আজকের শিরোনাম :

‘ঘোড়ায় করে অফিসে আসতে চাই’, সরকারি কর্তার আবেদন

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৬ মার্চ ২০২১, ১০:৫৭

২০১৮ সালের জুনে ভারতের ব্যাঙ্গালুরে অফিসের শেষ কর্মদিবসে এভাবেই হাজির হয়েছিলেন এক সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার।
করোনা আবহে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল অফিস-কাছারি। তবে আনলক পর্যায়ে ধীরে ধীরে খুলেছে বিভিন্ন অফিস, দপ্তর। বর্তমান পরিস্থিতিতে ধীরে ধীরে সবকিছু স্বাভাবিক হচ্ছে। তবে অনেকেই সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে গণপরিবহণ বাদ দিয়ে ব্যক্তিগত গাড়ি বা বাইকে চড়েই অফিসে যেতে পছন্দ করেন। 

কিন্তু কেউ যদি বলেন, তিনি ঘোড়ায় চড়ে অফিসে যেতে চান? হ্যাঁ, শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। 

সম্প্রতি ভারতের মহারাষ্ট্রের নানদেরের সরকারি অফিসের এক কর্মী তাঁর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে এমনই আবেদন জানিয়েছেন। আর এই খবর জানতে পেরে অবাকও হয়েছেন অনেকেই।

জানা গেছে, ওই ব্যক্তির নাম সতীশ পাঞ্জাবরাও দেশমুখ। তিনি স্থানীয় জেলাশাসকের অফিসে এমপ্লয়মেন্ট গ্যারান্টি স্কিম দপ্তরের অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাকাউন্ট অফিসার হিসেবে কর্মরত। কিন্তু তিনি কি করোনা সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে ঘোড়া নিয়ে অফিসে আসার অনুমতি চেয়েছেন? না, আসলে দীর্ঘদিন ধরে তিনি পিঠের ব্যথায় কাবু। আর সেকারণে বাইক বা স্কুটি চালিয়ে অফিস আসতে পারবেন না। অন্যদিকে, গাড়ি কেনার মতো সামর্থ্যও নেই সতীশের। আর এই কারণে তিনি ঘোড়ায় চড়ে অফিসে আসার জন্য অনুমতি চেয়ে চিঠি লিখেছেন। শুধু তাই নয়, অফিসে সেই ঘোড়াটি রাখার জন্যও অনুমতি চেয়েছেন।

ইতিমধ্যে চিঠিটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। নেটিজেনদের অনেকেই সেটি দেখে বেশ মজা পেয়েছেন। অনেকেই মজার মন্তব্যও করেছেন। তবে এরপর অফিসের তরফ থেকে তাঁকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে কি না তা জানা যায়নি। এর আগে বারাণসীর এক উকিল ঘোড়া চালানো শেখার আবেদন জানিয়ে পুলিশকে চিঠি লিখেছিলেন। ডঃ হরিশ চন্দ্র মৌর্য নামে ওই ব্যক্তি জানান, বাড়ি থেকে কোর্টের দূরত্ব ২০ কিলোমিটার। এদিকে, তেলের দাম নিত্যদিন বাড়ছে। তাই তিনি ঘোড়া চালানো শিখতে চান। যাতে কোর্টে আসতে অসুবিধায় পড়তে না হয়।

এবিএন/জনি/জসিম/জেডি

এই বিভাগের আরো সংবাদ