আজকের শিরোনাম :

চীনকে মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্র-ভারত প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৭ অক্টোবর ২০২০, ২০:২৬

চীনের প্রভাব মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নতুন সামরিক চুক্তি করেছে ভারত। নতুন সামরিক চুক্তির আওতায় দেশ দুটি একে অপরের স্যাটেলাইট ও মানচিত্রের স্পর্শকাতর তথ্য ভাগাভাগি করবে। ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন এবং অন্যান্য পূর্ব নির্ধারিত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার জন্য এই ধরণের স্যাটেলাইট তথ্য গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচনা করা হয়।

মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) দিল্লিতে উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠকের পর এই চুক্তির ঘোষণা দেওয়া হয়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধন শক্তিশালী করার অর্থ হলো এই অঞ্চলে চীনের প্রভাব মোকাবিলা করা। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মার্ক এস্পার বৈঠক করেছেন ভারতীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে। অন্যদিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এবং ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। দিল্লিতে এসব বৈঠকের পর দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষরের ঘোষণা দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, বিগত দুই দশক ধরে আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বস্তুগত, মাত্রাগত এবং তাৎপর্যগত দিক দিয়ে ক্রমাগত উন্নত হয়েছে। আলোচনার মাধ্যমে দেশ দুটি জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে আরও নিবিড়ভাবে যুক্ত হতে পারবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

বেসিক এক্সচেঞ্জ অ্যান্ড কোঅপারেশন এগ্রিমেন্ট অন জিওপ্যাটিয়াল কোঅপারেশন (বিইসিএ) নামের এই চুক্তি যুক্তরাষ্ট্র তাদের অল্প কয়েকটি ঘনিষ্ঠ সহযোগীর সঙ্গে স্বাক্ষর করেছে। এই চুক্তির ফলে সামরিক পদক্ষেপের জন্য গুরুত্বপূর্ণ স্পর্শকাতর জিওপ্যাটিয়াল (সুনির্দিষ্ট স্থান সংক্রান্ত) ও অ্যারোনটিক্যাল (বিমানচালনা সংক্রান্ত) তথ্য পাবে ভারত।

এছাড়াও দেশ দুটি পারমাণবিক শক্তি, মৃত্তিকা বিজ্ঞান এবং বিকল্প ওষুধ সংক্রান্ত আরও কিছু চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। তবে এসব চুক্তির মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি বিইসিএ।

ভারত এমন এক সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এই চুক্তি স্বাক্ষর করল যখন লাদাখ সীমান্তে দেশটির সেনাবাহিনী চীনা বাহিনীর সঙ্গে মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে আছে। গত জুনে দুই পক্ষের সেনা সদস্যদের সংঘাতে অন্তত ২০ জন ভারতীয় সেনা নিহত হয়। তারপর থেকে উত্তেজনা নিরসনে একাধিক পর্যায়ে আলোচনা চললেও কার্যত সীমান্ত উত্তেজনার নিরসন হয়নি।

এছাড়া বিগত কয়েক মাসে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের সম্পর্কও তিক্ত হয়ে উঠেছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বারবার করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় চীনের ভূমিকার সমালোচনা করেছেন। এমনকি হংকং এর নতুন নিরাপত্তা আইন প্রয়োগ নিয়ে বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ওয়াশিংটন।

এবিএন/শংকর রায়/জসিম/পিংকি

এই বিভাগের আরো সংবাদ