আজকের শিরোনাম :

জেনে নিন হাড়ের সমস্যার সহজ সমাধান

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১০:১৯

কর্মব্যস্ত যুগে বেশিরভাগ সময়টাই কেটে যায় একনাগাড়ে বসে কাজ করতে করতে। সকালের অফিসে এসে চেয়ার হাঁকিয়ে বসা থেকে রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে টিভির চ্যানেলে চোখ বা ছোটখাটো ঘরোয়া আড্ডা- বসে থাকার বিরাম নেই। এ দীর্ঘ বসে থাকার সূত্র ধরেই শরীরে বাসা বাঁধে ব্যথা-বেদনা। 

বসে থাকলে শরীরের বেশির ভাগ ভার কোমরে এসে পড়ে। ভারের চাপে ক্লান্ত হয় পেশি। শুরু হয় ব্যথা। বসে থাকার ফলে ওজন ও ভুঁড়ি বেড়ে যাওয়ায় সেই বাড়তি চাপও গিয়ে পড়ে হাঁটু–কোমরে। আবার ওজন কমানোর আশায় ভুলভাল ডায়েটিং শুরু করলে অপুষ্টির হাত ধরে হাড় নরম হতে শুরু করে বিপদ বাড়ায়৷ সুতরাং নিয়ম না মেনে ভুল জীবনযাত্রায় অভ্যস্ত হলে কিন্তু হাড়ের ক্ষতি হবে অচিরেই। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়েবে হাড়ের সমস্যাও।

যে সব কারণে সমস্যা
* গায়ে পর্যাপ্ত রোদ না লাগলে ভিটামিন ডির অভাব হয়ে ব্যথা বাড়তে পারে।
* দিনের শেষে আরাম কেদারায় গা এলিয়ে বসে টিভি দেখা বা আড্ডা মারার বদভ্যাস আছে অনেকেরই৷ কিন্তু এতে কোমর-হাঁটু-ঘাড়ের যথেষ্ট সর্বনাশ হয়।
* নিয়ম মেনে কম্পিউটারে কাজ করলে ঠিক আছে৷ কিন্তু তা হয় না প্রায়শই। অধিকাংশ ক্ষেত্রে টেবিলের এক ধারে থাকে মনিটর, মুখের সামনে কি বোর্ড। ফলে কাজ করার সময় ঘাড় বেঁকে থাকে। তারই ফল, ঘাড়ে শক্ত ভাব, ব্যথা।
*কি বোর্ডে আঙুল চালাতে চালাতে আঙুল ব্যথা হয়, কব্জির স্নায়ুতে চাপ পড়ে কব্জি ব্যথা থেকে কারপাল টানেল সিনড্রোম পর্যন্ত হতে পারে। কনুই বা কাঁধ ব্যথাও হয় অনেকের।
* সাধারণ চেয়ারে বসে কাজ করলে ভাল সাপোর্ট থাকে না বলে বাড়ে কোমর ব্যথ।
*চেয়ার-টেবিলের উচ্চতা ঠিক না থাকলে ঘাড়ে-কোমরে সমস্যা হতে পারে।
* হাড়ের ক্যালসিয়াম কমাতে ধূমপান, মদ, ফাস্টফুড, নরম পানীয়র জুড়ি নেই। অথচ বসে কাজ করতে করতে একঘেয়ে লাগলে এ সব খাওয়া চলে ভালো মতো। এতে আরও বিপদ বাড়ে৷

সমাধান
* টানা ঘণ্টাখানেক কাজের পর ৫-৭ মিনিট ছুটি নিন। দু’-একটা স্ট্রেচিং করু।  একটু ঘুরে আসুন। বসার ধরন মাঝেমধ্যে পাল্টান। কোমরের কাছে কুশন রাখুন।
* হাঁটু ব্যথা এড়াতে চেয়ারে বসে পা টেবিলের নিচে রাখা অবস্থায় প্রতি ঘণ্টায় অন্তত এক মিনিট থাইয়ের পেশি শক্ত ও ঢিলে করুন।
* কাজ করতে করতে ঘাড় শক্ত লাগলে চেয়ারে মাথা এলিয়ে চোখ বন্ধ করে থাকুন মিনিট খানেক। মাথা ডানে-বাঁয়ে ঘোরান দু’-চার বার।

* আঙুল ও কব্জি ব্যথা করলে মাঝেমধ্যে বিশ্রাম দিন। অবসর পেলে হাত মুঠো করুন, খুলুন। হাত মুঠো করে কব্জিকে বিভিন্ন দিকে ঘোরান।

বাড়ি ফিরে
* কব্জি ব্যথা হলে গরম পানিতে ডুবিয়ে হাত মুঠো করুন ও ছাড়ুন।
* ব্যথা–বেদনা কম রাখতে পাতলা তুলোর তোশকে মোটামুটি ২ ইঞ্চি মতো উচ্চতার তুলোর বালিশে ঘুমোন। ৬ মাস বা এক বছর অন্তর বালিশ বদলান।
* টিভি এমন জায়গায় রাখুন যাতে চিত হয়ে শুয়ে দেখা যায়।
* প্রতিদিন ২০-৩০ মিনিট হাঁটুন ও মিনিট ২০ হাঁটু, কোমর, ঘাড়, কাঁধ ও হাতের ব্যায়াম করুন।

কী খাবেন, কী খাবেন না
* ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ খাবার যেমন, ডিম, দুধ, দই, ছানা, চিজ, মাংস, ছোট মাছ, কাঁকড়া, খেজুর, নাসপাতির সঙ্গে পর্যাপ্ত ভাত, রুটি, ডাল, শাকসব্জি খান।
* মধ্যবয়সী নারীরা দিনে একটা করে ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট খাবেন৷
* মদ ও সিগারেটে ছেড়ে দিন। 
তথ্য: আনন্দবাজার

এবিএন/সাদিক/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ