আজকের শিরোনাম :

বাংলাদেশ ব্যাংকে সোনা মাটি হয়ে যাওয়ার গল্প নিয়ে কিছু কথা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৩ জুলাই ২০১৮, ১৩:২৭

মাহফুজুর রহমান, ২৩ জুলাই, এবিনিউজ : ‘বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা রাখা সোনা মাটি হয়ে গেছে’- এমন একটি ভয়ানক রিপোর্ট নিয়ে সরকার বিব্রত হয়েছেন, জাতি প্রমাদ গুনছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বিতর্কের মুখে পড়েছেন। একটি দৈনিকে সম্প্রতি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে এই রিপোর্টটি ছাপা হয়েছিল। রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, শুল্ক গোয়েন্দারা বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা রাখা ৯৬৩ কেজি সোনা দৈবচয়ন ভিত্তিতে পরীক্ষা করে ভয়াবহ তথ্য পেয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে জমা রাখা ৯৬৩ কেজি সোনা যাচাই করে গুরুতর অনিয়ম পাওয়া গেছে। দৈবচয়ন ভিত্তিতে নির্বাচন করা ৯৬৩ কেজি সোনা পরীক্ষা করে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অনিয়ম ধরা পড়ে। জমা রাখা হয়েছিল ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম ওজনের সোনার চাকতি ও আংটি, তা হয়ে গেছে মিশ্র বা সংকর ধাতু। ছিল ২২ ক্যারেট সোনা, হয়ে গেছে ১৮ ক্যারেট। এর আগে রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, ছিল সোনা, হয়ে গেছে মাটি। ছিল রুমাল, হয়ে গেল একটা বেড়াল।

তথ্যটি ভয়াবহ। দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভল্ট হবে সবচেয়ে নিরাপদ স্থান। এখানে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে শুনে দেশের মানুষ আঁতকে উঠেছেন। মাননীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী পরদিনই বৈঠক করে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি বৈঠক শেষে বলেছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকে এ ধরনের ঘটনা ঘটেনি। তারপরও যদি প্রয়োজন হয়, নিরাপত্তার মান উন্নয়নের ব্যবস্থা করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। আবার সত্যি সত্যি যদি এ ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে, তাহলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও তিনি ঘোষণা দিয়েছেন। একই বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে গণভবনে ডেকে নিয়ে বিষয়টির আশু সুরাহা করতে বলেছেন। সরকার এ বিষয়ে যে উদ্বিগ্ন হয়েছেন এতে কোনো সন্দেহ নেই।

এবার আসা যাক, বাংলাদেশ ব্যাংকে এই সোনার ব্যবস্থাপনা প্রসঙ্গে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভল্ট ছয় স্তরে নিরাপত্তার আবরণে ঢাকা। এখানে দিনের আলোতে সব সিসি ক্যামেরা তো সক্রিয় থাকেই, রাতের অন্ধকারেও নাইট ভিশন ক্যামেরা অতন্দ্রপ্রহরীর মতো লেন্স খুলে রাখে। সোনা রাখার ভল্টের দুটো চাবি দুজন যুগ্ম ব্যবস্থাপকের দায়িত্বে থাকে। এদের একজন জেনারেল সাইডের, একজন ক্যাশ সাইডের। চাবিগুলো আবার জমা রাখা হয় যথাক্রমে কারেন্সি অফিসার এবং উপমহাব্যবস্থাপকের (ক্যাশ) সিন্দুকে।

দেশের বিভিন্ন এলাকায় চোরাই স্বর্ণ ধরা পড়ে প্রধানত শুল্ক গোয়েন্দা, পুলিশ ও র‌্যাবের কাছে। তবে যারাই এ ধরনের স্বর্ণ আটক করেন তারাই সাময়িকভাবে নিরাপদ হেফাজতের জন্য স্বর্ণ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে আসেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের ১০টি শাখার মধ্যে কেবল মতিঝিল অফিসেই এভাবে স্বর্ণ রাখার আয়োজন আছে। স্বর্ণ আটককারী কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিরা ধরা পড়া স্বর্ণ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে এলে স্বর্ণের শুদ্ধতা যাচাই করার জন্য তালিকাভুক্ত স্বর্ণাকারদের ডাকা হয়। এ সব স্বর্ণ বার, খণ্ড বা অলংকার আকারে থাকে। স্বর্ণকাররা শুল্ক গোয়েন্দা বা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রতিনিধিদের সামনে প্রতিটি অলংকার বা স্বর্ণের টুকরো আলাদাভাবে কষ্টিপাথর দিয়ে যাচাই করেন এবং বিশুদ্ধতার সার্টিফিকেট দেন। এ সময় একটি তালিকা তৈরি করা হয়। পরে তালিকাটি টাইপ করে সংশ্লিষ্ট সবার স্বাক্ষর নিয়ে স্বর্ণ ভল্টে জমা করা হয়। তালিকায় বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধিরা, যে বিভাগ স্বর্ণ আটক করে নিয়ে এসেছে সেই বিভাগের প্রতিনিধিরা এবং স্বর্ণকারদের স্বাক্ষর থাকে। স্বর্ণ ভল্টে রাখার পর রেজিস্টারে এন্ট্রি করা হয়। আবার ভল্ট বন্ধ করে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর পাশাপাশি রেজিস্টারে এন্ট্রি দিয়ে চাবি জমা দিয়ে দেয়া হয়।

যারা স্বর্ণ ধরেছেন তারা এবার থানায় একটি মামলা দায়ের করবেন। এভাবে কেইসটি আদালতে যাবে। বিস্তারিত বিষয়াদি বিবেচনা করে আদালত এই ধরা পড়া স্বর্ণ হয় সরকারের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করবেন, নয়তো যার কাছ থেকে স্বর্ণ ধরা হয়েছে তাকে ফেরত দিতে বলবেন। বাংলাদেশ ব্যাংক আদালতের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।

শুল্ক গোয়েন্দারা ২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত সময়ের ভেতর পরিদর্শন কাজ পরিচালনা করেছেন এবং এ বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মহোদয়ের কাছে ২০১৮ সালের ২৫ জানুয়ারি প্রতিবেদন উপস্থাপন করেছেন। রিপোর্টারের ভয়াবহতার শঙ্কা যদি যথাযথ হতো তাহলে ২০১৭ সালের এপ্রিলেই বিষয়টি নিয়ে হৈচৈ শুরু হয়ে যেত। তারা অন্তত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মহোদয়কে তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি জানাতেন। রিপোর্ট প্রদান করতে ২৭০ দিন বিলম্ব করতেন না। এ থেকে বিষয়টি খুবই স্পষ্ট যে, বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশ^াসযোগ্যতাকে হেয় করে সরকারকে বিব্রত করার উদ্দেশেই রিপোর্টটি এভাবে লেখা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ভেতরে রাখা ৯৬৩ কেজির ভেতর মাত্র ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম নিয়ে বিতর্ক উত্থাপিত হয়েছে। এটি আসলে দশমিক ৩৪ ভাগ। আর ভল্টের সবটুকু সোনার বিবেচনায় হয়তো লাখো ভাগের এক ভাগও নয়। আর এখান থেকে স্বর্ণ সরিয়ে ফেলার কথা শুল্ক গোয়েন্দরাও বলছেন না। তারা বলেছেন যে, এখানে বিশুদ্ধতার পরিমাণ কমে গেছে। কিন্তু সোনা বদলে মাটি হয়ে যাওয়ার কথা অবান্তর এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এটি শুরুতে বড় হরফে লিখে জাতিকে চমকে দেয়া হয়েছে, যা সাংবাদিকতার নীতিবহির্ভূত বলেই মনে হয়। তা ছাড়া একটি গোপনীয় প্রতিবেদন কী করে সাংবাদিকের হাতে গেল, বাংলাদেশ ব্যাংক ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মতামত না নিয়ে কেনই বা এটি প্রচার করা হলো, এ সব বিষয় প্রশ্নসাপেক্ষ।

শুল্ক গোয়েন্দারা ৯৬০ কেজি সোনা পরীক্ষা করে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম সোনার যথার্থতা নিয়ে প্রশ্ন উঠিয়েছেন। তারা বলছেন, জমাদানকালে এই স্বর্ণ ছিল ২২ ক্যারেট। এখন এটি হয়ে গেছে ১৮ ক্যারেট। এতে সরকারের ক্ষতি হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, স্বর্ণের এই অংশটুকু প্রকৃতই ১৮ ক্যারেটের ছিল। করণিক ভুলের কারণে এটি ২২ ক্যারেট লেখা হয়েছিল। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে এ ধরনের ভুল হওয়া যথাযথ নয়, এ কথা সত্য। তবে কোনো অসচেতন মুহূর্তে হয়ে যাওয়া এই ভুলের জন্য প্রদত্ত খেসারত অনেক বড় হয়ে গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্ট থেকে স্বর্ণ বাইরে নিয়ে যাওয়া এবং সেটির মান ২২ ক্যারেট থেকে কমিয়ে ১৮ ক্যারেট করে আবার এনে ভল্টে রাখা একেবারেই অসম্ভব। আর যদি কোনোভাবে এটি সম্ভব হতো, তাহলে চোর কেন সেখানে ১৮ ক্যারেটের থাল রাখতে যাবে? সে তো ইচ্ছে করলে একটা পিতলের থালকে স্বর্ণের রং লাগিয়ে এনে রাখতেই পারত। সচেতন পাঠকদের মনে আরো একটি প্রশ্ন জাগে যে, যদি স্বর্ণ বের করে আনা এবং বদল করা সম্ভব হয়, তাহলে বাকি ৯৬০ কেজি স্বর্ণ বদল হলো না কেন? কেবল ৯৬০ কেজিই বা বলি কেন? বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে তো আর এই ৯৬০ কেজি সোনাই জমা নেই, এর চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণ সোনা জমা আছে। ভল্টের ভেতরে কোটি কোটি টাকার নোট আছে। এগুলোর কোনটি কোনদিন খোয়া গেছে বলে তো জানা যায়নি। আসলে ভল্টের সিস্টেমটিই এমনভাবে করা যে, কেউ ইচ্ছে করলেও সোনা বা টাকা সরিয়ে ফেলতে পারবে না।

প্রতিবেদনটির এক জায়গায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, ‘সোনার অলংকার এবং সোনার বারে ক্যারেটের তারতম্য করা হয়েছে। ২৪ থেকে ২০ ক্যারেটের ৯৬০ কেজি সোনার বেশিরভাগের ক্ষেত্রে ভল্টে ১৮ ক্যারেট হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়েছে। কম ক্যারেটে নথিভুক্ত থাকায় নিলাম বা অন্য উপায়ে বিক্রির সময় অতিরিক্ত ক্যারেটের বিপরীতে প্রাপ্য টাকা থেকে সরকার বঞ্চিত হবে। সোনার ক্যারেটের তারতম্য ঘটানোর কারণে সরকারের ১ কোটি ৯০ লাখ ৮৫ হাজার ৩৪৬ টাকা ৬৭ পয়সা ক্ষতি হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।’

জমাদানকালে ২৪ ক্যারেট বা ২০ ক্যারেট সোনাকে যখন ১৮ ক্যারেট বলে সার্টিফিকেট দেয়া হলো তখন জমাদানকারী শুল্ক বিভাগের প্রতিনিধিরা স্বাক্ষর করেছিলেন কেন? বর্তমানে বিতর্কিত ৩ কেজি ছাড়া বাকি ৯৬০ কেজি সোনার পরিণতি কী? এগুলো কি ২৪ থেকে ২০ ক্যারেটে আছে, না কি ১৮ ক্যারেট হয়ে গেছে? যদি সার্টিফিকেটে ১৮ ক্যারেট উল্লেখ থেকে থাকে যা সংশ্লিষ্ট সবার দ্বারা স্বাক্ষরিত এবং এখন যদি স্বর্ণগুলো ১৮ ক্যারেটই থেকে থাকে তাহলে তো কারো আপত্তি থাকার কথা নয়। সার্টিফিকেট ও নথিতে ১৮ ক্যারেট লেখা এবং বাস্তবেও ১৮ ক্যারেট রয়েছে, এমন হয়েছে বলেই এটা নিয়ে কোনো আপত্তি উত্থাপিত হয়নি। কিন্তু প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, ২৪ থেকে ২০ ক্যারেটের সোনাকে ১৮ ক্যারেট লেখা হয়েছে। যদি ঘটনাটি সত্য হয়েই থাকে তাহলে বাজারে নিলামে বিক্রির সময় ২৪ ক্যারেট সোনার দাম তো বেশিই পাওয়া যাবে। এখানে সরকারের লোকসানের কথা আসছে কেমন করে! কাগজে লেখার চেয়ে অধিক উন্নতমানের সোনার দাম বেশি হবে এটাই স্বাভাবিক। কারণ সোনার ক্রেতারা সোনা পরীক্ষা করেই সোনা কিনবেন, সার্টিফিকেটের তথ্য দেখে কিনবেন না। কাজেই এই বক্তব্যটিও সচেতন পাঠকের চোখ এড়িয়ে যাবে না।

১৯৭২ সালের বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডারের বলে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠা হয়েছে। নিয়মানুসারে ব্যাংকটি স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ সম্পন্ন এবং স্বায়ত্তশাসিত হওয়ার কথা। প্রশাসনিক কিছু দুর্বলতা এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রয়োজনাতিরিক্ত অভিভাবকত্বের ফলে বাংলাদেশ ব্যাংকের যোগ্যতা ক্রমে প্রশ্নের মুখে পড়ছে। আর এরই সুযোগ নিয়ে অনেকেই বারবার বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সততাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে চলেছেন। বাস্তবতার নিরিখে বিবেচনা করা হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা অত্যন্ত সততার সঙ্গে তাদের দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু দেশের অর্থনীতির ক্রম অগ্রসরতা এবং দারিদ্র্য দূরীকরণে সরকারের সাফল্য হয়তো কারো কারো মনে ঈর্ষার সৃষ্টি করে থাকতে পারে। তাই কারণে অকারণে তারা বারবার বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিই আঙ্গুল উঁচিয়ে ধরছেন। বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটে ব্যাংকের এক কোণে আগুন ধরলে এর পেছনে তারা খুঁজে বেড়ান রিজার্ভ চুরির সংযোগ। ঠিক তেমনই একটি ছোট্ট করণিক ভুলকে ইচ্ছাকৃতভাবে তাল করে তুলে সরকারকে বিব্রত করা হয়েছে। দেশের আর্থিক অগ্রগতির দৃপ্ত পদক্ষেপকে কাঁপিয়ে দেয়া হয়েছে। দেশের মানুষ অবশ্য প্রতিবেদনটির অসাড়তা সম্পর্কে ভালোভাবেই বুঝতে পেরেছে এবং তাদের সন্দেহের অবসান হয়েছে। কিন্তু এ ঘটনার পেছনের রহস্যটি উদঘাটন করা অত্যন্ত জরুরি। বিশেষ করে এই গোপন প্রতিবেদনটি মিডিয়ার হাতে কে বা কারা তুলে দিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন। অন্যদিকে প্রয়োজনের সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের নীরব হয়ে থাকার নীতিও পরিহার করতে হবে। ব্যাংকের সততার কথা গলা উঁচু করেই জানান দেয়ার সময় এসেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের পাবলিক রিলেশন্স বিভাগকে কচ্ছপের ভূমিকা ত্যাগ করে জিরাফের মতো গলা উঁচু করে কথা বলতে হবে। তবেই অনেক সমস্যার সমাধান হবে।  (ভোরের কাগজ থেকে সংগৃহীত)

লেখক : প্রাক্তন নির্বাহী পরিচালক, বাংলাদেশ ব্যাংক

এই বিভাগের আরো সংবাদ