আজকের শিরোনাম :

নাইজেরিয়ার একা মেয়েরা বাসা ভাড়া পায় না

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৬ আগস্ট ২০১৮, ১২:১২

ঢাকা, ১৬ আগস্ট, এবিনিউজ : নাইজেরিয়ার অনেক বাড়ির মালিক সন্দেহ করেন একা মেয়ে মানেই যৌনকর্মী। ফলে একা মেয়েদের পক্ষে বাসা ভাড়া পাওয়া কঠিন হয়ে যাচ্ছে।

অনুফানমিলোলার বয়স ৩০। পেশাজীবনে ইতোমধ্যে সফলতা পেয়েছেন। খুব সহজেই তিনি একটা বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতে পারেন। কিন্তু ৫ মাস ধরে বাসা খুঁজে না পেয়ে অবশেষে ঠাঁই হয়েছে এক বান্ধবীর বাসার সোফা। ভালো একটা চাকরি পেয়ে সে লেগোস থেকে আবেওকুটা তে চলে আসে। আর্থিকভাবে সচ্ছল হওয়ার পরও মধ্যবিত্ত বা একটু বিত্তবানদের এলাকাতে একটা অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া নিতে পারেননি। কারণ একটাই তিনি একা থাকবেন ওই বাসাতে।

অনুফানমিলোলা বলেন, ‘প্রথম প্রশ্ন যে আমাকে শুনতে হয় সেটা হলো, আমি কি বিবাহিত? আমি বলি না, তার পর প্রশ্ন করা হয় কেন আমি বিয়ে করিনি। আমি বিভ্রান্ত হই। একটা বাসা ভাড়া নেয়ার সঙ্গে বিয়ের কী সম্পর্ক?’

অনুফানমিলোলা বিবিসিকে বলেন, ‘৯৯% বাড়ির মালিক যাদের সঙ্গে আমি সাক্ষাৎ করেছি, তারা কেউ আমাকে বাসা ভাড়া দেয়নি, কারণ আমি একা নারী। অনেক মালিক এবং এজেন্ট আমাকে বলেছে তুমি কি তোমার পুরুষ-সঙ্গী বা স্বামীকে আনতে পারবে? এই ধরনের অ্যাপার্টমেন্টে আমরাই চাই না কোনো পুরুষ আসুক, আমরা চাই একজন ভদ্র মানুষকে ভাড়া।’

পুরুষদের বেশি অর্থ আছে
সিলভিয়া অয়িনডা রিটেইল সেক্টরের একজন প্রডাক্ট ম্যানেজার। ৩১ বছরে তার বাগদান হয়। কিন্তু প্রতি বাড়িওয়ালা তাকে বলেন আগে তার হবু স্বামীকে আনতে হবে তারপর তারা অ্যপার্টমেন্ট দেখাবে।

নাইজেরিয়াতে একটা কথা প্রচলিত আছে ‘স্মল গার্ল, বিগ গড’।

এই কথার অর্থ অনেকটা এমন, যারা সিঙ্গেল মেয়ে তাদের অর্থের জোগানদাতা থাকে। তারা বেশিরভাগই হয় বৃদ্ধ লোক।

অয়িনডা বলছিলেন, বাড়ির মালিকরা মনে করেন বেশিরভাগ তরুণী যারা একা থাকে তাকে ওই রকম। কোলম্যান ওয়াফোর একটি বাড়ির মালিক এবং বেশ কিছু সম্পত্তির মালিক। তিনি বলছিলেন, তিনি এক্ষেত্রে বৈষম্য করেন না।

কিন্তু তার বেশিরভাগ ভাড়াটিয়া এবং ক্রেতাই পুরুষ। কারণ তাদের তুলনামূলক বেশি অর্থ আছে।

তিনি বিবিসিকে বলেন, ‘বেশিরভাগ একা মেয়েরা হয় তাদের বাবা-মা অথবা পুরুষসঙ্গী ওপর নির্ভরশীল। আপনি নিশ্চিত করে বলতে পারবেন না এক বছর পর কী হবে। এবং প্রতিটা বাড়িওয়ালা চায় কোন ঝামেলা ছাড়া মাসের ভাড়া পাবে আর সময়মতো কন্ট্রাক্ট নবায়ন করবে।’

তিনি বলছিলেন, বেশিরভাগ একলা মেয়েরা কোনো কাজ করে না।

এখানে মেয়েদের চেয়ে ছেলেদের জন্য কাজের সুযোগ বেশি। এটাই এখানকার পরিস্থিতি।
খবর বিবিসি

এবিএন/সাদিক/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ