আজকের শিরোনাম :

মেহেদি পাতার ঔষধি গুণ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০১৯, ১০:৩৬

প্রাচীনকাল থেকে মেহেদির সঙ্গে মানুষের পরিচয়। ছেলে ও মেয়ে উভয়ই মেহেদির রং-এ রঙিন হতে ভালোবাসে। তবে মেয়েরা অধিক হারে মেহেদি ব্যবহার করে থাকে। এতে তাদের সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পায়। ছেলেরা মাঝেমধ্যে কোনো উৎসবে ব্যবহার করে। কিন্তু মেহেদি পাতা মানব জীবনে অনেক রোগের ক্ষেত্রেও উপকারে আসে। এ পাতার ঔষধি গুণও যে আছে তা আমাদের অনেকেরই জানা নেই।  জেনে নিন মেহেদি পাতার ঔষধি গুণ-

টাক পড়া কমায় : কয়েকটি মেহেদি পাতা সরিষার তেলের সঙ্গে দিয়ে জ্বাল দিন। এটি ঠাণ্ডা হয়ে গেলে মাথার তালুতে ব্যবহার করুন। এটি টাক পড়া প্রতিরোধ করবে।

মাথাব্যথা নিরাময় করে : মেহেদি গাছের ফুল মাথাব্যথা দূর করতে সাহায্য করে। এই ফুল পেস্ট করে এর সঙ্গে ভিনেগার মিশিয়ে নিন। এটি কপালে অথবা ব্যথার স্থানে লাগিয়ে রাখুন। এ ছাড়া আপনি মেহেদির পেস্টও ব্যবহার করতে পারেন।

পায়ের জ্বালাপোড়া কমায় : মেহেদি পাতা ভিনেগারে ভিজিয়ে এক জোড়া মোজার ভেতরে রেখে দিন। এবার এই মোজাটি পায়ে সারা রাত পরে থাকুন। এটি পায়ের জ্বালাপোড়া কমিয়ে দিবে অনেকখানি।

চুলকানি বা ঘা শুকাতে সাহায্য করে : মেহেদির পেস্ট পিঠ, ঘাড় এবং ঘামাচি আক্রান্ত অন্যান্য স্থানে লাগান। এটি ঘামাচির চুলকানি এবং জ্বালাপোড়া হ্রাস করতে সাহায্য করে। এই মেহেদি দিয়ে তৈরি করে নিতে পারেন মাউথ ওয়াশ। মেহেদি পাতা গুঁড়ো পানিতে গুলিয়ে নিন। এবার এটি দিয়ে কুলকুচি করুন। এটি মুখের ঘা দ্রুত ভালো করে থাকে এবং মুখ জীবাণুমুক্ত করে তোলে।

খুশকি দূর করে : খুশকি দূর করতে মেহেদি বেশ কার্যকর। সরিষা তেল, মেথি, মেহেদি পাতা সেদ্ধ একসঙ্গে যোগ করে এটি চুলে ব্যবহার করুন। এক ঘণ্টা পর শ্যাম্পু দিয়ে ফেলুন। এটি খুশকি দূর করে চুলকে করবে ঝলমলে সুন্দর।

ক্ষত সারায় : পুরনো ক্ষত, যেগুলো বার বার ফিরে আসে, এসব ক্ষত সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে মেহেদি। মেহেদিপাতা বেটে এরকম ক্ষতে লাগিয়ে রাখুন।

পা ফাটা : শীতকালে তো পা হরদম ফাটে। তবে কারো কারো বার মাসই পা ফাটার সমস্যা থাকে। এ ছাড়া চামড়া ওঠার সমস্যাও থাকে অনেকের। মেহেদি পাতা বেটে ফাটা জায়গায় পুরু প্রলেপ দিয়ে রাখুন। আধা ঘণ্টা রেখে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে পা ফাটা প্রতিরোধ হবে।

নখের যত্ন : নখ মজবুত ও আকর্ষণীয় করতে মেহেদির জুড়ি নেই। পানিতে কয়েকটি মেহেদি পাতা ভিজিয়ে রাখুন কিছুক্ষণ। পানি হালকা লাল হয়ে আসলে ওই পানি খেয়ে নিতে পারেন।
তথ্যসূত্র : ইন্টারনেট

এবিএন/সাদিক/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ