লাল খাবার খাবেন কেন?

স্ট্রবেরি, বেদানা, লাল-মরিচ, টমেটো, চেরি ফল, আপেল, পেঁয়াজ, লাল কপি, লাল ক্যাপসিকাম, লাল শাক, তরমুজ, লাল রঙের বীজজাতীয় খাবার ইত্যাদি আরও অনেক ফল ও সবজি পাওয়া যায় বাজারে যাদের রং গাঢ়।

রঙের মিলের কারণে সবগুলোতেই কিছু পুষ্টিকর উপাদান থাকে বিভিন্ন মাত্রায়। লাল রঙের ফল ও সবজি বেশি খাওয়ার যেসব স্বাস্থ্যগত উপকার পাওয়া যাবে-

অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট : ‘অ্যান্থোসায়ানিন’ নামক ‘অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট’ মেলে লাল রঙের খাবারে, যার আছে শক্তিশালী প্রদাহনাশক ক্ষমতা। রক্তসঞ্চালনকারী নালি ও হাড়ের জোড়গুলোর জন্য অত্যন্ত উপকারী। এ ছাড়া লাল রঙের ফল ও সবজিতে মেলে ‘লাইকোপেন’, যা আরেকটি ‘অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট’ এবং খাবারের রং লাল হওয়ার কারণ। ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে এই ‘অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট’ কার্যকর।

পটাশিয়াম : সুস্থ হৃদযন্ত্র আর নিয়ন্ত্রিত রক্তচাপ পাওয়ার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান পটাশিয়াম। আর লাল রঙের ফল ও সবজিতে এই খনিজ উপাদান থাকে প্রচুর পরিমাণে।

ভিটামিন : ভিটামিন এ এবং সি’র চাহিদা পূরণে মাধ্যমে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায় লাল রংয়ের ফল ও সবজি। হৃদরোগ ও বাতের ঝুঁকি এড়াতেও এই ভিটামিন জরুরি। এ ছাড়া স্বাস্থ্যোজ্জল ত্বক, চুল ও নখের জন্য ভিটামিন এ এবং সি গুরুত্বপূর্ণ। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতেও লাল রঙের খাবারের ভূমিকা রয়েছে।

ইলেক্ট্রোলাইটস : শরীরের কোষগুলো যাতে তাদের কাজ সঠিকভাবে করতে পারে সেজন্য চাই ‘ইলেক্ট্রোলাইটস’। পটাশিয়াম, সোডিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম হলো এমন কিছু ‘ইলেক্ট্রোলাইটস’ যা লাল রঙের ফল ও সবজিতে থাকে যথেষ্ট পরিমাণে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও এদের ভূমিকা রয়েছে।

এবিএন/সাদিক/জসিম