আজকের শিরোনাম :

করোনার টিকা তৈরির পর রফতানিও করা হবে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০২১, ১৫:১৫

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের টিকা তৈরি করার পর দেশের চাহিদা মিটিয়ে তা বিদেশেও রফতানি করা হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আমাদের কথা দিয়েছে, করোনার টিকা তৈরি করতে যা যা সাপোর্ট প্রয়োজন তারা সব সাপোর্ট আমাদের দেবে। এতে বাংলাদেশ ভ্যাকসিন তৈরির পর বিদেশেও রফতানি করতে পারবে।

আজ বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে মাদকাসক্তি নিরাময় ও মানসিক স্বাস্থ্য পরামর্শ কেন্দ্রের (ওয়েসিস) উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমরা ৮০ লাখ টিকার ডোজ একদিনে দিয়েছি। যা পৃথিবীর অনেক দেশ এখনো পারেনি। আমাদের সামনে বিজয় দিবস, এ উপলক্ষে ৮০ লাখেরও বেশি টিকা একদিনে দিতে পারব বলে আশা রাখি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনার টিকার জন্য প্রধানমন্ত্রী প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করেছেন। তিনি বলেছেন, যত টাকাই লাগে দেশের প্রতিটি মানুষকে টিকার আওতায় আনা হবে। যাতে করে সারাদেশের মানুষ সুরক্ষিত থাকতে পারে। টিকা নিলে করোনায় আক্রান্ত হলেও অন্তত মৃত্যু ঘটে না।

টিকাদানে বাংলাদেশ অনেক দেশের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে উল্লেখ করে জাহিদ মালেক বলেন, আমরা প্রায় সাড়ে তিন কোটি মানুষকে করোনা টিকার প্রথম ডোজ দিয়েছি। প্রায় দুই কোটি মানুষকে দ্বিতীয় ডোজ দিতে সক্ষম হয়েছি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কমিটমেন্ট ছিল, বাংলাদেশের জন্য ২০ শতাংশ করোনার টিকা ফ্রি দেওয়া। কিন্তু তারা বলেছে, বাংলাদেশ যেহেতু ভালো টিকা দিতে পারছে, এতে আমাদের ৪০ শতাংশ ফ্রি দেওয়া হবে।

মন্ত্রী আরও বলেন, করোনা নিয়ন্ত্রণে না থাকলে দেশের কোনো কিছুই নিয়ন্ত্রণে থাকে না। করোনা এখন নিয়ন্ত্রণে আছে, এটা আমাদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।

তিনি বলেন, দেশে প্রায় ৫০ লাখ মানুষ মাদকাসক্ত। মাদক নিলেই যে মানুষ অপরাধী হয়ে যায় কথাটি সঠিক নয়। মাদককে ঘৃণা করতে হবে, মাদকাসক্তকে নয়। কেউ মাদকাসক্ত হলে তাকে চিকিৎসা দিয়ে ভালো করতে হবে।

বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আজিজুল ইসলাম প্রমুখ। 

এবিএন/সাদিক/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ