আজকের শিরোনাম :

‘পুরুষবিহীন’ উৎসবে পুরুষদের বৈষম্যের অভিযোগ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২০ ডিসেম্বর ২০১৮, ১২:০৯

বৈষম্যবিরোধী রাষ্ট্র হিসেবে সুইডেনের বেশ সুনাম রয়েছে। সেখানে সম্প্রতি পুরুষদের প্রতি বৈষম্যের অভিযোগ উঠেছে ‘স্টেটমেন্ট ফেস্টিভ্যাল’ নামের একটি উৎসবের আয়োজকদের বিরুদ্ধে।

এই উৎসবটি আয়োজন করা হয়েছিল শুধু নারী, তৃতীয় লিঙ্গ ও লিঙ্গ পরিচয়হীন ব্যক্তিদের জন্য। এটিকে রীতিমতো ‘পুরুষবিহীন’ উৎসব বলে ঘোষণা দিয়ে এর আয়োজন করেছিলেন উদ্যোক্তারা, যেখানে দর্শক অথবা শিল্পী কোনভাবেই পুরুষদের অংশগ্রহণ নিষেধ ছিল।

এই অুনষ্ঠানের উদ্যোক্তা সুইডিশ কমেডিয়ান এমা ক্নিকার। গত বছর সুইডেনের সবচাইতে বড় সংগীত উৎসবে নারীদের ব্যাপকহারে যৌন হামলা ও হেনস্থার ঘটনা ঘটেছিল। নারীদের ওপর সেই যৌন হেনস্থার ঘটনার প্রতিবাদ হিসেবে এমন আয়োজন করা হয়েছিল। তবে অনুষ্ঠান আয়োজনের পেছনে যেসব প্রযুক্তি বিষয়ক কাজ-কর্ম ছিল সেখানে পুরুষদেরও নেয়া হয়।

কিন্তু সুইডেনে বৈষম্যবিরোধী সরকারি সংস্থা ‘ডিসক্রিমিনেশন ওমবুডসম্যান’ এই অনুষ্ঠানের আয়োজকদের পুরুষদের প্রতি বৈষম্যের জন্য দোষী সাব্যস্ত বলে রায় দিয়েছে। 

সংস্থাটি বলছে, উৎসবটিকে ‘পুরুষবিহীন’ হিসেবে ঘোষণা দেয়া দেশটির বৈষম্যবিরোধী আইনের পরিপন্থী।

তবে দোষী সাব্যস্ত হলেও কোনো শাস্তি হচ্ছে না আয়োজকদের।

আয়োজকরা অবশ্য বলছেন তারা ‘পৃথিবীকে বদলে দিতে এতটাই ব্যস্ত যে ওমবুডসম্যানের প্রতি উত্তর দেয়ার সময় তাদের নেই।’ 

তাদের মতে, ‘এ উৎসবের সফলতাই প্রমাণ করে যে এ ধরনের কিছুই আমাদের দরকার।’

দুই দিনব্যাপী ‘পুরুষবিহীন’ উৎসবটি শুধু নারী, তৃতীয় লিঙ্গ ও লিঙ্গ পরিচয় বিহীন ব্যক্তিদের জন্য বিশ্বের প্রথম কোনো উৎসব।

কেন পুরুষ বিহীন উৎসব-তার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে এমা ক্লিকার বলেন, ‘নারীদের জন্য নিরাপদ একটি আয়োজন করতে চেয়েছি আমরা। যেখানে মেয়েরা বারবার ঘাড়ের পেছনে না তাকিয়ে কোনো উদ্বেগ ছাড়া আনন্দ করতে পারবে।’

কিন্তু তিনি একইসঙ্গে এ-ও মনে করেন যে, আলাদা উৎসব আয়োজন কোন সমাধান হতে পারে না। সে কারণে তিনি বলেছেন, ‘পুরুষবিহীন’ উৎসবটি মাত্র একবারের জন্যই আয়োজন করতে চান, ‘আশা করি ভবিষ্যতে এমন আয়োজন যেন আর চালিয়ে যেতে না হয়।’

যে সংগীত উৎসবের প্রতিবাদে এই উৎসবের আয়োজন সেই সংগীত উৎসবটি অবশ্য এবছর বাতিল করার হয়েছে। সেটির আয়োজকরা বলেছেন, ‘কিছু পুরুষ নিজেদের আচরণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। এটা লজ্জার বিষয়। তাই আমরা ২০১৮ সালের উৎসব বাতিল করছি।’
খবর বিবিসি

এবিএন/সাদিক/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ