আজকের শিরোনাম :

নরওয়ের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় যৌন নিপীড়নের ঘটনা ফাঁস

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২২ নভেম্বর ২০১৮, ১৩:৩৬

নরওয়ের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় যৌন কেলেঙ্কারির ঘটনা ফাঁস করেছে দেশটির পুলিশ।

যার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে তিনি একজন ফুটবল রেফারি। ২৬ বছর বয়সী এ ব্যক্তি ৩ শতাধিক কিশোরকে যৌন হেনস্থা করেছেন। কয়েক বছর ধরে তার বিরুদ্ধে তদন্ত করে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।

আইনজীবীদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য মতে, মূলত ইন্টারনেটকে ব্যবহার করে এ ব্যক্তি নরওয়ে, সুইডেন ও ডেনমার্কের কিশোরদের টার্গেট করতেন।

তবে অনেক কিশোর অভিযুক্ত সেই ব্যক্তির সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাৎও করেছে।

নরওয়ে থেকে প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদন অনুযায়ী, অভিযুক্ত এই ব্যক্তি মেয়ে সেজে বিভিন্ন চ্যাটিং ফোরামে ছেলেদের সঙ্গে কথা বলত। মেয়ে সেজে কখনো সে নাম নিতে স্যান্ড্রা কখনো হেনরিয়েটা।

ফোরামে কথা বলার মাধ্যমে সে প্রথমে ছেলেদের বিশ্বাস অর্জন করত। তার পর সেই ছেলেদের প্ররোচিত করত নিজেদের নগ্ন ছবি ও ভিডিও পাঠাতে।

স্থানীয় পত্রিকাগুলো জানাচ্ছে, নগ্ন ছবি ও ভিডিও পাঠানোর জন্য সে কখনো কখনো এ কিশোরদের অর্থের প্রলোভনও দেখাত। কিন্তু এসব কিশোর স্যান্ড্রা বা হেনরিয়েটা নামে এ ছদ্মব্যক্তির কাছ একবার যেই না নগ্ন ছবি ও ভিডিও পাঠিয়েছে তাকেই সে জিম্মি করে ফেলেছে।

নগ্ন ছবি ফাঁস করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে কিশোরদের ‘ব্ল্যাকমেইল’ বা জিম্মি করে এ ব্যক্তি তখন আরও নগ্ন ছবি ও ভিডিও আদায় করেছে।

নরওয়ের সরকারি কৌঁসুলি জানিয়েছেন, অভিযুক্ত এ ব্যক্তি ১৬ হাজারের বেশি ভিডিও সংগ্রহ করেছে।

তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের যেসব অভিযোগ উঠেছে সেগুলোও নগ্ন ছবি ও ভিডিও অনলাইনে প্রকাশ করার ভয় দেখিয়ে করা হয়েছিল বলে বলা হচ্ছে।

যারা এ ব্যক্তির সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাৎ করেছেন, তাদের মধ্যে অনেকেই শারীরিক হেনস্থার অভিযোগ এনেছেন।

নরওয়ের সরকারি কৌঁসুলি গুরো হ্যানসন বুল বলেছেন, এটিই হচ্ছে নরওয়ের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় যৌন কেলেঙ্কারির ঘটনা।

যারা এই ব্যক্তির কাছে যৌন হেনস্থার শিকার হয়েছেন সেইসব মানুষের বয়স ৯ থেকে ২১ বছর বয়স।

১৫ জনের একটি তদন্ত দল এই বিষয়টি নিয়ে খতিয়ে দেখতে গিয়ে সব ছবি, ভিডিও ও চ্যাট ফাইল ঘেঁটে দেখছেন।

অভিযুক্ত ব্যক্তি প্রথমে ২০১৬ সালে একবার গ্রেফতার হয়েছিল। কিন্তু তখন ছাড়া পেয়ে যায়। তবে, বর্তমানে সে অসলোর একটি জেলে বন্দি রয়েছে বলে জানা গেছে।

অভিযুক্ত এই ব্যক্তির পক্ষে আইনজীবী হিসেবে কাজ করেছেন গুনহিল্ড লেরাম। মিজ লেরাম নিজেই এখন থেরাপি নিচ্ছেন।

এ কৌঁসুলি বলেছেন, তার মক্কেল আসলে একটা ‘ডাবল লাইফ’ বা ‘দ্বৈত জীবন’ কাটিয়েছে এবং তার ছিল অনলাইনে অবৈধ পন্থায় নিজের অস্তিত্ব জারি রাখার আসক্তি।
খবর বিবিসি

এবিএন/সাদিক/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ