আজকের শিরোনাম :

দোহা বিমানবন্দরে ফেলে যাওয়া সেই শিশুর বাবা-মায়ের খোঁজ মিলেছে

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৫ নভেম্বর ২০২০, ০০:৫৫

গত অক্টোবরে কাতারের দোহা বিমানবন্দরের টয়লেটে ফেলে যাওয়া এক নবজাতক শিশুকে নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছিল কাতার-অস্ট্রেলিয়াসহ বেশ কয়েকটি দেশে। টয়লেটের ঝুঁড়ির মধ্যে কন্যা শিশুটিকে পাওয়ার পরপরই অন্তত ১০টি ফ্লাইটের নারী যাত্রীদের নামিয়ে নগ্ন করে শারীরিক পরীক্ষা করে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। এদের মধ্যে বেশিরভাগ ছিলেন অস্ট্রেলীয় নাগরিক। ফলে এ নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখায় অস্ট্রেলিয়া সরকার। পরে এ ঘটনার জেরে ক্ষমা চায় কাতার কর্তৃপক্ষ।

এত কাণ্ডের পরও সেসময় শিশুটির বাবা-মাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে হাল ছাড়েনি কাতার প্রশাসন। দীর্ঘ তদন্তের মাধ্যমে অবশেষে পরিচয় মিলেছে তাদের।

গত সোমবার কাতারের পাবলিক প্রসিকিউশন অফিস এক বিবৃতিতে জানিযেছে, শিশুটির বাবা-মা একটি এশীয় দেশের নাগরিক। গত অক্টোবরেই শিশুটির মা কাতার ছেড়েছেন।

ওই নারীকে গ্রেফতারে আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। কাতারের আইন অনুসারে, তার সর্বোচ্চ ১৫ বছর কারাদণ্ড হতে পারে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ওই নারী কাতার ছাড়ার সময় নবজাতক শিশুটিকে বিমানবন্দরের ডিপারচার লাউঞ্জের একটি টয়লেটের ঝুঁড়ির মধ্যে ফেলে দেন এবং গন্তব্যের উদ্দেশে বিমানে গিয়ে বসেন।

শিশুটির বাবা স্বীকার করেছেন, ওই নারীর সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল এবং বাচ্চাটি জন্মের পর সন্তানের ছবির সঙ্গে তার কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন অভিযুক্ত মা।

চিঠিতে লেখা ছিল, ওই নারী তার সদ্যজাত সন্তানকে ফেলে দিয়েছেন এবং নিজ দেশে পালিয়ে গেছেন।

অভিযুক্তদের ডিএনএ পরীক্ষায় তাদের সঙ্গে শিশুটির সম্পর্কের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

অত্যন্ত রক্ষণশীল মুসলিম দেশ কাতারে বিবাহবহির্ভূত শারীরিক সম্পর্ক ও সন্তান জন্মদান কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। এজন্য জেলও হতে পারে দোষীদের। অভিযুক্ত নারী ও পুরুষটির কী শাস্তি হতে পারে তা এখনও নিশ্চিত নয়।

কাতার পাবলিক প্রসিকিউশন অফিস আরও জানিয়েছে, গত ২ অক্টোবর নারী যাত্রীদের বিমান থেকে নামিয়ে আপত্তিকর তল্লাশি চালিয়ে হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কিছু কর্মকর্তা আইন ভঙ্গ করেছেন। এজন্য তাদের সর্বোচ্চ তিন বছর কারাদণ্ড হতে পারে।

এবিএন/শংকর রায়/জসিম/পিংকি

এই বিভাগের আরো সংবাদ