জসিম/জেডি

এই বিভাগের আরো সংবাদ