ইরানের তেল রফতানি শূন্যে নামাতে চান ট্রাম্প
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬ নভেম্বর ২০১৮, ১১:৫১
ইরানের তেল ও আর্থিক খাতের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র সোমবার থেকে নতুন করে ব্যাপক এবং কঠোর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ৬ মাস পর ইরানের বিরুদ্ধে এ কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করলেন।
ইরানের ৭ শতাধিক বেশি ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, জাহাজ এবং বিমানের ওপর এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে।
এ ছাড়া, আন্তর্জাতিক আর্থিক লেনদেন ব্যবস্থা থেকে ইরানকে বিচ্ছিন্ন করতে ব্রাসেলস-ভিত্তিক সুইফট নেটওয়ার্ক ইরানের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সমস্ত লেনদেন বন্ধ করে দেবে বলে জানা গেছে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র চায় ইরানের তেল রফতানি যেন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।
তবে ইরান তেল আমদানির ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র ৮টি দেশকে বিশেষ ছাড় দিয়েছে। দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে- ইতালি, ভারত, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, তুরস্ক ও চীন।
ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেছেন, তার দেশ এখন অর্থনৈতিক যুদ্ধাবস্থার মধ্যে।
এ নিষেধাজ্ঞাকে অবৈধ এবং অন্যায় বলে বর্ণনা করে প্রেসিডেন্ট রুহানি বলেছেন, তারা মাথা উঁচু করে চলতে চান এবং যে কোনোভাবে এ নিষেধাজ্ঞা তারা ভাঙবেন।
তবে কীভাবে ইরান নিষেধাজ্ঞা ভাঙবে সেটা পরিষ্কার নয়।
এদিকে নিষেধাজ্ঞার জোরালো বিরোধিতা আসছে ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানির পক্ষ থেকে যারা এখনো ইরানের সঙ্গে সম্পাদিত পরমাণু চুক্তি মেনে চলতে এখনো অঙ্গীকারবদ্ধ।
এসব দেশ বলছে, তারা ইউরোপীয় কোম্পানিগুলোকে সাহায্য করবে যাতে তারা ইরানের সঙ্গে আইন মেনে ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পারে।
ইরানের সঙ্গে আর্থিক লেনদেনের জন্য এই তিনটি ইউরোপীয় দেশ টস্পেশাল পারপাজ ভেহিকেলট বা এসভিপি নামে বিকল্প একটি লেনদেন ব্যবস্থা চালু করেছে।
তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, বিশ্ব-বাণিজ্যে যুক্তরাষ্ট্রের যে প্রাধান্য তাতে ইউরোপীয় কয়েকটি দেশের এ পদক্ষেপ খুব একটা কাজে দেবে না।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করার আগেই একশরও বেশি বড় বড় আন্তর্জাতিক কোম্পানি ইরানের সঙ্গে তাদের ব্যবসা গুটিয়ে ফেলেছে।
খবর বিবিসি এবিএন/সাদিক/জসিম
খবর বিবিসি এবিএন/সাদিক/জসিম
এই বিভাগের আরো সংবাদ