আজকের শিরোনাম :

করোনায় চলে গেলেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা আহমদ প্যাটেল

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৫ নভেম্বর ২০২০, ১৩:২৫

বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা, রাজ্যসভার সাংসদ আহমদ প্যাটেল-এর জীবনাবসান হয়েছে। করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠ এই কংগ্রেস নেতা। কোভিড টেস্ট রিপোর্ট পজিটিভ আসার পরেই গুরুগাঁওয়ের এক হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছিল। বুধবার ভোররাতে তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। চিকিৎ‌সকেরা জানান, প্রবীণ নেতার একাধিক অঙ্গ বিকল হয়ে গিয়েছিল।

বুধবার ভোর ৪টা নাগাদ ট্যুইট করে বাবার মৃত্যু সংবাদ দেন ফৈজল প্যাটেল। সেই ট্যুইট বার্তায় বাবার আত্মার শান্তি কামনা করে তিনি লেখেন, ‘অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, আমার বাবা আহমদ প্যাটেল ২৫ নভেম্বর ভোর সাড়ে ৩টেয় প্রয়াত হয়েছেন। প্রায় দেড় মাস আগে কোভিড-১৯ -এ আক্রান্ত হওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন অঙ্গ বিকল হওয়ায় তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছিল।' পাশাপাশি করোনা স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখার জন্য বাবার শেষকৃত্যে জমায়েত না-করার অনুরোধ করেন।

গত ১ অক্টোবর কোভিড ধরা পড়েছিল সোনিয়া গান্ধীর অন্যতম রাজনৈতিক পরামর্শদাতার। করোনার টেস্ট রিপোর্ট পজিটিভ জানার পর বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা ট্যুইট করে সে খবর দিয়েছিলেন। সেসময় তাঁর সান্নিধ্যে আসা সকলকে সেলফ-আইসোলেশনে থেকে কোভিড টেস্ট করিয়ে নিতে বলেছিলেন আহমদ প্যাটেল।

পরিবার সূত্রে খবর, করোনার থাবায় প্রবীণ কংগ্রেস নেতার শারীরিক অবস্থার ক্রম অবনতি হতে থাকে। ১৫ নভেম্বর তাঁকে গুরুগ্রাম মেদান্ত হাসপাতালের আইসিইউতে স্থানান্তর করতে হয়। দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে ওই হাসপাতালেই তাঁর চিকিৎসা চলছিল।

ছেলে ফৈজল প্যাটেলের ট্যুইট:

আহমদ প্যাটেলের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই দেশের রাজনৈতিক মহলে শোকের ছায়া নেমে আসে। তাঁর মৃত্যু সংবাদে স্বভাবতই ভেঙে পড়েন সোনিয়া গান্ধী। 

শোকপ্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘বিশ্বস্ত সহকর্মী এবং বন্ধুকে হারালাম। এই ক্ষতি অপূরণীয়।’ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী-সহ একাধিক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বও শোকপ্রকাশ করেছেন। প্রয়াত কংগ্রেস নেতার ছেলের সঙ্গে টেলিফোনে কথাও বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।

অভিষেক মনু সিংভি, দিগ্বিজিয় সিংয়ের মতো তাঁর দীর্ঘ দিনের সহকর্মীরাও পটেলের প্রয়াণে শোকাহত। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও কংগ্রেস নেতার প্রয়াণে শোক প্রকাশ করে টুইট করেন। রাহুল ট্যুইটে লিখেছেন, দলে কংগ্রেসের একটা স্তম্ভের মতো ছিলেন তিনি।

৭১ বছর বয়সি এই নেতা ছিলেন তিন বারের লোকসভার সাংসদ। রাজ্যসভায় পঞ্চম বারের মেয়াদে ছিলেন। কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধীর ঘনিষ্ঠ এই নেতা তাঁর রাজনৈতিক পরামর্শদাতাও ছিলেন। ছিলেন কংগ্রেসের কোষাধ্যক্ষও।

এবিএন/জনি/জসিম/জেডি

এই বিভাগের আরো সংবাদ