আজকের শিরোনাম :

করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৮ জানুয়ারি ২০২০, ১৬:৫০

করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক মঙ্গলবার বলেছেন, বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী পাওয়া যায়নি।

আজ মঙ্গলবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাসের বিষয়ে আমরা একটি আন্তমন্ত্রণালয় সভা করেছি। এ ভাইরাস আমাদের দেশে যেন না আসতে পারে সেজন্য আমরা কাজ করছি।’

তিনি আরও বলেন, বাংলদেশে কেউ যদি করোনাভাইরাসে আক্তান্ত হয় সে বিষয়ে সরকারের পূর্ণ প্রস্তুতি রয়েছে এবং সেটি নিয়ন্ত্রণ করতে পারব।

এ ভাইরাস প্রতিরোধে আগাম ব্যবস্থা নিতে সকল বিমানবন্দর, স্থলবন্দর, নৌবন্দরে চিঠি দিয়ে সতর্ক করা হয়েছে। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্ক্যানিং মেশিন বসানো হয়েছে। অন্যগুলোতে হ্যান্ড স্ক্যানিং মেশিন বসানো হয়েছে, বলেন মন্ত্রী।

করোনাভাইরাসের চিকিৎসা দিতে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এই মুহূর্তে কুর্মিটোলা হাসপাতাল ও মহাখালী সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে স্পেশাল ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এছাড়াও সকল হাসপাতালে চিকিৎসা ব্যবস্থা করতে সকল সিভিল সার্জনকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

জাহিদ মালেক বলেন, চীনের উহান প্রদেশে ৩০০ বাংলাদেশি ছাত্র আছে। চীনেও বাংলাদেশের কোনো ছাত্র এ রোগে আক্রান্ত হয়নি। তাদের দেশে ফেরত আনতে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্ত চীনা সরকার কাউকে দেশে ফেরত যেতে নিষেধ করেছে। তারা ১৪ দিন দেখার জন্য বলেছে।

আরেক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘চীনে ভ্রমণ নিষিদ্ধ করা হয়নি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) থেকে যদি এ ধরনের নির্দেশনা দেয় তখন দেখব। তবে যারা বিভিন্ন কাজে চীনে আসা-যাওয়া করেন তাদের বলব এই মুহূর্তে কিছুদিন আসা যাওয়া না করার আহ্বান জানাচ্ছি।’

বাংলাদেশে এ রোগ নিয়ে কোনো চীনা নাগরিক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, সর্দি, কাশি নিয়ে ইউনাইটেড হাসপাতালে একজন ভর্তি হয়েছে। তবে এ ধরনের কোনো ভাইরাস হয়নি বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘ওই চীনা নাগরিক এখন সুস্থ আছেন। তিনি এখন হাসপাতাল ছাড়তে চান। কিন্তু আমরা আরও কয়েকদিন অবজারভেশনে থাকতে বলেছি।’

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক জানান, প্রতিদিন চীনে ৪টি ফ্লাইটে ৪০০ যাত্রী আসা-যাওয়া করে।

এবিএন/জনি/জসিম/জেডি

এই বিভাগের আরো সংবাদ