আজকের শিরোনাম :

মোদিকে কতটা চ্যালেঞ্জ করতে পারবেন রাহুল

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৭ মে ২০১৮, ১২:৫২

ঢাকা, ১৭ মে, এবিনিউজ : ভারতে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট রাহুল গান্ধী দেশের আগামী সাধারণ নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদিকে কতটা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে পারবেন, তা নিয়ে আবার নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে।

গত ৬ মাসের মধ্যে প্রথমে গুজরাটে ও পরে কর্নাটকে যেভাবে রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে কংগ্রেস প্রচার চালিয়েছে এবং মোটামুটি ভালই ফল করেছে - তাতে অনেকেই বলছেন কংগ্রেস সভাপতি তার ‘উদাসীন রাজনীতিকে’র তকমা এতদিনে অনেকটাই কাটিয়ে উঠতে পেরেছেন।

সোশ্যাল মিডিয়াতেও তিনি এখন বেশ সক্রিয়- রাজনৈতিক সভাতেও প্রধানমন্ত্রীকে প্রকাশ্য চ্যালেঞ্জ করছেন বারবার।

কিন্তু মোদি-অমিত শাহ জুটিকে বিপদে ফেলতে হলে রাহুল গান্ধীকে যে এখনো অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে, তা নিয়েও পর্যবেক্ষকদের কোনো সংশয় নেই।

নরেন্দ্র মোদির চ্যালেঞ্জার হিসেবে রাহুল গান্ধী আসলে এখন ঠিক কোথায় দাঁড়িয়ে ?

দিনকয়েক আগে দিল্লির তালকাটোরা স্টেডিয়ামে এক রাজনৈতিক সভায় কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে মাত্র ১৫ মিনিট বলার সুযোগ পেলে তিনি প্রতিরক্ষা বা ব্যাংকিং খাতে দুর্নীতি নিয়ে সরকারকে এমন আক্রমণ করবেন যে, ‘প্রধানমন্ত্রী মোদি ভয়ে সেখানে দাঁড়াতেই পারবেন না।’

প্রধানমন্ত্রী মোদি নিজে এই চ্যালেঞ্জ নিয়ে পরে রাহুলকে ব্যঙ্গবিদ্রূপ করেছেন, এমনকি তার দলও দেশের প্রধান বিরোধী নেতাকে নিয়ে হাসিঠাট্টা করতে ছাড়েনি।

বিজেপি মুখপাত্র সম্বিত পাত্র-র কথায়, ‘১৫ বছর ধরে যিনি এমপি, তিনি আজ মাত্র ১৫ মিনিট বলতে চান। আসলে গত ১৫ বছর ধরে কাগজে লিখে রিহার্সাল দিচ্ছেন মায়ের সামনে, বলছেন দেখো তো মাম্মি ঠিক হল কি না! এখনো পাস করতে পারেননি। যে ১৫টি লাইন অবধি ঠিকমতো লিখতে পারে না, তার মুখে এ রকম হুমকি মানায় না!’

বিজেপি অবশ্য রাহুল গান্ধীকে নিয়ে এ ধরনের তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে আসছে বহুদিন ধরেই।

‘পাপ্পু’ বলতেই উত্তর ভারতে যে বোকাসোকা, অপদার্থ লোককে বোঝানো হয়- সেই নামে রাহুল গান্ধীকে ডাকার পেছনেও বিজেপি ও তাদের তথ্যপ্রযুক্তি সেলের বড় ভূমিকা আছে।


রাজনৈতিক বিশ্লেষক সোমা চৌধুরীও বলেন, মোদি-অমিত শাহর টক্কর নিতে হলে রাহুল গান্ধীকে আরও অনেক কিছু করতে হবে।

তিনি বলেন, মোদির মতো পলিটিশিয়ান আর অমিত শাহর মতো স্ট্র্যাটেজিস্ট - এই জুটির মোকাবিলা করতে হলে যে ধরনের কর্মকান্ড দরকার, অনেক বছর বা অনেক মাস আগে থেকে পরিকল্পনা করে এগোনো দরকার - রাহুল গান্ধীর মধ্যে সেটা এখনো দেখছি না। অমিত শাহ যেমন ভোটের আগে একটা রাজ্যে ঘাঁটি গেড়ে বসে পুরো সংগঠনটাকে কিকস্টার্ট করে দেন, সে রকম কিছু কংগ্রেসে হচ্ছে কোথায়?

নির্ধারিত সময়ে ভোট হলে ভারতে সাধারণ নির্বাচনের আর বছরখানেকও বাকি নেই। ফলে সেই ভোটে প্রধানমন্ত্রীর পদে বিরোধী শিবিরের সর্বসম্মত প্রার্থী হয়ে উঠতে হলে রাহুল গান্ধীর এখনও অনেক কাজ বাকি, কিন্তু সময় হাতে খুবই কম।
খবর বিবিসি বাংলা

এবিএন/সাদিক/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ