আজকের শিরোনাম :

তেজপাতার গুণাগুণ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৪ আগস্ট ২০১৮, ০৯:৫৪

ঢাকা, ০৪ আগস্ট, এবিনিউজ : জীবনটা তেজপাতা হয়ে গেল’- এ রকম নেতিবাচক কথা অনেক সময়ই শোনা যায়। রান্নায় ব্যবহার করা ছাড়াও তেজপাতার রয়েছে হরেকরকম ব্যবহার। জেনে নিন তেজপাতার গুণাগুণ-

* পানিতে তেজপাতা দিয়ে সিদ্ধ করে গোসল করলে ত্বকের অ্যালার্জি সমস্যা কমবে চমৎকারভাবে।
* শরীরে কোথাও ফোঁড়া উঠলে তার ওপর তেজপাতা বেটে প্রলেপের মতো করে দিলে ব্যথা কমবে।
* দাঁতের মাড়ির ক্ষয় কমাতে তেজপাতা চূর্ণ করে দাঁত মাজতে পারেন।
* ঘামাচি দূর করার জন্য তেজপাতা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন, তার পর মিহি করে বেটে নিন। ওই বাটা শরীরে মেখে ঘণ্টা খানেক রাখুন। তারপর গোসল করে ফেলুন।
* চোখ ওঠা উপশম করে।
* দুর্বলতা দূর করে। শারীরিকভাবে দুর্বল ও রোগা মানুষদের জন্য তেজপাতা দারুণ কার্যকরী। কয়েকটাপাতা থেঁতলে ২ কাপ গরম পানিতে ১০-১২ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। এর পর ছেঁকে নিয়ে পান করুন। ২ বার করে টানা ২ সপ্তাহ খেলে শরীরে শক্তিও ফিরে পাবেন।
* তেজপাতা মেশানো গরম পানি দিয়ে গড়গড়া করলে ঠান্ডার উপশম হয়।
* তেজপাতা সিদ্ধ পানি দিয়ে কুলি করুন, অরুচি ও মুখের তেতো ভাব চলে যাবে।

* সবারই কম-বেশি তন্দ্রা ভাব আসে। অত্যধিক তন্দ্রা ভাব রোগও বটে। এর প্রতিকারের জন্য ৫-৭ গ্রাম করে তেজপাতা ৩-৪ কাপ পানিতে সিদ্ধ করে এক কাপ থাকতে নামিয়ে, ছেঁকে বেশ কিছুদিন খেলে দারুণ উপকার পাবেন।
* বলা হয় স্মৃতিভ্রমের হাত থেকে রেহাই পেতে তেজপাতা মেশানো সেদ্ধ পানি আশানুরূপ ফল দেয়।
* যারা বেশি ঘামেন তারা রোজ একবার করে তেজপাতা বাটা মেখে আধাঘণ্টা থাকার পর গোসল করে নিতে পারেন। এতে ঘামের মাত্রাটা কমে যাবে। আবার ঘামাচিরও উপশম হবে।
* আমাদের অনেক সময় ঘন ঘন তেষ্টা পায়। সেক্ষেত্রে ১ লিটার পানিতে তেজপাতা সেদ্ধ করে ছেঁকে নিয়ে ২-৩ বার খান। দেখবেন বার বার তেষ্টা পাচ্ছে না।
* চর্মরোগ হলে তেজপাতা থেঁতলে ৪ কাপ পানিতে সেদ্ধ করে সকাল-বিকেল খেতে হবে। ৪-৫ সপ্তাহ খেলেই চর্মরোগ সেরে যাবে।

এবিএন/সাদিক/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ