আজকের শিরোনাম :

‘মস্তিষ্কে রক্ত জমাটের সঙ্গে অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের যোগসূত্র আছে’

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৭ এপ্রিল ২০২১, ১১:০৯

অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা ভ্যাকসিনের সঙ্গে মস্তিষ্কের খুবই বিরল রক্ত জমাট বাঁধার সঙ্গে স্পষ্ট যোগসূত্র রয়েছে। ইউরোপিয়ান মেডিসিন্স এজেন্সি (ইএমএ)-এর এক সিনিয়র কর্মকর্তা মার্কো ক্যাভালেরি এ কথা বলেছেন। 

ইএমএ-র ভ্যাকসিন মূল্যায়ন টিমের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মার্কো ক্যাভালেরি। অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিন ও মস্তিষ্কের রক্তে জমাট বাঁধার সম্ভাব্য যোগসূত্র নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ইতালির একটি দৈনিক পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, আমার মতে আমরা এখন বলতে পারি যে, ভ্যাকসিনের সঙ্গে একটি স্পষ্ট যোগসূত্র রয়েছে। তবে এই প্রতিক্রিয়ার কারণ সম্পর্কে আমরা এখনও জানি না।

ইএমএ কর্মকর্তা আরও বলেন, ভ্যাকসিনের সঙ্গে রক্ত জমাট বাঁধার সংযোগ থাকার কথা বলবে ইএমএ। যদিও অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন কোন বয়সীদের দেওয়া উচিত- এই বিষয়ে ওষুধ নিয়ন্ত্রকদের পক্ষ কোনও পরামর্শ দেওয়ার সম্ভাবনা এই সপ্তাহে নেই।

যোগসূত্র থাকার কথা বললেও রক্ত জমাট বাঁধার বিষয়ে নিজের মন্তব্যের পক্ষে কোনও প্রমাণ দেখাতে পারেননি মার্কো ক্যাভালেরি।

তাৎক্ষণিকভাবে রয়টার্সের পক্ষ থেকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে এর আগে কোম্পানিটি বলেছে, তাদের গবেষণায় ভ্যাকসিন নেওয়ার পর রক্ত জমাট বাঁধার কোনো উচ্চ ঝুঁকির কথা উঠে আসেনি।

ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো বলে আসছে, ঝুঁকির চেয়ে ভ্যাকসিনটির উপকারিতা অনেক বেশি। ৯২ লাখ মানুষের ইউরোপীয় অর্থনৈতিক অঞ্চলে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নেওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে মাত্র ৪৪ জনের ক্ষেত্রে মস্তিষ্কে বিরল রক্ত জমাটের ঘটনা ঘটেছে। মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বাঁধার এই বিরল ঘটনা সেরিব্রাল ভেনোস সাইনাস থ্রোমবোসিস (সিভিএসটি) নামে পরিচিত।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলায় অ্যাস্ট্রাজেনেকার এই ভ্যাকসিনের অনুমোদন দিয়েছে। গত সপ্তাহে এক পর্যালোচনায় ইএমএ জানায়, এখন পর্যন্ত তাদের পর্যালোচনায় বয়স, লিঙ্গ অথবা রক্ত জমাট বাঁধার আগের ইতিহাসের মতো কোনো ঝুঁকির কারণ নির্দিষ্ট করতে পারেনি। সাধারণভাবে কোনো যোগসূত্র প্রমাণিত হয়নি। অধিকতর পর্যালোচনা চলছে। বুধবার সংস্থাটির পক্ষ থেকে নতুন পর্যালোচনা হাজির করা হতে পারে।

রক্তে জমাট বাঁধার মতো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেওয়াদের বেশিরভাগ তরুণ ও মধ্যবয়সী নারীহলেও ইএমএ এ শ্রেণির মানুষের অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিন নেওয়া ঝুঁকিপূর্ণ বলে সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি। তবে ফ্রান্স, জার্মানি ও নেদারল্যান্ডসসহ আরও কিছু দেশ তরুণদের শরীরে অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিন প্রয়োগ স্থগিত করেছে।
খবর রয়টার্সের।

এবিএন/সাদিক/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ