থেরেসা মেকে ‘স্টুপিড নারী’ বলার অভিযোগ নাকচ করবিনর
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২০ ডিসেম্বর ২০১৮, ১২:১৮
ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মের প্রশ্নোত্তর পর্ব চলার সময় লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন তাকে ‘স্টুপিড নারী’ বলেছেন দাবি করে ক্ষমা চাওয়ার দাবি তুলেছেন কনজারভেটিভ এমপিরা।
তবে করবিন বলছেন, তিনি এ রকম কোনো শব্দ বলেননি। বরং তিনি বলেছেন, ‘স্টুপিড পিপল’।
যৌন ইঙ্গিতপূর্ণ বা নারীদের প্রতি বিদ্রূপমূলক ভাষা ব্যবহারের তিনি সবসময়েই বিরোধী বলে জানাছেন করবিন।
এই অভিযোগ ওঠার পর হাউস অব কমন্সের স্পিকার জন বারকো বলছেন, ঘটনাটি তিনি দেখতে পাননি এবং সব এমপিকে বক্তব্যের ভিত্তিতে গ্রহণ করা উচিত।
তবে কনজারভেটিভ এমপিরা বলছেন, তারা করবিনের ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট নন এবং তার ক্ষমা চাওয়ার দাবি তুলেছেন।
কমন্সে দেয়া বক্তব্যেকরবিন বলেছেন, আজ প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর পর্ব চলার সময় আমি তাদের কথাই বলছিলাম, যারা দেশের এই সংকট নিয়ে চলা একটি বিতর্ককে কৌতুকে পরিণত করতে চাইছে, তাদেরই আমি ‘স্টুপিড পিপল’ বলেছি। স্পিকার, আমি প্রধানমন্ত্রী বা অন্য কাউকে উদ্দেশ করে ‘স্টুপিড উইমেনের’ মতো শব্দ ব্যবহার করিনি।
তবে তার এ বক্তব্যের জবাবে কনজারভেটিভ এমপি র্যাচেল ম্যাকলিন বলছেন, ‘ঠোঁটের ভাষা পড়ে দেখুন, আমি তাকে (করবিনকে) বিশ্বাস করি না।’
অভিযোগটি ওঠার পর হাউস অব কমন্সের স্পিকার জন বারকো বলেছেন, করবিনের বিরুদ্ধে যে আচরণের অভিযোগ তোলা হয়েছে, তিনি সেই ভিডিও পরীক্ষা করে দেখেছেন, যেখানে মাইক্রোফোনে কোনো শব্দ আসেনি এবং সেটা দেখে সহজেই বুঝতে পারা যায় যে, কেন বিরোধী নেতার শব্দকে ‘স্টুপিড ওম্যান’ হিসাবেও বর্ণনা করা যায়।
আদালতে যারা ঠোঁটের ভাষা অনুবাদের কাজ করেন, এমন একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়েছেন স্পিকার। তাকে ওই ভিডিওটি দেখানো হয়েছে, তবে এখনো কোনো উপসংহারে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি।
যেভাবে এ ঘটনার শুরু
থেরেসা মের বেক্সিট চুক্তি নিয়ে জেরেমি করবিনের সঙ্গে প্রথম সংঘাত শুরু হয় গত সপ্তাহ থেকে, যখন ভোটাভুটি পিছিয়ে দেয়াকে স্বার্থপর কৌশল বলে মন্তব্য করে মিসেস মেকে ‘ব্যর্থ প্রধানমন্ত্রী’ বলে অভিহিত করেছিলেন জেরেমি করবিন। এর পাল্টা আঘাত করতে গিয়ে মে বলেন, তিনি (জেরেমি করবিন) তার প্রতিশ্রুত অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপন করেননি এবং এর পর যা করেছেন তাও অকার্যকর। ‘আজি জানি এটা হচ্ছে কৌতুক-নাট্যের সময়....’এমপিদের তিনি বলেন, ‘তিনি কি অনাস্থা ভোট আনবেন? ওহ, তিনি আনবেন’ আবার পেছনের টোরি এমপিদের দিকে তাকিয়ে তিনি বলেন, ‘ওহ না, তিনি আনবেন না।’ তখন তিনি লেবার নেতার দিকে তাকিয়ে বলেন, ‘আপনার পেছনে তাকিয়ে দেখুন, তারা আপনার কাজে মুগ্ধ নন এবং দেশের লোকজনও নয়।’ এ সময় জেরেমি করবিনকে নিশ্বাস ফেলার সঙ্গে কিছু একটা বলতে দেখা যায়। এই অভিযোগের বিষয়ে টোরি এমপি পল স্কুলি মের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, হাউজের প্রত্যেক সদস্যের, বিশেষ করে যখন নারীদের ভোটাধিকারের শতবর্ষ উদযাপিত হচ্ছে, তখন সবার নারীদের রাজনীতিতে আসাকে উৎসাহিত করা উচিত এবং যথাযথ ভাষা ব্যবহার করা উচিত।’ প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর পর্বের পরেও এই বিতণ্ডা চলতে থাকে এবং বেশ কয়েকজন নারী কনজারভেটিভ এমপি তার ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানাতে থাকেন।
খবর বিবিসি এবিএন/সাদিক/জসিম
থেরেসা মের বেক্সিট চুক্তি নিয়ে জেরেমি করবিনের সঙ্গে প্রথম সংঘাত শুরু হয় গত সপ্তাহ থেকে, যখন ভোটাভুটি পিছিয়ে দেয়াকে স্বার্থপর কৌশল বলে মন্তব্য করে মিসেস মেকে ‘ব্যর্থ প্রধানমন্ত্রী’ বলে অভিহিত করেছিলেন জেরেমি করবিন। এর পাল্টা আঘাত করতে গিয়ে মে বলেন, তিনি (জেরেমি করবিন) তার প্রতিশ্রুত অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপন করেননি এবং এর পর যা করেছেন তাও অকার্যকর। ‘আজি জানি এটা হচ্ছে কৌতুক-নাট্যের সময়....’এমপিদের তিনি বলেন, ‘তিনি কি অনাস্থা ভোট আনবেন? ওহ, তিনি আনবেন’ আবার পেছনের টোরি এমপিদের দিকে তাকিয়ে তিনি বলেন, ‘ওহ না, তিনি আনবেন না।’ তখন তিনি লেবার নেতার দিকে তাকিয়ে বলেন, ‘আপনার পেছনে তাকিয়ে দেখুন, তারা আপনার কাজে মুগ্ধ নন এবং দেশের লোকজনও নয়।’ এ সময় জেরেমি করবিনকে নিশ্বাস ফেলার সঙ্গে কিছু একটা বলতে দেখা যায়। এই অভিযোগের বিষয়ে টোরি এমপি পল স্কুলি মের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, হাউজের প্রত্যেক সদস্যের, বিশেষ করে যখন নারীদের ভোটাধিকারের শতবর্ষ উদযাপিত হচ্ছে, তখন সবার নারীদের রাজনীতিতে আসাকে উৎসাহিত করা উচিত এবং যথাযথ ভাষা ব্যবহার করা উচিত।’ প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর পর্বের পরেও এই বিতণ্ডা চলতে থাকে এবং বেশ কয়েকজন নারী কনজারভেটিভ এমপি তার ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানাতে থাকেন।
খবর বিবিসি এবিএন/সাদিক/জসিম
এই বিভাগের আরো সংবাদ