আজকের শিরোনাম :

ইথিওপিয়ায় নতুন মায়ের জন্য এ কেমন বিশেষ রীতি

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৮ অক্টোবর ২০১৮, ১১:১০

ইথিওপিয়ার একটি অঞ্চলে কোনো নারী সন্তান জন্ম দেয়ার ৫ দিনের মাথায় একটি বিশেষ রীতি পালন করেন পরিবারের সদস্য ও প্রতিবেশী নারীরা।

তাদের বিশ্বাস এর মাধ্যমে সন্তান জন্মদাতা নারী যেমন শক্তি ও সাহস ফিরে পায়, যা থেকে উপকৃত হয় নবজাতক শিশুও।

তবে সেখানকার নারীরা মনে করেন এটি শুধু শিশু বা মায়ের মঙ্গল কামনার জন্যই নয় বরং এটি তাদের সংস্কৃতিরই অংশ।

দেশটির অরোমিয়া অঞ্চলের একদল নারী জঙ্গল থেকে গাছগাছালি সংগ্রহ করেন দল বেধে।

যেগুলোকে তারা হারবাল বা ভেষজ ওষুধ হিসেবে সংগ্রহ করেন আর সেগুলো তারা ব্যবহার করেন একটি বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠানের জন্য।

যেটি আয়োজন করা হয় কোনো নারী সন্তান জন্ম দেয়ার ৫ দিনের মাথায়। মূলত এগুলো দিয়ে গোসল করানো হয় নতুন মা হওয়া নারীকে। কিন্তু এই ভেষজ ওষুধ ব্যবহার করলে কী হয়?

জবাবে স্থানীয় একজন নারী বলছেন, ‘সন্তান জন্ম দেয়ার পর একজন নারীর শরীর খুবই দুর্বল হয়ে যায়। ট্র্যাডিশনাল এই ওষুধ ব্যবহার করে তাকে গোসল করানোর পর এটা তার শরীরে শক্তি যোগাতে সহায়তা করে।’

বিশেষ আয়োজনের মাধ্যমে এ ওষুধের প্রয়োগ হলে তার প্রভাবে নিজের শক্তির পাশাপাশি নবজাতক শিশুও উপকার পায় তার মায়ের কাছ থেকে। এমনটিই বিশ্বাস ওই অঞ্চলের নারীদের।

একজন নারী বলছেন, ‘যদি সন্তান জন্ম দেয়ার পর নতুন মা দুর্বল ও অসুস্থ থাকে তাহলে বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ানো ও তার যথাযথ যতœ করা কষ্টকর হয়ে পড়তে পারে। কিন্তু যখন সে তার শরীরে শক্তি ফেরত পায় দ্রুত তা হলে সন্তানকে খাওয়ানোর জন্য পর্যাপ্ত বুকের দুধও তার থাকবে।’

জঙ্গল থেকে দল বেঁধে তুলে আনা গাছ গাছালি নিয়ে একদল নারী নানা ধরনের প্রথা পালন করেন সন্তানসহ নবজাতকের ঘরের সামনেই। জঙ্গল থেকে আনা গাছগাছালি হাতে এক ধরনের গান গাইতে দেখা যায় তাদের। এর পর তারা ঘরে প্রবেশ করে একে একে মাকে শুভেচ্ছা জানাতে থাকেন।

তখন প্রার্থনাতেও মিলিত হন তারা এবং সৃষ্টিকর্তার কাছে দোয়া করেন নতুন শিশু ও মায়ের নিরাপত্তা ও সুস্বাস্থ্যের জন্য এমনকি তাদের প্রার্থনায় থাকে দেশের জন্য শান্তি কামনার বিষয়টিও।

ওই অনুষ্ঠানেই মারকা নামে এক ধরনের খাবার বিতরণ করা হয় অনেকটা প্রসাদ বিতরণের মতো করে।

তবে অরোমিয়া অঞ্চলে একজন নতুন মাকে মানসিকভাবে সহায়তা করা কিংবা তার পাশে থাকা এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমেই শেষ হয়ে যায়না। বরং প্রায় ৪০ দিন পর্যন্ত এভাবেই সমর্থন জোগাতে থাকে সবাই।
খবর বিবিসি

এবিএন/সাদিক/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ