আজকের শিরোনাম :

'মেয়েদের ডেট করতে ভয় পাচ্ছে আমার ছেলে'

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৫ অক্টোবর ২০১৮, ১৭:০২

হ্যাশট্যাগ মি-টুর কথা এখন সবাই জানেন। যৌন নিপীড়নের শিকার মেয়েদের না-বলা কাহিনি প্রকাশ করে দেবার এই সামাজিক মাধ্যমের আন্দোলন এখন সারা দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে।

কিন্তু হ্যাশট্যাগ হিম-টু? এটা আবার কি?

এটা শুরু করেছেন একজন আমেরিকান মা। তার উদ্বেগ তার ছেলেকে নিয়ে, এবং সেটা প্রকাশ করতেই টুইটারে এই হ্যাশট্যাগ শুরু করেছেন তিনি।

তার উদ্বেগ: এই মি-টু আন্দোলন শুরু হবার পরে তার ছেলে একজন আদর্শ তরুণ হয়েও কোন মেয়েকে নিয়ে একা ডেটিং-এ যেতে চাইছে না - কারণ তার ভয়, কখন কোন মেয়ে তার নামে মিথ্যা যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলে তাকে ফাঁসিয়ে দেয়।

'ব্লু স্টার নেভি মম থ্রি' নামে এই আমেরিকান মা লিখেছেন: "এ হচ্ছে আমার ছেলে। সে স্নাতক, সে ইউ এস ও পুরস্কার পেয়েছে, স্কুলেও সে ছিল এক নম্বর। সে একজন ভদ্র ছেলে, মহিলাদের সম্মান করে। সে একা ডেট করতে যেতে চাচ্ছে না। বিপ্লবী ফেমিনিস্টরা হাতে কুড়াল নিয়ে বর্তমানে যে মিথ্যা যৌন অভিযোগের পরিবেশ তৈরি হয়েছে এটাই এর কারণ। আমি ভোট দিচ্ছি 'হিম-টু'।"

যুক্তরাষ্ট্রে সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি হিসেবে ব্রেট কাভানোর মনোনয়ন দেবার পর একাধিক নারী তার বিরুদ্ধে অনেক আগে করা যৌন নিপীড়নের অভিযোগ আনেন, এবং তার ওপর সিনেটের শুনানি ব্যাপক আলোচনা-বিতর্ক তৈরি করে।

ব্লু স্টার নেভি মম থ্রি মনে করছেন, এসব অভিযোগ পরিবেশ বিষিয়ে তুলেছে, ছেলেরা মেয়েদের সাথে ডেটিং এ যেতে ভয় পাচ্ছে। তার টুইটের সাথে তিনি তার ছেলের ছবিও দেন।

যাই হোক, ইন্টারনেটে এ নিয়ে শুরু হয়েছে ঠাট্টা-মশকরা, এবং বিদ্রুপাত্মক নানা টুইট।

এ নিয়ে এমলিন ক্রেনশ' নামে একজন একটি পেঙ্গুইনের সাথে ছবি তুলে লিখেছেন - "এটি আমার ছেলে, সে ওড়ার প্রতিযোগিতায় শেষ দিক থেকে দ্বিতীয় হয়েছে। সে আজ সাফল্যের সাথে একটি স্যামন মাছ গিলে খেয়েছে। সে একজন ভদ্রলোক যার নারী প্রাপ্য মিথ্যা যৌন হয়রানির অভিযোগের পরিবেশের মধ্যে সে একা ডেটিং-এ যেতে চায় না। সে মানসিকভাবে বিপর্যন্ত। হ্যাশট্যাগ হিম টু।"

ইন্টারনেটে এ নিয়ে হৈচৈ শুরু হবার পর ফ্লোরিডার সেই আলোচিত ছেলে - যার নাম পিটার হ্যানসন - তার মনে হয় যে ব্যাপারটা থামাতে তার নিজেরই কিছু বলা দরকার। পিটার হ্যানসন বিবিসিকেও এক সাক্ষাতকার দেন।

"আমি ডেটিংএ যেতে ভীত নই" - তিনি বলেন, "আমার মা একটু বোকার মতো কাজ করেছে। এটা নিয়ে আমি খুব একটা ভাবছি না।"

বিবিসিকে তিনি বলেন, 'আমি যখন প্রথম দেখি, তখন আমি হতবাক হয়ে গেছি। কিন্তু আমরা সবাই আমাদের অভিভাবকদের পাগলামি কমবেশি দেখেছি।"

"তবে তিনি আমার মা, আমি তাকে ভালোবাসি। আমি চাই তাকে এ নিয়ে হেনস্তা করা না হয়।" তিনি আহ্বান জানান ক্যান্সারের ব্যাপারে সচেতনতা বাড়াতে তার প্রয়াসে যোগ দিতে। সূত্র: বিবিসি বাংলা।

এবিএন/মমিন/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ