আজকের শিরোনাম :

অতিরিক্ত এন্টিবায়োটিক ব্যবহারে ২০৫০ সালে বিশ্বে ৩০ কোটি লোক মৃত্যুঝুঁকিতে থাকবে

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১১ নভেম্বর ২০১৮, ১২:১৬

অকারণে ও অতিরিক্ত ডোজে এন্টিবায়োটিক ব্যবহারের কারণে এন্টিবায়োটিক রেজিস্টেন্স পাওয়ার তৈরি হওয়ায় ২০৫০ সাল নাগাদ বিশ্বের প্রায় ৩০ কোটি লোক মৃত্যুর ঝুঁকিতে থাকবে।

শনিবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এ আশঙ্কা ব্যক্ত করে বলেন, জীবন রক্ষাকারী এন্টিবায়োটিক অতিরিক্ত মাত্রায় মানুষ ও প্রাণী স্বাস্থ্য রক্ষায় এবং প্রাণিখাদ্য ও খামারের উৎপাদন বাড়াতে ব্যবহৃত হয়।

তারা বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ঘনবসতিপূর্ণ দেশ। এখানে জনসংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি বাড়ছে গবাদিপশু ও কৃষি পণ্যের উৎপাদন, যা জুনোটিক প্যাথোজেন্স সৃষ্টির প্রধান ক্ষেত্র। ফলে এখানে সংক্রামক ব্যধির সৃষ্টি হচ্ছে, যা থেকে মানব স্বাস্থ্য রক্ষায় এন্টিবায়োটিক রেজিস্টেন্স পাওয়ারের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

ওয়ান হেলথ বাংলাদেশ- আইসিডিডিআর,বি, পশুসম্পদ বিভাগ, স্বাস্থ্য অধিদফতর ও আরও কতিপয় সংস্থার সহযোগিতায় শনিবার সকালে আইসিডিডিআরবিতে এ সেমিনারের আয়োজন করে।

সেমিনারে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বিশেসজ্ঞরা বলেন, এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বিশ্ব সম্প্রদায়ের পাশাপাশি বিশেষ করে বাংলাদেশের মত তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর সরকারকে আইন প্রণয়ন ও তা কঠোরভাবে প্রয়োগ করে এন্টিবায়োটিকের অপ্রয়োজনীয় ব্যবহার রোধ করতে হবে। রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া এন্টিবায়োটিক বিক্রি ও ব্যবহার সীমিত করে আনতে হবে।

একই সঙ্গে তারা আরও বলেন, এ ধরনের ওষুধের অপ্রয়োজনীয় ও অতিরিক্ত ব্যবহারে চিকিৎসকদের প্রভাবিত করার ব্যাপক বিক্রয় প্রচারণা বন্ধে ওষুধ কোম্পানি ও চিকিৎসকদের ওপর কঠোর নজরদারি করা প্রয়োজন।

মৎস্য ও পশুসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রাইসুল আলম মন্ডল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন পশুসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. হিরেশ রঞ্জন ভৌমিক।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ওয়ান হেলথ-এর সিনিয়র কারিগরি উপদেষ্টা ও পশু চিকিৎসা শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার অধ্যাপক ডা. নিশিথ সি দেবনাথ। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে ডেপুটি এফএও প্রতিনিধি ডেভিড ডোলান ও আইসিডিডিআর,বির সংক্রামক রোগ বিভাগের সিনিয়র ডিরেক্টর অধ্যাপক এলেন রোস।

বাংলাদেশে এফএও-ইসিটিএডি টিম লিডার ডা. এরিক ব্রুম ও ‘এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্টেন্স : ট্রাইপেট্রিয়েল এফোর্ট টু কম্বেট’ শীর্ষক একটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

এ ছাড়া বাংলাদেশ সেন্টার ফর কম্যুনিকেশন প্রোগ্রাম (বিসিসিপি) ‘আউট ব্রেক কম্যুনিকেশন এন্ড এডভোকেসি’ শীর্ষক একটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করে।

এবিএন/সাদিক/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ