আজকের শিরোনাম :

ওভাল অফিস থেকে চার্চিলের মূর্তি সরিয়েছেন বাইডেন

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৩ জানুয়ারি ২০২১, ০৯:২৯

নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ক্ষমতা গ্রহণ করেছেন ২০ জানুয়ারি। ক্ষমতায় বসেই পূর্বসূরির নানা সিদ্ধান্ত বদলে ফেলেছেন। এমনকি ওভাল অফিস থেকে চার্চিলের মূর্তি সরিয়ে ফেলেছেন। খবর সিএনএন।

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ওভাল অফিস থেকে সেই মূর্তি সরিয়ে দিয়েছেন।  তার পূর্বসূরী ডোনাল্ড ট্রাম্প এতো দিন সেটি সযত্নে রেখেছিলেন।  তিনি চার্চিলকে ‘যুদ্ধকালীন প্রধানমন্ত্রী টাইপ কিছু’ মনে করতেন।

হোয়াইট হাউজে একটি ট্রান্স আটলান্টিক শিল্পকর্ম নিয়ে জলঘোলা হচ্ছে বহুদিন ধরেই। উত্তেজনায় টগবগ পরিবেশ, বিভ্রান্তিকর এবং প্রচ্ছন্ন বর্ণবাদের চিহ্ন নিয়ে এখনো টিকে রয়েছে সেই তর্ক। সেটি আর কিছুই নয়, হোয়াইট হাউজে প্রয়াত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিলের আবক্ষ মূর্তি।

বাইডেন অবশ্য ওভাল অফিসের অনেক কিছুই পরিবর্তন করেছেন। তিনি জানালার পর্দাসহ নতুনভাবে সাজিয়েছেন তার কার্যালয়।  সেখানে নতুন করে স্থান পেয়েছে, লাতিন নাগরিক অধিকার আন্দোলনের নেতা সিজার শ্যাভেজ, রেভারেন্ড মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র, রবার্ট এফ কেনেডি, রোজা পার্কস এবং এলেনোর রুজভেল্ট।

চার্চিলের আবক্ষ মূর্তি সরানোর ঘটনা এর আগেও ঘটেছিল এবং তখন তা নিয়ে বেশ হইচই পড়ে যায়।  আমেরিকান রক্ষণশীল এবং এমনকি কিছু ব্রিটিশ রাজনীতিবিদও এটিকে একটি বড় চপেটাঘাত বলে বিবেচনা করেছিলেন।

আরকানসাসের সাবেক গভর্নর মাইক হাকাবি বলেছিলেন, প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা সম্ভবত এই শুনে শুনে বড় হয়েছেন যে, এই সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটিশরা আসলে তার পূর্বপুরুষদের নির্যাতনকারী।

টেক্সাসের সিনেটর টেড ক্রুজ বলেন, এই যে ওভাল অফিসের সজ্জা পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত এটি পরবর্তী ছয় বছরে যা কিছু ঘটবে সেটিরই পূর্বনিদর্শন।

তত্কালীন লন্ডনের মেয়র এবং বর্তমানে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন আরো কঠোর মন্তব্য করেছিলেন।

তিনি বলেছিলেন, সাবেক ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অংশ কেনিয়ায় বসবাসরত তার পূর্ব পুরুষদের অপছন্দ বলেই সম্ভবত প্রেসিডেন্ট এই পরিবর্তনটা করেছেন।

এবিএন/শংকর রায়/জসিম/পিংকি

এই বিভাগের আরো সংবাদ