গৃহবন্দি থাকার নির্দেশ মানবেন না প্রিন্স হামজা
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬ এপ্রিল ২০২১, ১১:১৪
ষড়যন্ত্রের অভিযোগে গৃহবন্দি সাবেক যুবরাজ ও বাদশাহ আব্দুল্লাহ-র সৎভাই প্রিন্স হামজা বিন হুসেইন বলেছেন, চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে বিধিনিষেধ বিষয়ে যে আদেশ দেওয়া হচ্ছে তা তিনি মানবেন না। রবিবার টুইটারে প্রকাশিত এক অডিও বার্তায় তিনি নিজের এ অঙ্গীকারের কথা জানান।
শনিবার প্রিন্স হামজাএক ভিডিও বার্তায় দাবি করেন, সরকারের সমালোচকদের ওপর দমনপীড়নের অংশ হিসেবে তাকে ‘গৃহবন্দি’ করে রাখা হয়েছে। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে তার বাড়ি থেকে বের হওয়া এবং কারও সঙ্গে যোগাযোগের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। দেশের নেতাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অযোগ্যতা এবং হয়রানির অভিযোগ তোলেন তিনি। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে কথিত অভ্যুত্থানচেষ্টার অভিযোগে বেশ কয়েকজন উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাকেও গ্রেফতারের খবর পাওয়া গেছে।
সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে অবশ্য প্রিন্স হামজাকে গৃহবন্দি রাখার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। তবে বাহিনীর একটি সূত্র জানিয়েছে, প্রিন্স হামজাসহ উচ্চপদস্থ কয়েকজন কর্মকর্তা সামরিক ‘অভ্যুত্থানচেষ্টার’ সঙ্গে জড়িত। এ ঘটনায় তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। হামজা এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
রবিবার দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী আয়মান সাফাদি বলেছেন, বাদশাহ আব্দুল্লাহ-এর সৎভাই ও সাবেক যুবরাজ প্রিন্স হামজা দেশকে অস্থিতিশীল করতে বিদেশি পক্ষের সঙ্গে লিয়াজোঁ করেছেন এবং কিছু দিন ধরে তিনি তদন্তের আওতায় ছিলেন।
কিন্তু ৪১ বছর বয়সী প্রিন্স হামজা রবিবার টুইটারে দাবি করেছেন, রাজধানী আম্মানে অবস্থিত রাজপ্রসাদের ভেতরে থাকার আদেশ দেওয়ার মাধ্যমে তার চলাচলের স্বাধীনতা হরণ করা হয়েছে এবং তিনি রাজতন্ত্রের এমন আদেশ মেনে চলবেন না।
তিনি বলেন, ‘আমি এখন চলাচল করতে কিংবা বাইরে যেতে চাচ্ছি না কিন্তু যখনই তারা আমাকে বলবে যে, তুমি বাইরে যেতে পারবে না, টুইট করতে পারবে না, কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবে না শুধু পরিবারের লোকজনের সঙ্গে দেখা করতে পারবে তখন আমি অবশ্যই এ আদেশ মানব না।’
তিনি আরও বলেন, ‘যখন প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান এসে আপনাকে এমন কথা বলবেন তখন আমার মনে হয় এটি একেবারেই অগ্রণযোগ্য।’
প্রিন্স হামজাকে গৃহবন্দি করা ও তার বিরুদ্ধে অভ্যুত্থানচেষ্টার অভিযোগে মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীল দেশ হিসেবে জর্ডানের যে ভাবমূর্তি গড়ে উঠেছে তা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। ২০০৪ সালে বাদশাহ আব্দুল্লাহ যুবরাজের পদ থেকে হামজাকে সরিয়ে দেন।
খবর বিবিসি এবিএন/সাদিক/জসিম
খবর বিবিসি এবিএন/সাদিক/জসিম
এই বিভাগের আরো সংবাদ