হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পশুপাখি বলি নিষিদ্ধ করছে শ্রীলঙ্কা

ধর্মীয় আচারের অংশ হিসেবে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পশুপাখি বলি দেয়ার রীতি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শ্রীলঙ্কার সরকার।

সরকারের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, এ বিষয়ে হিন্দু ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে দেশটির মন্ত্রিসভা।

বেশিরভাগ হিন্দু উদারপন্থি এটিকে সমর্থন করছেন বলেও তিনি জানান।

দেবতাদের খুশি করতে বা সন্তুষ্ট করার জন্য হিন্দু ধর্মের রীতি অনুসারে ছাগল, মহিষ এবং মুরগি মন্দিরে বলিদানের মাধ্যমে উৎসর্গ করা হয়ে থাকে।

কিন্তু সংখ্যাগুরু বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা দীর্ঘদিন ধরে এটিকে নিষ্ঠুরতা বর্ণনা করে এর বিরুদ্ধে আপত্তি করে আসছেন।

 

তবে অনেক হিন্দু ধর্মাবলম্বী আপত্তি করে বলছেন, এতে তাদের ধর্মীয় স্বাধীনতা ব্যাহত হবে। কারণ এটি তাদের ধর্ম বিশ্বাসের একটি অংশ যা প্রাচীনকাল থেকে চলে আসছে এবং এখনো অব্যাহত থাকা উচিত।

হিন্দু এবং মুসলমান ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে ধর্মীয় আচারের অংশ হিসেবে কেটে বা জবাইয়ের মাধ্যমে পশু উৎসর্গ করা হয়ে থাকে, যার বিরুদ্ধে আপত্তি করে আসছে পশু অধিকার কর্মী এবং বুদ্ধরা।

তবে শ্রীলঙ্কার এ নতুন নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়ছে না সে দেশের মুসলমানদের কোরবানি। দেশটিতে জনসংখ্যার দিক থেকে মুসলমানদের অবস্থান তৃতীয়।

যদিও গত মার্চ মাসে দেশটিতে মুসলিম বিরোধী সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে, যাতে অন্তত ৩ জন নিহত হয়েছে এবং ৪৫০ মুসলিম মালিকানাধীন ঘরবাড়ি ও দোকান ভাঙচুর করা হয়েছে।
খবর বিবিসি

এবিএন/সাদিক/জসিম