রক্তরস প্রয়োগের কার্যকারিতা যাচাইয়ে ৪৪ লাখ টাকা চেয়েছে ডিএমসি
প্রকাশ: ২৪ মে ২০২০, ০০:০৫
প্লাজমা থেরাপি বা রক্তরস প্রয়োগের কার্যকারিতা নিয়ে গবেষণা করছে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত সাতজনকে প্লাজমা থেরাপি দেয়া হয়েছে, যাদের মধ্যে ৬ জনের অবস্থা স্থিতিশীল বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। প্লাজমা থেরাপি বা রক্তরস প্রয়োগের কার্যকারিতা নিয়ে গবেষণা করছে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। একাজে তারা জরুরিভিত্তিতে সরকারের কাছে ৪৪ লাখ টাকা চেয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, অর্থছাড়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় সম্প্রতি বাংলাদেশে শুরু হয়েছে প্লাজমা থেরাপি বা রক্তরসের প্রয়োগ। এ পর্যন্ত পাঁচটি হাসপাতালে সাতজনের দেহে রক্তরস সঞ্চার করেছেন চিকিৎসকরা। এরমধ্যে, একজন মারা গেলেও বাকিদের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল কিংবা উন্নতির দিকে।
চিকিৎসকরা জানান, সাধারণত করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি পুরোপুরি সেরে উঠলে তার শরীরে তৈরি হয় অ্যান্টিবডি বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। করোনাজয়ীর রক্তরস সংগ্রহ করে আক্রান্ত ব্যক্তির দেহে দিলে তার শরীরেও তৈরি হয় অ্যান্টিবডি। তখন সুস্থ হয়ে ওঠেন ওই ব্যক্তিও। এই চিকিৎসা পদ্ধতির কার্যকারিতা খতিয়ে দেখতে ৪৫ রোগীর ওপর পরীক্ষামূলক গবেষণা করছে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল।
রক্তরস প্রয়োগ সংক্রান্ত কমিটির প্রধান অধ্যাপক মহিউদ্দিন আহমেদ খান জানান, দাতার শরীর থেকে রক্তরস বা প্লাজমা সংগ্রহ এবং রক্তে অ্যান্টিবডির পরিমাণ জানতে আলাদা দু'টি কিট লাগে। এধরনের কিট ব্যয়বহুল হওয়ায় গবেষণা এগিয়ে নিতে সরকারের কাছে ৪৪ লাখ টাকা চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। তবে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পরীক্ষামূলক গবেষণার জন্য অর্থছাড়ের প্রক্রিয়া চলছে।
এদিকে, রক্তরস সংগ্রহ শুরু করেছে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল। রক্তের এই হলুদাভ অংশের কার্যকারিতা যাচাইয়ে হাসপাতালটিতে শিগগিরই যুক্ত হচ্ছে প্রয়োজনীয় যন্ত্র ও কিট।
পরীক্ষামূলক গবেষণায় সফলতা মিললেই ব্যাপকভাবে রক্তরস প্রয়োগ করা হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
এবিএন/মমিন/জসিম