আজকের শিরোনাম :

এবার মন্ত্রিপরিষদ সচিবের বাসার কর্মচারীদের টিকা দিলো মেডিক্যাল টিম

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৮:০৫

কেন্দ্রের বাইরে করোনার ভ্যাকসিন দেয়ার নিয়ম না থাকলেও মন্ত্রিপরিষদ সচিবের বাসায় গিয়ে তত্ত্বাবধায়ক ও বাবুর্চিকে টিকা দিয়েছে মেডিক্যাল টিম।
 
করোনা সংক্রমণ রোধে সরকার বিনামূলে টিকা প্রদান করছে। টিকা গ্রহীতারা নির্দিষ্ট কেন্দ্রে গিয়েই টিকা নিচ্ছেন। কিন্তু, টিকাকেন্দ্র ছাড়া বাসায় বা অন্যকোনও জায়গায় টিকা নেয়া দণ্ডনীয় অপরাধ হলেও মন্ত্রিপরিষদ সচিবের বাসভবনে গিয়ে দুই কর্মচারীকে টিকা দেয়া হয়েছে।

জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুরে ১২টার দিকে রাজধানীর মিন্টো রোডে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের বাসভবনে প্রবেশ করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের পরিচালকের গাড়ি। যার নম্বর ঢাকা মেট্রো ঘ-১৮-৪৩৩৯। গাড়িতে করে সচিবের বাসভবনে ঢোকেন বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের একজন সহযোগী অধ্যাপক, হাসপাতালের পরিচালকের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মান্নান হোসাইন এবং একজন নার্স। এরপর তারা মন্ত্রিপরিষদ সচিবের বাসায় কর্মরত তত্ত্বাবধায়ক ও বাবুর্চিকে করোনার টিকা দেন। জানা গেছে, এই দু'জনের টিকা নেয়ার জন্য নিবন্ধনও করা ছিলো না।

ঘটনা জানতে মেডিক্যাল টিমের সাথে যাওয়া হাসপাতালের পরিচালকের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মান্নান হোসাইনকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, 'স্যারের আদেশ মতো আমি সেখানে টিকার বক্স নিয়ে গিয়েছিলাম। তবে, বাসার ভেতরে প্রবেশ করিনি। তাই কাকে টিকা দেয়া হয়েছে তা আমার জানা নেই।'

যে গাড়িতে করে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের বাসায় টিকা নেয়া হয় সেই গাড়িটি শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনিস্টিউটের পরিচালক নিজেই ব্যবহার করেন। গাড়ির চালকের নাম জুয়েল। এ বিষয়ে জুয়েল জানান, ভ্যাকসিন নিয়ে গেলেও তিনি বাসার ভেতরে ঢোকেননি।

সুত্র নিশ্চিত করেছে, মন্ত্রিপরিষদ সচিবের বাসার বাবুর্চি ও গৃহ তত্ত্বাবধায়ককেই এই টিকা দেয়া হয়েছে। কোনও এক কারণে তাদের টিকা নেয়ার নিবন্ধনও করা নেই।

এদিকে, নিয়মবহির্ভূতভাবে প্রভাব খাটিয়ে সচিবের বাসার কাজের লোককে টিকা দিতে একজন সহযোগী অধ্যাপককে পাঠানোর কারণে হাসপাতালের চিকিৎসকরাও ক্ষুব্ধ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন চিকিৎসক বলেন, যে দু'জনকে টিকা দেয়া হয়েছে তারা চাইলেই হাসপাতালে এসে টিকা নিতে পারতেন। বাসার কাজের লোক রাষ্ট্রের এমন কোনও গুরুত্বপুর্ণ ব্যক্তি নন যে তাদেরকে বাসায় গিয়ে টিকা দিতে হবে।

এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এবং হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক আবুল কালামকে বেশ কয়েকবার ফোন দেয়া হয়, কিন্তু কেউই সাড়া দেননি।

অবশ্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে সুনির্দিষ্ট কঠোর নির্দেশনা দেয়া আছে যে, কেন্দ্রের বাইরে গিয়ে কাউকে টিকা দেয়া যাবে না। গত মাসে চট্টগ্রামে বাসায় গিয়ে এক ব্যবসায়ী ও তার বন্ধুকে টিকা দেয়ার অপরাধে স্বাস্থ্যকর্মী বিষু দে’কে বরখাস্ত করা হয়েছিল। ওই ঘটনায় মামলা হবার পর টিকা গ্রহণকারী হাসান ও টিকা গ্রহণে সাহায্যকারী মোবারককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আর বিষু দে ও আরেক টিকা গ্রহীতা সাজ্জাদ পলাতক রয়েছেন।

এবিএন/মমিন/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ