আজকের শিরোনাম :

গাজা সীমান্তে নিহত ১৬৬ ফিলিস্তিনি, আহত ১৮ হাজার

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৯ আগস্ট ২০১৮, ০১:৪৪

ঢাকা, ১৯ আগস্ট, এবিনিউজ : ১৯৪৮ সালে বিশ্ব মানচিত্রে ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হলে নিজ দেশেই পরবাসী হয়ে যায় ফিলিস্তিনিরা। তখন প্রায় সাড়ে ৭ লাখ ফিলিস্তিনিকে নিজ দেশ ছেড়ে আশেপাশের দেশগুলোতে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নিতে হয়। এদিকে ফিলিস্তিনিরা তাদের জাতীয় ভূমি দিবস উপলক্ষে গাজা সীমান্তে চলতি বছরের ৩০ মার্চ থেকে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে আসছে। বিক্ষোভ দমন করতে ইসরায়েল সৈন্যরা টিয়ার শেল ও গুলি চালাচ্ছে।

নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর টিয়ার গ্যাস ও গুলি চালানোর পাশাপাশি দেশটির প্রতিরোধ সংগঠন হামাসকে সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে বিমান হামলা চালিয়ে তাণ্ডব চালায় ইসরায়েল। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে গত ৪ মাসে নিজ ভূমিতে ফেরার এই বিক্ষোভ আন্দোলনে এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ১৬৬ জন। পাশাপাশি আহত হয়েছেন ১৮ হাজারের বেশি মানুষ।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো বলছে, ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর ও গাজার অধিবাসীরা ধারাবাহিকভাবে ইসরায়েলের দমনপীড়নের শিকার। বর্তমানে গাজা পুরোপুরি অবরুদ্ধ রয়েছে। সেখানকার অধিবাসীরা মৌলিক নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। পাশাপাশি ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ করে ইসরায়েলি বসতি নির্মাণেরও অভিযোগ রয়েছে।

এদিকে ইসরায়েলের বিমান হামলা ও গুলিতে এখন পর্যন্ত ডাক্তার, নার্স, সাংবাদিকসহ বহু বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। তবে ফিলিস্তিনিদের নিজেদের ভূমি রক্ষার জন্য বিক্ষোভ ও ইসরায়েলের দমনপীড়নের মধ্যে শান্তি আলোচনার বিষয়ে পদক্ষেপ জাতিসংঘ ও মিশর।

বিগত চারমাসে সংঘর্ষের মধ্যেই ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু মিশর সফর করেন। তিনি মিশরের প্রেসিডেন্ট সিসির সঙ্গে আলোচনায় বসেন। পাশাপাশি জাতিসংঘের প্রতিনিধি গাজায় হামাস নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এছাড়াও লেবাননে দীর্ঘ ৮ বছর ধরে নির্বাসিত হামাস নেতা সালেহ আল আরোরি কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে মিসর সীমান্ত দিয়ে গাজায় প্রবেশ করেন।

এবিএন/শংকর রায়/জসিম/পিংকি

এই বিভাগের আরো সংবাদ