এলার্জি সমস্যায় যেসব এড়িয়ে চলবেন

ঢাকা, ০১ আগস্ট, এবিনিউজ : অনেকেই এলার্জি সমস্যায় ভুগছেন। এটি মারাত্মক কোনো রোগ না হলেও একটু অসাবধান হলেই শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে যেতে পারেন যে কেউ। এলার্জির সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য কিছু নির্দেশনা জেনে নিন।

* প্রথমেই জানতে হবে ঠিক কী কারণে আপনার এলার্জি হচ্ছে। এলার্জির জ্বালায় অতিষ্ঠ হয়ে অনেকে নিজে নিজে ফার্মেসিতে গিয়ে ফার্মাসিস্টকে জিজ্ঞেস করেই ওষুধ খান। সেটা না করে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। তার পরামর্শ নিয়েই কোন ধরনের এলার্জি সেটা চিহ্নিত করেই তবে ওষুধ খাবেন। না হলে পরে হতে পারে হিতে বিপরীত।

* চেষ্টা করবেন আপনি যেখানে থাকেন সে জায়গাটিতে যাতে যথেষ্ট আলো-বাতাস ঢুকে। আলো-বাতাস ঢুকলে ঘর থাকবে জীবাণুমুক্ত। ঘরের মধ্যে ধুলাবালি ঢুকতে পারবে না। আর থাকবেন এলার্জি থেকে মুক্ত।

* কিছু ফল কিংবা সবজি আছে যেগুলো এলার্জি আক্রান্ত রোগীরা খেলে বেড়ে যায় সমস্যা। অনেকেরই কচুরলতি কিংবা কচু খেলে মুখে এবং গলায় চুলকানি এবং অস্বস্তি দেখা দেয়। যদি আপনার জানা থাকে কোন খাবারে আপনার এলার্জি থাকে তা হলে সেই সব খাবার থেকে দূরে থাকাই ভালো।

* আপনার জুতা, কাপড়, চুলে লেগে অ্যালার্জি সৃষ্টিকারী ধুলাবালি প্রতিনিয়তই ঘরে ঢুকে যায়। এ ছাড়া ঘরে কোনো পোষা প্রাণী থাকলেও তার মাধ্যমেও ঘরে ধুলাবালি ঢুকে থাকে। এসব কারণে যতটা সম্ভব গৃহস্থালি পরিষ্কার রাখতে হবে। শুধু তাই নয়, বাইরে থেকে এসে মাথার চুল ধুয়ে ফেলাটাও অনেক জরুরি। নয়তো চুলে লেগে থাকা ধুলাবালি বালিশেও লেগে যাবে এবং রাতভর সেই ধুলা লাগা বালিশে ঘুমালে এলার্জির সমস্যা আরও বেড়ে যেতে পারে।

* অনেকেই এলার্জির সমস্যায় চিকিৎসকের দেওয়া নাসাল স্প্রে ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু এই নাসাল স্প্রে ব্যবহারের ক্ষেত্রে অনেকেই নিয়ম মেনে চলেন না। নাসাল স্প্রের অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে নাকের ভেতরের অংশে এবং সাইনাসে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। তাই স্প্রে ব্যবহারেও থাকুন সতর্ক।

এবিএন/সাদিক/জসিম