আজকের শিরোনাম :

মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিরোধীদলীয় নেতা জয়ী

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১১:৩৯

মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয় পেয়েছেন বিরোধীদলীয় জোটের প্রার্থী ইব্রাহিম মোহামেদ সোলিহ।

সোমবার প্রকাশিত ফলাফলে এমনটি দেখা গেছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম।

ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট ইয়ামিনের নির্বাচন প্রভাবিত করার বহুমুখী প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তার বিজয়ী হওয়ার ঘটনাকে দেখা হচ্ছে ‘বিস্ময়কর’ হিসেবে।

বিতর্কিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রবিবার ভোট প্রদানের সময় ৩ ঘণ্টা বৃদ্ধি করে মালদ্বীপের নির্বাচন কমিশন। 

জাতীয় নির্বাচন কমিশনের উপপ্রধান আহমেদ আকরাম এ সম্পর্কে বলেন, ভোটারদের বিপুল উপস্থিতির কারণে দেশের ভেতরে ও বাইরে সবগুলো ভোটকেন্দ্রে ভোট গ্রহণের সময় ৩ ঘণ্টা বৃদ্ধি করা হয়েছে। কারণ, সব ভোটকেন্দ্রেই ভোটাররা লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছিলেন। ফলে সকাল ৮টায় শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ শেষ হয় স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টায়, যা পূর্বে বিকেল ৪টায় শেষ হওয়ার কথা ছিল।

সোমবার সকালে কমিশন ঘোষিত ফলাফলে দেখা যায়, পপুলার ভোটের ৫৮.৩ শতাংশ নিজের পক্ষে নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন সোলিহ। ফল ঘোষণার পর ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট ইয়ামিনের শিবির থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে এরই মধ্যে বিজয় উদযাপন শুরু করেছে বিরোধী শিবির। সোলিহর দল মালদ্বীপের ডেমোক্র্যাটিক পার্টি-এমডিপির হলুদ পতাকা হাতে নেমে পড়েছেন তার সমর্থকরা। রাস্তায় নেচেগেয়ে নিজেদের বিজয় উদযাপন করছে তারা।

রাজধানী মালেতে সাংবাদিকদের সোলিহ বলেন, ‘আমরা নির্বাসনে প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘এটি সুখের মুহূর্ত। এটি আশার মুহূর্ত। এটি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। মালদ্বীপে আমরা একটি শান্তিপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠা করব। আমি মালদ্বীপের সব নাগরিকের প্রেসিডেন্ট হব।’

তিনি আরও বলেন, ‘মালদ্বীপের জনগণের ইচ্ছার প্রতি সম্মান দেখাতে এবং দ্রুত শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য আমি প্রেসিডেন্ট আব্দুল্লাহ ইয়ামিনের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’

তবে প্রেসিডেন্ট ইয়ামিন ভোটের ফল নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেননি।

উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক বছরগুলোয় মালদ্বীপে রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট ৯ বিরোধীদলীয় নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ বাতিল করে দেয়। তাদের মধ্যে রয়েছেন মালদ্বীপের গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রথম প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদও। ২০১২ সালে নাশিদকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়।

কিন্তু আদালতের ওই রায়ের পর প্রেসিডেন্ট ইয়ামিন জরুরি অবস্থা জারি করেন এবং সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে দুজন বিচারককে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন।

এবিএন/সাদিক/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ