সংস্কৃতি ও আমাদের প্রজন্ম

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৯ মে ২০১৮, ১৮:০৪

বাসুদেব খাস্তগীর, ০৯ মে, এবিনিউজ : সংস্কৃতি শব্দটার সাথে আমরা সকলেই পরিচিত। একটি দেশের পরিচয় মেলে তার আবহমান কালের সংস্কৃতি দিয়ে। সংস্কৃতি হলো সংগীত, শিল্পকলা, সাহিত্য নাটক সহ নানা সৃজনশীল বিভিন্ন উপকরণের সমষ্টি। সমাজ বিজ্ঞানী ই বি টেইলর বলেন, ‘সংস্কৃতি হচ্ছে জ্ঞান বিজ্ঞান, কলা, নীতি, নিয়ম, সংস্কার দক্ষতা যা মানুষ সমাজের সদস্য হিসাবে অর্জন করে’। আর সাহিত্যিক মোতাহের হোসেন চৌধুরীর মতে, ‘সংস্কৃতি মানে সুন্দর ভাবে বিচিত্রভাবে, মহৎ ভাবে বাঁচা’। সংস্কৃতি হচ্ছে একটি জাতি বা গোষ্ঠীর সামগ্রিক জীবনবোধ বা জীবনাচরণ। বাঙালি হিসাবে আমাদেরও রয়েছে নিজস্ব সংস্কৃতি। আমাদেরও রয়েছে দীর্ঘ ঐতিহ্যমণ্ডিত নিজস্ব শিল্পকলা, সাহিত্য সংগীতের মত সমৃদ্ধ বিষয়। এই সমৃদ্ধ বিষয়গুলো আমরা আমাদের চিন্তা চেতনায় যতই ধারণ করে নিতে পারবো ততই আমরা হবো আমাদের সেই ঐতিহ্যের সত্যিকারের ধারক ও বাহক। বংশ পরম্পরায় উত্তরাধিকার সূত্রে আমাদের পরবর্তী বংশধরদের কাছে প্রবাহমান ধারায় প্রবাহিত হবে সেই ঐতিহ্যের স্রোতধারা। কিন্তু তার জন্য চাই আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের কাছে সেই সংস্কৃতির বীজ রোপণ। এখানে দায়িত্ব আছে সকলের। আমার আপনার সন্তানরা কী মতাদর্শে বড় হচ্ছে, তাদেরকে আমরা আমাদের সংস্কৃতি, ঐতিহ্যের নানা দিকগুলোর আলোকে কতটুকুই বা আলোকিত করতে পারছি সে সম্পর্কে সজাগ থাকা প্রয়োজন। কথাটুকু এজন্য বলা, বর্তমান আকাশ সংস্কৃতির যুগে সমাজে নৈতিকতা ও অবক্ষয়ের যে সীমাহীন বিস্তার ঘটছে, তা সচেতন অভিভাবক মহলকে ভাবিয়ে তুলছে নিঃসন্দেহে। আমাদের দীর্ঘ ঐতিহ্যমণ্ডিত সাহিত্য, সংস্কৃতির বিষয়গুলো গতানুগতিক পাঠ্যক্রমের পাশাপাশি যতই আমরা আমাদের সন্তানদের কাছে নিয়ে যেতে পারবো যতই তারা দূরে সরে যেতে পারে নৈতিকতা ও অবক্ষয়ের মত জীবন বিনাশী জগৎ থেকে। তাদের মধ্যে এগুলো জাগ্রত করে রাখা এতো সহজ কাজ নয়। মানুষকে বলা হয় পরিবেশের দাস। পরিবেশ মানুষকে সময়ে যে শিক্ষা দান করে অন্য কিছু হয়তো ততটা পারে না। একটি শিশুকে তার শৈশবে যে শিক্ষা প্রদান করা হয়, শিশুটি সে ভাবাদর্শে মনস্তাত্ত্বিক ভাবে বেড়ে ওঠে। সুতরাং একজন শিশুর জন্য তার শৈশবের শিক্ষাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পারিপার্শ্বিকভাবে একটি শিশু যদি শিশুকাল থেকে সাহিত্য সংস্কৃতির প্রতি অনুরাগী হয়ে ওঠে, তাহলে তার জীবনাবোধ, জীবনাচরণে হয়ে উঠতে পারে একজন প্রকৃত মানুষ। নৈতিকতা ও অবক্ষয়ের মরণব্যাধি তাকে স্পর্শ করতে পারে না। তবে এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ও ঘটে না তা নয়, তবে ব্যতিক্রম কখনো উদাহরণ হতে পারে না। এজন্য পরিবার হওয়া উচিত তার প্রকৃত পাঠশালা। অভিভাবকদের উচিত শিশুকালেই তার সন্তানদের পড়ালেখার পাশাপাশি তার কোন বিষয়ে আগ্রহ আছে তার দিকে লক্ষ রাখা। পড়ালেখার পাশাপাশি সাহিত্য, সংস্কৃতি, শিল্পকলা, নাট্যকলা, সংগীত, খেলাধুলার বিষয়গুলোতে তার আগ্রহের বিষয়ে মনযোগী হওয়া দরকার তার অভিভাবকদের। ছোটবেলা থেকেই তার মধ্যে নানা ধরনের বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলা প্রয়োজন। সচেতন ভাবে অগ্রসর এতে পড়াশুনার পাশাপাশি সমাজে নিজেকে সে নিয়ে যেতে অনন্য এক উচ্চতায়। বর্তমানে একটি প্রজন্ম সাহিত্য সংস্কৃতির এই বিষয়গুলো থেকে অনেক দূরে, বিষয়গুলো নিয়ে তারা ভাবে না, কিংবা পারিপার্শ্বিক অবস্থার কারণে তাদের সম্পৃক্ত করা কঠিন থেকে কঠিনতর হচ্ছে। এক সময় আমরা গ্রামে বসবাস করতাম, সেই গ্রামের পরিবেশ কে মনে করলে এখন আর সেই গ্রাম খুঁজে পাই না। ক্লাব ছিলো,পাঠাগার ছিলো, ক্লাবে বিতর্ক হতো, বিভিন্ন উৎসবে নাটক, পালাগান হতো ,কিছুরই এখন সহজে দেখা মেলে না। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সহশিক্ষা কার্যক্রম একটি বাধ্যতামূলক বিষয়। কীভাবে বড় হয়ে ওঠবে আমাদের প্রজম্ম ? শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যে সাহিত্য সংস্কৃতির চর্চা হতো তাও এখন ম্রিয়মান। বিতর্ক, বিভিন্ন মনীষীদের জন্ম–মৃত্যু দিবস পালন কিংবা বিভিন্ন দিবস উপলক্ষে দেয়াল পত্রিকা বের করার যে সংস্কৃতি তা বিলুপ্ত হতে বসেছে প্রায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। দেয়াল পত্রিকা প্রকাশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সাহিত্য চর্চার একটি অন্যতম অনুষঙ্গ ছিলো, কিন্তু এখন এর দেখা মেলা ভার। বর্তমানে প্রতিষ্ঠিত অনেক লেখকের লেখালেখির গোড়াপত্তন ঘটেছে কিন্তু এই দেয়াল পত্রিকার হাত ধরেই। পরিবার এবং প্রাথমিক শিক্ষার স্তর থেকেই বিষয়গুলো দেখভাল করা দরকার। কারণ একট শিশুকে যে পারিপার্শ্বিক পরিবেশে আমি আপনি বড়ো করে তুলবো সেটাই সে তার জীবনাদর্শে প্রতিফলিত করার চেষ্টা করবে। প্রাথমিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে ছাত্রছাত্রীর উপস্থিতি নিশ্চিত করার জন্য নানান কর্মসূচি নির্ধারণ করা হয়েছে। ছাত্রছাত্রীদের সংস্কৃতিবান সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য প্রয়োজন আরো গঠনমূলক পদক্ষেপ। ছোটবেলা থেকেই পাঠাভ্যাস গড়ে তোলা খুবই জরুরি। পরিবার ও প্রাথমিক বিদ্যালয় হতে পারে এক্ষেত্রে তার প্রথম পাঠশালা। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গড়ে তোলা হতে পারে বাধ্যতামূলক পাঠাগার। যেখানে শিশুমনস্ক ছড়া, কবিতা, গল্প, আমাদের ইতিহাসের ঐতিহ্যের বইয়ে সমৃদ্ধ হতে পারে পাঠাগারটি। প্রশাসনিক স্তর থেকে তার মনিটরিং এর ব্যবস্থা রাখা যেতে পারে। কিন্তু কিছু ব্যক্তিগত উদ্যোগ ছাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যায়ে পাঠাগার প্রতিষ্ঠার উদাহরণ নেই বললেই চলে। ফলে শিশুকাল থেকে ছাত্রছাত্রীরা নির্ধারিত পাঠ্য বইয়ের বাইরে অন্য বইয়ের থেকেও জ্ঞান আহরণের বিভিন্ন ক্ষেত্র আছে তার গুরুত্বই উপলব্ধি করতে পারছে না। কিন্তু মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক ও ডিগ্রি লেবেলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বাধ্যতামূলক পাঠগারের ব্যবস্থা আছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বীকৃতি নবায়ন কিংবা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার পরিদর্শনের অনেক শর্তের মধ্যে একটি হচ্ছে পাঠাগার এবং তাতে নির্দিষ্ট সংখ্যক বই অবশ্যই থাকতে হবে। মাধ্যমিক পর্যায় থেকে ডিগ্রি পর্যায় পর্যন্ত প্রায় প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানে সমৃদ্ধ পাঠাগার আছে। কিন্তু পরিতাপের বিষয় আমাদের অভিজ্ঞতা বলে, সে পাঠাগারে বইপড়া ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা খুবই কম। কারণ পাঠাভ্যাসে সমৃদ্ধ ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা দিনে দিনে কমে যাচ্ছে। ঐ যে বললাম ছোটবেলা থেকে অভ্যস্ত না হয়ে গড়ে ওঠার সংস্কৃতি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কমে যাচ্ছে খেলাধুলা, সংগীত ও সাহিত্য বিষয়ক প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠান। পাশাপাশি দেখি বিনোদনমূলক কর্মসূচিরও দৈন্য। বিশ্ববিদ্যালয়কে আমরা বলি উন্মুক্ত জ্ঞান অর্জনের চর্চা কেন্দ্র। যেখানে পড়াশুনার পাশাপাশি থাকবে নিজেকে বিকশিত করার নানা ক্ষেত্র। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মানে শুধু নির্ধারিত সিলেবাসে পাঠদান করার প্রতিষ্ঠান নয়। এটি প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি ছাত্রছাত্রীদের মননশীল, সংস্কৃতিবান মানুষ হিসাবে গড়ে তোলার একটি প্রতিষ্ঠান। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে সে দায়িত্ব পালন করতে হবে এবং পালন করার জন্য প্রয়োজন পৃষ্ঠপোষকতা। শিক্ষার লক্ষ্য হচ্ছে দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখা। দেশের অর্থনীতিতে অবদানহীন শিক্ষা রাষ্ট্রের বোঝা। দেশের অর্থনীতিতে অবদান হতে পারে বহুমুখী। দেশের ছাত্রছাত্রীদের লেখাপড়ার পাশাপাশি সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও সাহিত্যের বিভিন্নমুখী দিক সমাজে অবদান রাখতে পারে বিভিন্নভাবে। শিক্ষার সাথে সামাজিক, সাংস্কৃতিক, সাহিত্যের সম্পর্কহীনতা ছাত্রছাত্রী তথা যুব সমাজকে করছে পথভ্রষ্ট। সাম্প্রতিক কিছু ঘটনা প্রবাহ আমাদের দৃষ্টিকে করেছে প্রসারিত। যে ধরনের ছাত্ররা অনৈতিক বা সন্ত্রাসবাদের মত কার্যকলাপে লিপ্ত হতে দেখা গেছে তা কেউ কল্পনাও করতে পারে নি। বাংলাদেশের নামী দামী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের এসব কার্যকলাপে সম্পৃক্ততা আমাদের শংকিত করে তুলেছে। শিক্ষার বাণিজ্যমুখীতা আমাদের শিল্প সাহিত্যের বিষয়গুলো থেকে ছাত্রছাত্রীদের দূরে সরিয়ে দিচ্ছে। এটা ছাত্রছাত্রীদের ব্যর্থতা নয়, ব্যর্থতা রাষ্ট্রের,সমাজের। দেশের অধিকাংশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা বেড়ে উঠছে একটি শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি চর্চার নির্মল সুন্দর, মুক্ত পরিবেশ থেকে বঞ্চিত হয়ে। এক ধরনের বন্দী জেল খানার মত পরিবেশ, যেখানে এ বিষয়গুলোর চর্চার সুযোগ খুবই সীমিত। ফলে কেউ কেউ জড়িয়ে যাচ্ছে অপকর্মে। দেখা গেছে অনেকেরই অনেকদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পর্কই ছিলো না। বিষয়গুলো যখন সামনে আসে তখন নানা পদক্ষেপের কথা শোনা যায়। পরবর্তীতে সে গুলোর মনিটরিংই হয় না। দেশে অতীতে এরকম কিছু ঘটনার প্রেক্ষিতে ছাত্রছাত্রীরা ক্রমাগত দশদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনুপস্থিত থাকলে তার অভিভাবককে ডেকে তার কারণ জানতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। এখন এর আদৌ কার্যকারিতা আছে কীনা জানা নেই। আমাদের মনে রাখতে হবে শিল্প ও সাহিত্যের নানা দিক আমাদের জীবনেরই অনুষঙ্গ। সবাইকে এতে জড়িত থাকতে হবে এমন কোন কথা নেই, কেউ জড়িত থাকবে, কারো কারো ভালোবাসা থাকবে এর প্রতি, কারো থাকবে সমর্থন। এই নিয়ে গড়ে ওঠবে একটি সুন্দর সমাজ। আমরা আমাদের সন্তানদের যার যার মানবিক ধর্মীয় মূল্যবোধে গড়ে ওঠতে সহায়তা করতে পারি, কিন্তু ধর্মান্ধতা যেনো তাকে আচ্ছন্ন করে না ফেলে সে দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। কুসংস্কার, কূপমুণ্ডকতার করাল গ্রাসে সে মোহবিষ্ট না হয় সেটা দেখা বর্তমান সময়ে খুব প্রয়োজন। তাকে অনুসন্ধিৎসু মনের অধিকারী করে তোলাও শিক্ষার লক্ষ্য হওয়া উচিত। ভারতের প্রখ্যাত কথা সাহিত্যিক মহাশ্বেতা দেবী বলেছেন, ‘যারা লেখাপড়া জানে না তারাই শুধু মূর্খ নয়,যারা জানতে বুঝতে চায় না, যারা প্রশ্ন করতে পারে না, যাদের জ্ঞান তৃষ্ণা নেই তারাও মূর্খ’। পড়ালেখার পাশাপাশি শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতি, খেলাধুলা চর্চার বিষয়গুলো মানুষের মনকে অনুসন্ধিৎসু করে তুলে। সে ভাবতে শেখে, সে চিন্তাশ্রয়ী হয়ে ওঠে। শিক্ষাবিদ আবুল ফজল বলেছেন,‘মনুষ্যত্ব তথা মানব ধর্মের সাধনাই সংস্কৃতি এবং সাধনাই জীবনকে করতে পারে সুন্দর সুষ্ঠু’। আমাদের সন্তানদের প্রকৃত মানুষ হয়ে গড়ে ওঠার জন্য এদেশ, সমাজ, রাষ্ট্র ও পরিবারের দরকার সমন্বিত প্রয়াস। প্রাথমিক স্তর থেকেই একেবারে শিক্ষার সকল স্তরে শিক্ষার পাশাপাশি সহশিক্ষার কার্যক্রম অবারিত করে তার যথাযথ প্রয়োগে দরকার শক্তিশালী মনিটরিং ব্যবস্থা । কিন্তু এদেশের বহুধা বিভক্ত শিক্ষা ব্যবস্থা আমাদের সন্তানদেরকে চিন্তা চেতনায় বহুধা বিভক্ত করে গড়ে তুলছে। যার সুদূরপ্রসারী প্রভাব কিন্তু নেতিবাচক। এবারের পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রার োগান নির্ধারণ করা হয়েছিলো লালনের একটি বিখ্যাত গানের লাইন দিয়ে ‘মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি’। আমাদের সন্তানদের শুধু নামের মানুষ নয়, প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে তোলাই হোক রাষ্ট্র, সমাজ অভিভাবকদের চিন্তা চেতনার কেন্দ্রবিন্দু।

লেখক : অধ্যাপক, বি.এম.সি কলেজ, চট্টগ্রাম।
(সংগৃহীত)

এই বিভাগের আরো সংবাদ