আজকের শিরোনাম :

লবঙ্গ লিভারের কর্মক্ষমতা বাড়ায়

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১০:০৯

লবঙ্গে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাঙ্গানিজ, ভিটামিন কে, ফাইবার, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম এবং ক্যালসিয়াম। এসব উপাদানই নানাভাবে শরীরে কাজে লেগে থাকে। শুধু তাই নয়, ভেতর থেকে শরীরকে এতটা শক্তিশালী করে তোলে যে একাধিক রোগ থেকে মুক্তি মেলে।

লিভারের কর্মক্ষমতা বাড়ায় : লবঙ্গে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরে প্রবেশ করার পর দেহের মধ্যে উপস্থিত টক্সিক উপাদানদের বের করে দেয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই শুধু লিভার নয়, শরীরের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের কর্মক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। 

হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে : লাঞ্চ বা ডিনারের আগে লবঙ্গ দিয়ে বানানো এক কাপ গরম গরম চা খেলে হজমে সহায়ক অ্যাসিডের ক্ষরণ বেড়ে যায়। সেই সঙ্গে পেটের দিকে রক্ত প্রবাহেরও উন্নতি ঘটে। ফলে খাবার হজম হতে সময় লাগে না। তাই যাদের কম ঝাল-মশলা দেওয়া খাবার খেলেও বদ-হজম হয়, তারা লবঙ্গ চা পান করে একবার দেখতে পারেন। 

দাঁতের ব্যথা নিমেষে কমে : লবঙ্গতে উপস্থিত অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদান শরীরে প্রবেশ করার পর এমন কিছু বিক্রিয়া করে যে নিমেষে দাঁতের যন্ত্রণা কমে যায়। তাই তো এবার থেকে দাঁতে অস্বস্তি বা মাড়ি ফোলার মতো ঘটনা ঘটলে কয়েকটা লবঙ্গ চা খেয়ে নেবেন। দেখবেন উপকার পাবেন।

জ্বরের প্রকোপ কমায় : লবঙ্গে থাকা ভিটামিন কে এবং ই, রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে এতটাই শক্তিশালী করে দেয় যে শরীরে উপস্থিত ভাইরাসেরা সব মারা পরে। ফলে ভাইরাল ফিবারের প্রকোপ কমতে সময় লাগে না। 

ত্বকের সংক্রমণ সারাতে কাজে আসে : এবার থেকে কোনো ধরনের ত্বকের সংক্রমণ হলেই চোখ বুজে ক্ষতস্থানে লবঙ্গের রস বা এই প্রকৃতিক উপাদানটি দিয়ে বানানো চা লাগাতে ভুলবেন না। এমনটা করলে দেখবেন কষ্ট কমতে একেবারে সময়ই লাগবে না। আসলে লবঙ্গে উপস্থিত ভোলাটাইল অয়েল শরীরে উপস্থিত টক্সিক উপাদানদের বের করে দেয়। সেই সঙ্গে জীবাণুদেরও মেরে ফেলে। ফলে সংক্রমণজনিত কষ্ট কমতে একেবারেই সময় লাগে না।

অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল প্রপাটিজে পরিপূর্ণ : একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, এ প্রাকৃতিক উপাদানটির অন্দরে উপস্থিত একাধিক অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল প্রপাটিজ যে কোনো ধরনের জীবাণুকে মেরে ফেলতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই তো সংক্রমণের থেকে দূরে থাকতে অনেকেই নিয়মিত লবঙ্গ খেয়ে থাকেন। 
সূত্র : বোল্ডস্কাই

এবিএন/সাদিক/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ