আজকের শিরোনাম :

সূর্যমুখী তেলের স্বাস্থ্যগুণ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১০:৩৪

সৌন্দর্যের পাশাপাশি সূর্যমুখী ফুলের মধ্যে রয়েছে অনেক স্বাস্থ্যগুণ। দৃষ্টিনন্দন সূর্যমুখী বীজের তেলে রয়েছে অসাধারণ কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা। সুস্থ থাকতে অনেকেই নিজেদের রান্নার কাজে এই তেল ব্যবহার করে থাকেন। আজ জেনে নেব সূর্যমুখী বীজের অসাধারণ স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে।

হৃৎস্বাস্থ্যের দেখভাল : এই তেলে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৬ ফ্যাটি এসিড আছে। একে লিনোলিক এসিড হিসেবেও চেনেন অনেকে। দেহে কোলেস্টেরলের ভারসাম্য রক্ষায় এই উপাদানের তুলনা নেই। সূর্যমুখী তেল অ্যাথেরোসক্লেরোসিসের ঝুঁকি হ্রাস করে। আবার হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের আশঙ্কাও কমিয়ে আনে।

ডায়াবেটিস প্রতিরোধ : রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে ওমেগা-৬ ফ্যাটি এসিড। ফলে ডায়াবেটিস প্রতিরোধে এটি বেশ কার্যকর। যারা আগে থেকেই এ তেলে অভ্যস্ত হয়েছেন, তারা ডায়াবেটিস এড়িয়ে চলতে পারেন।

ওজন কমাতে : যারা ওজনের ভারে অস্থির, তাদের জন্য আছে সানফ্লাওয়ার তেল। এর অন্যতম ফ্যাটি এসিড দেহের চর্বি পোড়াতে কার্যকর ভূমিকা রাখে। এ কারণে স্বাস্থ্যসচেতনদের কাছে তেলটি খুবই জনপ্রিয়। খাদ্য তালিকা এদিক-সেদিক না করে শুধু সূর্যমুখী তেল ব্যবহার করে স্বাস্থ্যকর ওজন ধরে রাখা যায়।

চুলের যত্ন : ওলিক এসিডের প্রাচুর্যতাও আছে এই তেলে। আর এটি চুলের জন্য খুবই উপকারী। দ্রুত চুল বৃদ্ধির পাশাপাশি এটি চুলের গোড়া শক্ত করে। চুলের ঔজ্জ্বল্য বৃদ্ধিতেও সহায়ক। তাই অনেক ক্ষেত্রে প্রসাধনী বানাতে সূর্যমুখী তেলের ব্যবহার ঘটে।

ত্বকের স্বাস্থ্য : লিনোলিক এসিড বেশি থাকার কারণে ত্বকের জেল্লা বাড়ে। লোমকূপের গোড়ার ময়লা বের করে আনতে বেশ কাজের। এ উপাদানটি ত্বকের নতুন কোষ গজাতেও সহায়ক হয়ে ওঠে। ত্বকের কয়েক ধরনের সমস্যাও দূর করে।

রোগ-প্রতিরোধী ব্যবস্থা : প্রোস্টাগ্লান্ডিন্স নামের এক ফ্যাটি এসিডের যৌগ গঠনে ভূমিকা রাখে ওমেগা-৬। এতে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

এবিএন/সাদিক/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ