আজকের শিরোনাম :

উপসর্গহীন করোনা রোগীদের করনীয়

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২০, ২২:৩৮

সারাবিশ্বে বাড়ছে উপসর্গহীন রোগীর সংখ্যা। আমাদের আশেপাশে হয়ত এমন অনেকেই আছেন যারা করোনা আক্রান্ত, কিন্তু আমরা বুঝতেই পারছি না।
সাধারণত প্রাণঘাতী এই ভাইরাস মানুষের হাঁচি-কাশি, থুতু, মুখের লালা বা সরাসরি সংস্পর্শের মাধ্যমে একজন থেকে আরেকজনের শরীরে সংক্রমিত হয়। সেক্ষেত্রে আক্রান্ত হলে সাধারণত জ্বর, সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্টের মতো বেশ কিছু উপসর্গ দেখা দেয়।
করোনা সংক্রমণের সবচেয়ে পরিচিত উপসর্গগুলো হচ্ছে- জ্বর, সর্দি, শুষ্ক কাশি, শ্বাসকষ্ট, গলায় খুসখুস, ডাইরিয়া, স্বাদহীনতা প্রভৃতি।
তবে গবেষণায় দেখা গেছে, এমন অনেকেই করোনা পজিটিভ হয়েছেন কিন্তু তাদের নেই কোনো উপসর্গ। যারা করোনায় আক্রান্ত কিন্তু উপসর্গহীন, তারা বাড়িতেই হোম আইসোলেশনে থাকতে পারেন। কিন্তু সেক্ষেত্রে তাদের বেশকিছু নিয়মনীতি কঠোর ভাবে মেনে চলতে হবে। এমনটাই প্রকাশ করেছে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

উপসর্গহীন কারা?
পরীক্ষা করানোর পরে করোনা পজেটিভ এলেও অনেকের ক্ষেত্রে তেমন কোনো উপসর্গ দেখা যায় না। বিশেষজ্ঞদের মতে, যাদের কফ, শ্বাসকষ্ট, পেশি-সহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে ব্যথা, ক্লান্তি, মাথার যন্ত্রণা, স্বাদ ও গন্ধহীনতা ইত্যদি নেই, তারাই উপসর্গহীন।
উপসর্গহীন আক্রান্তদের থেকে করোনা ছড়াতে পারে, কিন্তু তার সম্ভাবনা প্রবল উপসর্গ রয়েছে যাদের, তাদের তুলনায় কম। উপসর্গহীনদের তেমন কোনো চিকিৎসার দরকার নেই। অন্যদিকে, মৃদু উপসর্গযুক্ত করোনা আক্রান্তদের ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হলো, বাড়িতে থাকার পাশাপাশি ঘরোয়া চিকিৎসা এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া।

বাড়িতে যেসব ব্যবস্থা রাখা উচিত:
উপসর্গহীন বা মৃদু উপসর্গের রোগী হলেও তার সার্বক্ষণিক দেখাশোনার জন্য একজন লোক থাকা জরুরি। অক্সিজেনের ব্যবস্থা রাখতে হবে। থাকতে হবে পালস অক্সিমিটার, ডিজিটাল থার্মোমিটার, পিপিই। হোম আইসোলেশন শুধুমাত্র ৫০ বছরের কম বয়সীদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। গর্ভবতী নারীদের কোনোভাবেই হোম আইসোলেশনে রাখা যাবে না। করোনায় আক্রান্ত কারো হাইপারটেনশন, ডায়াবেটিস, ওবেসিটি, থাইরয়েড হলে উপযুক্ত চিকিৎসাসহ হোম আইসোলেশনে থাকা সম্ভব। কিন্তু ক্যান্সার, কিডনির সমস্যা, হার্টের রোগ, এইচআইভি পজিটিভ, যক্ষায় ভুগছেন, এমন করোনায় আক্রান্তদের হোম আইসোলেশনে রাখা যাবে না। হোম আইসোলেশনে থাকা করোনায় আক্রান্তের সঙ্গে দেখা করতে কেউ আসতে পারবেন না। কিন্তু রোগীকে আনন্দে রাখা, সাহস দেয়ার কাজটা করতে পারেন আত্মীয়স্বজন এবং প্রতিবেশীরা। অকারণে আতঙ্কিত না হয়ে রোগীকে সাহস জোগালে সহজেই জয় করা যাবে মরণঘাতি এই ভাইরাসকে।


এবিএন/ইমরান/জসিম/এসই

এই বিভাগের আরো সংবাদ