আজকের শিরোনাম :

নির্বাচন পর্যন্ত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন স্থগিত : রয়টার্স

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৮ নভেম্বর ২০১৮, ২২:০৭

রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট মোকাবেলায় বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের নেয়া প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া আগামী নির্বাচন পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। তবে আগামী ডিসেম্বরে বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচনের পরে এ ব্যাপারে নতুন পদক্ষেপ নেয়া হবে।  আজ রবিবার বাংলাদেশের শরণার্থী প্রত্যাবাসনবিষয়ক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা আবুল কালাম ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

শরণার্থীবিষয়ক ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আবুল কালাম বলেছেন, শরণার্থীদের প্রধান দাবি অনুযায়ী প্রত্যাবাসনের জন্য “নতুন ধরনের পদক্ষেপ” নেয়া প্রয়োজন।

গত অক্টোবরে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার গত ১৫ নভেম্বর থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরুর বিষয়ে সম্মত হয়।  তবে এই পরিকল্পনার বিরোধিতা করে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা শরণার্থীরা, জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা এবং সহায়তা সংস্থাগুলো। তাদের আশঙ্কা, মিয়ানমারে ফিরে গেলে আবারও নিরাপত্তা সংকটে পড়বে রোহিঙ্গারা।

গত ১৫ নভেম্বর প্রথম ব্যাচের ২২০০ শরণার্থীর মিয়ানমারের কথা থাকলেও শরণার্থীদের বিক্ষোভের মুখে তা স্থগিত রাখা হয়। ন্যায়বিচার, নাগরিকত্ব এবং নিজ গ্রাম ফেরা ও ভূমির অধিকার ফিরে পাওয়ার দাবি পূরণের আগে মিয়ানমার যেতে অস্বীকৃতি জানায় প্রত্যাবাসন তালিকায় থাকা শরণার্থীরা।

রোহিঙ্গাদের যৌক্তিক এবং বাস্তবসম্মত দাবি মেনে ফিরিয়ে নিতে বাধ্য করতে গত সপ্তাহে মিয়ানমারের প্রতি চাপপ্রয়োগে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন আবুল কালাম।  তিনি বলেন, এসব ছাড়া কেউ রাখাইনে ফিরতে রাজি হবে বলে আমার মনে হয় না।

মিয়ানমারের অনেক মানুষ রোহিঙ্গাদের বাঙালি বলে ডাকে।  এমনকি তাদেরকে বাংলাদেশ থেকে সেদেশে পাড়ি জমানো অবৈধ অভিবাসী হিসেবেও মনে করে।

আবুল কালাম বলেন, আগামী ৩০ ডিসেম্বর বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন বা জনাকীর্ণ শরণার্থী শিবির থেকে নোয়াখালীর ভাসান চরে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নতুন বছর না আসা পর্যন্ত স্থগিত থাকবে। তিনি বলেন, নির্বাচন আসন্ন, তাই এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নির্বাচনের পরে নেয়া হবে।

গত বছরের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলের রাখাইনে দেশটির রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে ব্যাপক সামরিক অভিযান শুরু করে সেনাবাহিনী।  রক্তাক্ত ওই অভিযানের মুখে প্রায় সাত লাখ ২০ হাজার রোহিঙ্গা প্রতিবেশী বাংলাদেশে পালিয়ে আসে।

এবিএন/রাজ্জাক/জসিম/এআর

এই বিভাগের আরো সংবাদ