আজকের শিরোনাম :

পিরামিডে ‘নগ্ন ভিডিও চিত্র’ নিয়ে বিতর্ক

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০১৮, ১১:৪৭

মিসরের পিরামিডে আরোহণ করে ডেনিশ এক জুটি নগ্ন হয়ে ছবি তোলার অভিযোগ ওঠার পর সে বিষয়ে তদন্ত করছে মিসরের কর্তৃপক্ষ। 

এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর কথিত এ ঘটনাটির খবর রক্ষণশীল মুসলিম প্রধান দেশটিতে অসন্তোষের সৃষ্টি করেছে।

কৌঁসুলিরা এখন এ ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করে দেখবেন। যদি ভিডিওটি আসল হয়ে থাকে, তা হলে ওই জুটি ৪৬০ ফুট উঁচু অবকাঠামোতে উঠতে সক্ষম হয়েছে- রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদপত্র আল-আহরাম এমনই রিপোর্ট করেছে।

কর্মকর্তারা প্রাথমিকভাবে মনে করছেন, ফুটেজ অবশ্যই ভুয়া।

মিসরের পুরাতত্ত্ববিষয়ক মন্ত্রী পার্লামেন্ট সদস্যদের বলেছেন যে, প্রসিকিউটররা অনুসন্ধান কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন এবং নিশ্চিত হতে চাইছেন আসলেই ডেনিশ ওই জুটি গিজার বিখ্যাত পিরামিডে গিয়ে ‘আসলেই অশ্লীল পর্নোগ্রাফিক ভিডিও চিত্রায়িত করেছে কি-না’।

আল-আহরাম সংবাদপত্র মন্ত্রী খালেদ আল-আনানির উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, ভিডিওটি আসল নাকি ভুয়া সে বিষয়ে স্থির সিদ্ধান্তে পৌঁছতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে এবং কোন কর্মকর্তাকে দোষী মনে হলে তাকেও বিচারের মুখোমুখি করতে বলা হয়েছে।

তিনি আরও বলেছেন, পিরামিডে বেয়ে ওঠা বা আরোহণ ‘কঠোরভাবে নিষিদ্ধ’ ছিল। এ ধরনের ছবি তোলাকে তিনি ‘জনসাধারণের নৈতিকতার লঙ্ঘন’ বলে অভিহিত করেন।

সম্পাদনা (এডিট) করে বানানো তিন মিনিটের ভিডিওটি ইউটিউবে আপলোড করেন ডেনিশ ফটোগ্রাফার আন্দ্রেয়াস এইচভিড। ভিডিওতে দেখা যায়, একজন নারী একটি পিরামিডে আরোহণ করছেন যেটাকে তিনি বলছেন গিজার সবচেয়ে সবচেয়ে উঁচু পিরামিড। সেখানে ওই জুটির একটি ছবিও রয়েছে যেখানে দেখা যায় ৪ হাজার ৫০০শ বছরের পুরনো পিরামিডের চুড়ায় তারা পাশাপাশি দাঁড়িয়ে আছেন, নারীটির মুখের অংশ ঝাপসা করে দেয়া হয়েছে।

চূড়ান্ত শটে দেখানো হয় ওই নারীকে, তার পেছনের দিকে অংশ দেখানো হয় আর সে কায়রোর আকাশসীমার দিকে তাকিয়ে, তার গায়ের পোশাক খুলে ফেলে।

ওই ফটোগ্রাফার এই জুটির আরও একটি ছবি পোস্ট করে যেখানে তাদের প্রকাশ্যে দিনের আলোতে পিরামিডের ওপরে নগ্ন হয়ে শুয়ে থাকতে দেখা যায় ।

ইউটিউব পোস্টে এইচভিড বলেছেন, গত নভেম্বর মাসের ঘটনা। আমি এবং এক বন্ধু পিরামিডের ভেতরে প্রবেশ করি। অনেক নিরাপত্তা রক্ষী দেখে ভয় পেয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ছবি না তুলে গিজার আশপাশে ঘুরে কাটিয়েছি। দৈত্যাকৃতির এ অবকাঠামোতে চড়ার স্বপ্ন তিনি অনেক বছর ধরে দেখে আসছি। বহু মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠায় আমি দুঃখিত। কিন্তু একইসঙ্গে আমি মিসরীয়সহ বহু মানুষের কাছ থেকে কিছু ইতিবাচক প্রতিক্রিয়াও পেয়েছি-যাকে আমি মনে করি মূল্যবান স্মৃতি ।’

১৯৮০-এর দশকে মিসরে পিরামিডে ওঠার চেষ্টা চালানোর সময় অনেক পর্যটক মারা যাওয়ার পর থেকে এতে আরোহণ নিষিদ্ধ করা হয়। তবে কিছু আইন ভঙ্গকারী সেটা কখনই মেনে নিতে পারেনি।

এবিএন/সাদিক/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ