‘নিষেধ না করে স্মার্টফোন ব্যবহারে সেনাদের অনুমতি দেওয়াই ভালো’
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:২৮
সোশ্যাল মিডিয়ার আকর্ষণশক্তি, তার ভূমিকা বর্তমানে অনস্বীকার্য৷ আর সেনাদের বা তার পরিবারের সদস্যদের স্মার্টফোন ব্যবহার করা থেকে আটকানো সম্ভব নয় বলেই জানালেন সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াত৷
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, অনেকেই সেনাদের স্মার্টফোন ব্যবহারে বিরত থাকার পরামর্শ দেয়, কিন্তু কেউ কি তা বাস্তবে সত্যি করে দেখাতে পারবে? যদি কেউ তা করতে না পেরে তাহলে তা ব্যবহারের অনুমতি দিয়ে দেওয়ায় ভালো বলে মত তাঁর৷
আধুনিক যুগের যুদ্ধে আর্টিফিশিয়াল ইন্টালিজেন্সের গুরুত্ব বোঝাতে গিয়ে তিনি জানান, বর্তমান সময়ে ওয়ারফেয়ারে আর্টিফিশিয়াল ইন্টালিজেন্সের কথা বলতেই হয়৷ আর এর জন্য সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার করতে হবেই৷ তবে এর পাশাপাশি তিনি এও জানান, তাঁর কাছে কোনও স্মার্টফোন নেই এবং তিনি হোয়াটস্অ্যাপ-ও ব্যবহার করেন না৷ কিন্তু অন্য মাধ্যমের সাহায্যে তিনি সকলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন৷
প্রসঙ্গত, শত্রুরা হ্যাক করে সেনাদের স্মার্টফোনের সব তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না৷ এর আগেও তাই সেনাদের স্মার্টফোন থেকে বহু অ্যাপ মুছতে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়৷
উল্লেখ্য, গত বছর নভেম্বরে চিন সীমান্তের কাছে মোতায়েন ভারতীয় সেনার স্মার্টফোন ফরম্যাটের নির্দেশ দিয়েছিল ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা৷ কিছু অ্যাপস ফোন থেকে সরিয়ে ফেলার কথাও বলা হয়েছিল৷ আশঙ্কা করা হয় এসব অ্যাপে এমন কিছু লিঙ্ক রয়েছে যার মাধ্যমে চিনা হ্যাকাররা সহজেই ঢুকে পড়তে পারবে যা জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ভয়ের কারণ হয়ে উঠতে পারে৷ মোট ৪২ অ্যাপের তালিকা দেওয়া হয়, যার মধ্যে ট্রুকলার এবং উইচ্যাট-এর মতো জনপ্রিয় অ্যাপও ছিল যেগুলি নিষিদ্ধ করে দেওয়ার কথা বলা হয়৷
সূত্র মতে, বেশ কিছু অ্যান্ড্রয়েড বা আইওএস অ্যাপ চিনা সংস্থার হাত ধরেই বাজারে আসে অথবা তাতে এমন কিছু অ্যাপ রয়েছে যার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে চিনা লিঙ্ক, স্পাইওয়্যার বা অন্য কোনও ক্ষতিকারক কিছু৷ আর এই সব অ্যাপের ব্যবহার দেশের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে আঘাত হানতে পারে এমন আশঙ্কা করেই গত ২৪ নভেম্বর সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়৷
যদি এই অ্যাপগুলির থেকে কেউ তাদের স্মার্টফোনে কোনো কিছু ইনস্টল করে ব্যবহার করে তাহলে তাদের শীঘ্রই সেটি আনইনস্টল করে ফোনটি ফরম্যাট করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল সে সময়৷ ২০১৫সালের ডিসেম্বরে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইন্টারনেট ব্যবহারে রাশ টেনেছিলেন এবং সাউথ ব্লকে চিনা হ্যাকারদের ভয়ে ওয়াই-ফাই এবং ব্লু-টুথযুক্ত ডিভাইস নিষিদ্ধ করা হয়েছিল৷
এবিএন/শংকর রায়/জসিম/পিংকি
এই বিভাগের আরো সংবাদ