আজকের শিরোনাম :

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরিতে উত্তর কোরিয়ার নাগরিকের হাত

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১০:২৯

আড়াই বছর আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮১ মিলিয়ন (৮ কোটি ১০ লাখ) মার্কিন ডলার চুরিতে উত্তর কোরিয়ার এক হ্যাকার জড়িত ছিলেন বলে দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ওই ব্যক্তির নাম পার্ক জিন হিয়ক।

২০১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সনি কর্পোরেশন ও ২০১৭ সালে বিশ্বজুড়ে ‘ওয়ানাক্রাই র‌্যানসমওয়্যার’ সাইবার আক্রমণের দায়ে তাকে বিচার করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।

দেশটির বিচার দফতর বৃহস্পতিবার (৬ সেপ্টেম্বর) তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গ্রহণ করে বলেছে, পার্ক ২০১৬ সালে নিউইয়র্ক ফেড থেকে হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঞ্চিত অর্থ হাতিয়ে নেওয়ায়ও জড়িত ছিলেন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, পার্কের বিরুদ্ধে এখন তদন্ত চলছে। যদিও যুক্তরাষ্ট্র তার বিচারের উদ্যোগ নিয়েছে, তার পরও এ নাগরিককে উত্তর কোরিয়া বিচারের জন্য ওয়াশিংটনের হাতে তুলে দেবে কি না- তা এখনো স্পষ্ট নয়। এ ছাড়া দুই দেশের মধ্যে অপরাধী হস্তান্তরের কোনো চুক্তিও নেই।

পার্কের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগে বলা হয়েছে, তিনি লাজারাস গ্রুপ নামে একটি হ্যাকার দলের সদস্য হিসেবে কাজ করেন। তাদের লক্ষ্যবস্তু যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। ২০১৬ ও ২০১৭ সালে পার্ক যুক্তরাষ্ট্রের লকহিড মার্টিনে সাইবার আক্রমণের চেষ্টা চালিয়েছিলেন তিনি।


মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল জেফ সেশনস জানান, পার্ক জিন হিওনের বিরুদ্ধে কম্পিউটারের মাধ্যমে প্রতারণা ও অপব্যবহার করার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়েছে। এতে তার সর্বোচ্চ সাজা হতে ৫ বছরের কারাবাস। তার বিরুদ্ধে আনা আরেক অভিযোগে (ওয়ার ফ্রড) সাজা হতে পারে সর্বোচ্চ ২০ বছর।


প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে সংরক্ষিত বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের ৮ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে চুরি করে নেয় দুর্বৃত্তরা। হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে সংরক্ষিত বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির অর্থের মধ্যে প্রায় ২ কোটি ৮০ লাখ ডলার (২৪৪ কোটি টাকা) গেছে সোলারি ক্যাসিনিওতে।

এ অর্থ ফিলিপাইনের উচ্চ আদালতের নির্দেশে জব্দ আছে। পরবর্তী সময়ে আদালত প্রত্যাহার করে নেয় ওই নির্দেশ। এরপর এই টাকা পুনরায় ফিলিপাইনের সুপ্রিমকোর্ট কর্তৃক ফ্রিজ করে রাখা হয়েছে। আর ১ কোটি ৪৫ লাখ ৪০ হাজার এবং আরসিবিসি ব্যাংকে জমা থাকা ৭০ হাজার ডলারও ফেরত পাওয়া গেছে।

বাকি অর্থ ফেরাতে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে মামলাটি করার প্রস্তুতি গ্রহণ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আন্তর্জাতিক আদালতের আইন অনুযায়ী আর্থিক ক্ষতির দাবি তুলে আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যেই বাংলাদেশকে মামলা করতে হবে।

এবিএন/সাদিক/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ