আজকের শিরোনাম :

যুক্তরাষ্ট্রের বিচারপতি হিসেবে শপথ নিলেন ‘বিতর্কিত’ কাভানো

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০১৮, ১০:৪৬ | আপডেট : ০৭ অক্টোবর ২০১৮, ১১:২১

যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টের ১১৪তম বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন ‘বিতর্কিত’ ব্রেট কাভানো। ব্যাপক প্রতিবাদের মধ্যেই সিনেট তার নিয়োগ অনুমোদন দেয়ার পর তিনি শপথ নিলেন।

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মনোনীত কাভানোর বিরুদ্ধে যৌন অসদাচরণের অভিযোগ ওঠার পর তাকে নিয়োগ দিতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে রিপাবলিকানদের। শনিবার কাভানোকে চূড়ান্ত করতে সিনেটের ভোটাভুটিতে রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে লড়াই তিক্ত যুদ্ধের ভেতর দিয়ে শেষ হয়েছে।

কাভানোর পক্ষে ৫০ আর বিপক্ষে ৪৮ ভোট পড়ে। মন্টানার রিপাবলিকান সিনেটর লিসা মুরকোস্কি কাভানোর মনোনয়নের বিরোধিতা করলেও মন্টানারই আরেক রিপাবলিকান সিনেটর স্টিভেন ডায়নেসের সম্মানার্থে কাভানোকে ভোট দিয়েছেন। কাভানোর নিয়োগের পক্ষে থাকা সিনেটর ডায়নেস তার মেয়ের বিয়ের জন্য ভোটাভুটিতে অংশ নিতে পারেননি।

সিনেটের ডেমোক্র্যাট নেতা চাক শুমার বলেছেন, যারা কাভানার বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন, ধরে নিতে হবে এটা তাদের নভেম্বরের মধ্যবর্তী নির্বাচনের জবাব। 

এদিকে রিপাবলিকান নেতা কাভানাকে ‘অত্যন্ত মেধাবী একজন আইনের ছাত্র এবং রাষ্ট্রের অনুগত সেবক’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

দেশটিতে আসন্ন নভেম্বরের মধ্যবর্তী নির্বাচন সামনে রেখে কাভানার এ জয় ট্রাম্পের হাতকে শক্তিশালী করল বলে বিশ্লেষকরা বলছেন। 

বিচারপতি নির্বাচনের আগে কাভানার মনোনয়নের প্রতিবাদে ওয়াশিংটনে বহু মানুষ বিক্ষোভে অংশ নেন। সেখান থেকে তিন শতাধিক বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করা হয়। 


কাভানার বিরুদ্ধে একের পর এক যৌন হয়রানির অভিযোগ আসতে থাকলে শেষ পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে ১১ ঘণ্টার তদন্তে নামে দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই)। তদন্তের পর মূলত সিনেটররা কাভানাকে নিয়ে ভোটে অবতীর্ণ হন।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অবশ্য তার মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির এসব অভিযোগ নাকচ করে দেন। তিনি বলেন, ‘ক্রিস্টিন ব্লাসি ফোর্ড যে অভিযোগ এনেছেন, আমি শতভাগ নিশ্চিত যে তিনি ভুল নাম উচ্চারণ করছেন।’

যৌন হয়রানির অভিযোগে অভিযুক্ত একজনকে সর্বোচ্চ আদালতের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার বিষয়টি আসন্ন নভেম্বরের মধ্যবর্তী নির্বাচনে নারী ভোটাররা কীভাবে নেন, সে দিকেই নজর সবার।

এবিএন/সাদিক/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ