আজকের শিরোনাম :

পাইলসের ব্যথায় ঘরোয়া উপায়

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৯:৪৬

সাধারণত দীর্ঘ সময় ধরে কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়া এ রোগের একটি মূল কারণ। এ ছাড়া শরীরের ওজন বৃদ্ধি, শাকসবজি ও পানি কম খাওয়া, লিভার সিরোসিস, অতিরিক্ত মাত্রায় লেকজেটিভের ব্যবহার অনেক সময় এ রোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তবে পারিবারিক সূত্রেও এ রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থেকে থাকে। সাধারণত বৃদ্ধ বয়সে এ রোগের সম্ভাবনা প্রবল হয়ে দাঁড়ায়।

রোগের লক্ষণ
অর্শ যদি মলদ্বারের ভেতরে হয়ে থাকে তা হলে মলত্যাগ করার সময় রক্তপাত হয়। এ ছাড়া মলদ্বারে যন্ত্রণা, চুলকানি বা মলদ্বারের ফোলা অংশ বাইরে বেরিয়ে আসা এ রোগের লক্ষণ হতে পারে। মলদ্বারের বাইরে অর্শ হলে রক্তপাত ও যন্ত্রণা এ ছাড়া মলদ্বারের বাইরের অংশ ফুলে যাওয়া এ রোগের লক্ষণ হতে পারে।

জেনে নিন উপশমের কিছু ঘরোয়া উপায়-

বরফ : বরফ এ রোগে ব্যথার উপশমে অত্যন্ত আরামদায়ক একটি উপাদান। বরফের ব্যবহার রক্তপাত বন্ধ করে, ফুলে যাওয়া কে কম করে এবং খুব তাড়াতাড়ি আরাম দেয়।

আইস প্যাক বা বরফের কয়েকটি টুকরো একটি কাপড়ে জড়িয়ে আপনার ফুলে যাওয়া অংশটিতে ১০ মিনিট ধরে থাকুন। এ পদ্ধতিতে আপনি দিনে বেশ কয়েকবার বরফের সেক দিলে খুব তাড়াতাড়ি আরাম পাবেন।
অ্যালোভেরা : অ্যালোভেরা অর্শ বা পাইলসের ব্যথা উপশমকারী সবচেয়ে কার্যকর উপাদান। এর অ্যান্টিইন্ফ্লামেটেরি ও থেরাপেউটিক উপাদানগুলো খুব তাড়াতাড়ি যন্ত্রণা বা ইরিটেশন বা চুলকানির উপশম করে। এ উপাদান ইন্টারনাল ও এক্সটারনাল পাইলসের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।

এক্সটারনাল বা মলদ্বারের বাইরে যদি পাইলস হয়ে থাকে তা হলে অ্যালোভেরা জেল মলদ্বারের বাইরের ব্যথা বা যন্ত্রণা হওয়া অংশে হালকা ভবে ম্যাসাজ করুন। এতে আপনার যন্ত্রণা বা জ্বালাপোড়া কম হয়ে যাবে। ইন্টারনাল বা মলদ্বারের ভেতরে পাইলস হলে অ্যালোভেরা কে পাতলা লম্বা অংশে কেটে একটি কন্টেনারে রেখে ফ্রিজে রেখে দিন কিছুক্ষণ। ঠাণ্ডা অ্যালোভেরা আপনার যন্ত্রণার অংশে প্রয়োগ করুন। এতে আপনার যন্ত্রণার উপশম হবে।

আলমন্ড অয়েল : আলমন্ড অয়েল অর্শ বা পাইলসের যন্ত্রণা বা জ্বালা উপশমে অত্যন্ত উপকারী। এ তেল সাধারণত মলদ্বারের বাইরে পাইলসের ব্যথা কমানোর জন্য ব্যবহৃত হয়।

কটন বল বা তুলো আলমন্ড অয়েলে ভিজিয়ে মলদ্বারে ধীরে ধীরে লাগান। এতে পাইলসের ফলে মলদ্বার ফুলে উঠলে তা কমে যায় এবং ব্যথা ও চুলকানির জ্বালা কমে যায়। দিনে ৩-৪ বার এ পদ্ধতিতে আলমন্ড অয়েল প্রয়োগ করলে আরাম পাওয়া যেতে পারে।

ব্ল্যাক টি ব্যাগ : চা পাতায় বর্তমান টান্নিক অ্যাসিড পাইলসের ফলে মলদ্বার ফুলে উঠলে বা যন্ত্রণা হলে তা কমাতে সাহায্য করে।

গরম পানিতে টি ব্যাগ ভিজিয়ে নিন। একটু ঠাণ্ডা হলে উষ্ণ টি ব্যাগ আপনার ব্যথা অংশে প্রয়োগ করুন ১০ মিনিট। দিনে ২ থেকে ৩ বার এর প্রয়োগ আপনার ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।

এ ছাড়া আপনার ডায়েটের বিশেষ খেয়াল রাখুন। প্রচুর পরিমান পানি খান। রাতে শোবার আগে পরিমিত খাবার খান। সবুজ ও আঁশযুক্ত শাকসবজি খান। এতে আপনার পাইলস বা অর্শ হবার সম্ভাবনা কম করে।

এসব উপাদান আপনার ব্যাথা কমাতে সাহায্য করে। তবে অর্শ বা পাইলস হলে কখনই অবহেলা করা উচিত নয়, কারণ অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি আপনার কষ্টকে আরও বাড়িয়ে তোলে। তাই এই ঘরোয়া উপকরণগুলোর সঙ্গে সঙ্গে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

এবিএন/সাদিক/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ