হংকংয়ে দ্রুতগামী রেল নিয়ে বিতর্ক
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৩:০৭
চীনের মেইন-ল্যান্ডের সঙ্গে যুক্ত হতে যাওয়া খুব দ্রুত গতির ট্রেন নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
এক্সপ্রেস রেলটি হংকংয়ের সঙ্গে চীনের দক্ষিণের শহর গুয়ানঝু তে যেতে মাত্র ৪০ মিনিট লাগবে।
আগে যে ট্রেনে যাতায়াত করা হত তার চেয়ে অর্ধেকের কম সময় লাগবে।
চীনের কর্তৃপক্ষ স্টেশনে যৌথ চেকপোস্ট পরিচালনা করতে পারবে এমনকি ট্রেনের মধ্যেও সেটা করতে পারবে।
কিন্তু এই ট্রেনটি উদ্বোধন নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। কারণ প্রথম বারের মতো চীনের অপরাধবিষয়ক আইনটি হংকংয়ে কার্যকর করার দিন চালু করা হচ্ছে।
সমালোচকরা বলছেন এটা হংকংয়ের স্বাধীনতা এবং মিনি-কন্সটিটিউশনের লঙ্ঘন করছে। ট্রেনটি শনিবার এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উদ্বোধন করা হয়।
এক স্থানীয় আইনপ্রণেতা এটাকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেছেন, এই বুলেট ট্রেনে করে গুয়ানঝু তে যাত্রা ছিল ‘খুব নীরব মনে হয়েছে যেন আমি প্লেনে করে যাচ্ছি’।
সরকার বলছেন, এই রেল যোগাযোগ হংকং, শেনঝেন এবং গুয়ানঝুর মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটাবে।
ট্রেনটি সাধারণ মানুষের জন্য আজ রবিবার থেকে চালু করা হবে। একই সঙ্গে মেইন-ল্যান্ড চায়নার বাকি অংশ অংশ এবং রাজধানী বেইজিং সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধি করবে।
এদিকে গণতন্ত্রপন্থি আইনপ্রণেতারা এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বয়কট করেছে।
এমনকি তারা স্টেশনের বাইরে বিক্ষোভ করেছে। তাদের বক্তব্য এ রেল লিঙ্ক হংকংয়ের স্বাধীনতার আইনি প্রক্রিয়াকে ছোট করবে।
হংকং এক সময় ব্রিটিশ কলোনি ছিল। ১৯৯৭ সালে চীনের কাছে হস্তান্তর করা হয় কিন্তু কিছু শর্ত দিয়ে।
সেই চুক্তির মধ্যে ছিল হংকং উচ্চক্ষমতার স্বায়ত্তশাসন ভোগ করবে শুধুমাত্র বৈদেশিক এবং প্রতিরক্ষা বিষয় ছাড়া। সেটাও ৫০ বছরের জন্য। ফলে যেটা হয়েছে, হংকংয়ের নিজেদের আইন আছে, তাদের অধিকার এবং স্বাধীনতা রক্ষার করার জন্য সেগুলো ব্যবহার করা হয়। আর মেইন-ল্যান্ড চাইনার বেশিরভাগ আইন এখানে প্রয়োগ করা যায় না। নতুন এই ট্রেনটি চালু করার ফলে প্রথমবারের মত চীনের কর্তৃপক্ষ চীনের আইন হংকং এর স্টেশনে এবং ট্রেনে প্রয়োগ করতে পারবে। চীনের শীর্ষ আইনপ্রণেতারা বলছেন এটা হংকংয়ের স্বায়ত্তশাসনের ওপর কোনো হস্তক্ষেপ করবে না। এদিকে হংকংয়ের বার অ্যাসোসিয়েশন সমালোচনা করে বলেছে, এটা হংকংয়ের মিনি-সংবিধানকে লঙ্ঘন করবে। এই রেল প্রকল্প নিয়ে আরও সমালোচনা রয়েছে যে, তিন বছর দেরিতে কাজ শেষ হওয়ার কারণে ৩ বিলিয়ন ডলার বাড়তি খরচ হয়েছে।
খবর বিবিসি এবিএন/সাদিক/জসিম
সেই চুক্তির মধ্যে ছিল হংকং উচ্চক্ষমতার স্বায়ত্তশাসন ভোগ করবে শুধুমাত্র বৈদেশিক এবং প্রতিরক্ষা বিষয় ছাড়া। সেটাও ৫০ বছরের জন্য। ফলে যেটা হয়েছে, হংকংয়ের নিজেদের আইন আছে, তাদের অধিকার এবং স্বাধীনতা রক্ষার করার জন্য সেগুলো ব্যবহার করা হয়। আর মেইন-ল্যান্ড চাইনার বেশিরভাগ আইন এখানে প্রয়োগ করা যায় না। নতুন এই ট্রেনটি চালু করার ফলে প্রথমবারের মত চীনের কর্তৃপক্ষ চীনের আইন হংকং এর স্টেশনে এবং ট্রেনে প্রয়োগ করতে পারবে। চীনের শীর্ষ আইনপ্রণেতারা বলছেন এটা হংকংয়ের স্বায়ত্তশাসনের ওপর কোনো হস্তক্ষেপ করবে না। এদিকে হংকংয়ের বার অ্যাসোসিয়েশন সমালোচনা করে বলেছে, এটা হংকংয়ের মিনি-সংবিধানকে লঙ্ঘন করবে। এই রেল প্রকল্প নিয়ে আরও সমালোচনা রয়েছে যে, তিন বছর দেরিতে কাজ শেষ হওয়ার কারণে ৩ বিলিয়ন ডলার বাড়তি খরচ হয়েছে।
খবর বিবিসি এবিএন/সাদিক/জসিম
এই বিভাগের আরো সংবাদ