রবীন্দ্রনাথের যুক্তিবাদী মানস
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৮ মে ২০১৮, ১৯:১৮ | আপডেট : ০৮ মে ২০১৮, ১৯:২৫
সুভাষ সিংহ রায়, ০৮ মে, এবিনিউজ : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একজন যুক্তিবাদী মানুষ ছিলেন। একবার শান্তিনিকেতনে এক বিতর্কসভার আয়োজন করা হয়েছিল। বিষয় ছিল মহাত্মা গান্ধী সঠিক, না রবীন্দ্রনাথ? এবং সেই সভার পৌরহিত্য করেছিলেন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ। টানটান উত্তেজনায় ভরা সেই বির্তকে মহাত্মা গান্ধীর পক্ষের বিতর্ক দল জয়লাভ করেছিল। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সভাপতির বক্তব্যে বললেন তার আশ্রম প্রতিষ্ঠা সফল হয়েছে, যুক্তির জয় হয়েছে। আবার গান্ধীজী ভূমিকম্পকে অস্পৃশ্যতার পাপে বিধাতার কোপ বলে মন্তব্য করেন অর্থাৎ তিনি বলতে চাইলেন যে বিহারের মানুষ অস্পৃশ্যতার বিচার বেশি করে বলে সেই পাপের শাস্তি হিসেবে বিধাতা বিহারে ভূমিকম্প ঘটিয়েছেন। গান্ধীজীর মন্তব্যের প্রতিবাদ করে রবীন্দ্রনাথ বলেন, ‘অস্পৃশ্যতার পাপে যাহারা হত বা আহত হইয়াছে, যাহাদের গৃহাদি ধ্বংস হইয়াছে, বিধাতার শাস্তি তাহাদের উপর পড়িল, আর সারা দেশে যাহারা স্পর্শদোষ মানিয়া চলিতেছে তাহারা তো দিব্য বাঁচিয়া রহিল- এ কবি কেন, কাহারও পক্ষে মহাত্মাজীর এই যুক্তি মানিয়া লওয়া সম্ভব নহে।’ আর জওহরলাল ‘আত্মজীবনী’তে লিখলেন : ‘বিহারের অধিবাসীদের অস্পৃশ্যতার শাস্তি হিসেবে ভূমিকম্প হয়েছে গান্ধীজীর এই বক্তব্য পড়ে আমি স্তম্ভিত হই। এরকম মন্তব্য সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর। তার এই মন্তব্যের প্রত্যুত্তরে রবীন্দ্রনাথ যা বলেছেন তার সঙ্গে আমি সম্পূর্ণ একমত।’
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এক অসাধারণ প্রবন্ধের নাম ‘বিবেচনা ও অবিবেচনা’। সেখানে তিনি জোর দিয়ে বলেছিলেন, “আমরা যাঁহাদের কথা বলিতেছি তাঁহারা স্বভাবতই চলিষ্ণু, কিন্তু এ দেশে জন্মিয়া সে কথাটা তাঁহারা একবারেই ভুলিয়া বসিয়াছেন- এইজন্য যাঁহারা ঠিক তাঁহাদের এক দলের লোক, তাঁহাদের সঙ্গেই অহরহ হাতাহাতি করিতে পারিলে ইঁহারা আর-কিছু চান না। এই শ্রেণীর লোক আজকাল অনেক দেখা যায়। ইঁহারা তাল ঠুকিয়া বলেন, স্বাধীনতা-হীনতায় কে বাঁচিতে চায় রে! আক্ষেপ করিয়া বলেন, ‘আমাদের প্রভুদের মানা আছে বলিয়াই আমারা পৌরুষ দেখাইতে পারি না। অথচ সমাজের চোখে ঠুলি দিয়া তাহাকে সরু মোটা হাজার বাঁধনে বাঁধিয়া মানার প্রকাণ্ড ঘানিতে জুড়িয়া একই চক্রপথে ঘুরাইবার সব চেয়ে বড় ওস্তাদ ইঁহারাই। বলেন, এ ঘানি সনাতন, ইহার পবিত্র স্নিগ্ধ তৈলে প্রকম্পিত বায়ু একেবারে শান্ত হইয়া যায়। ইঁহারা প্রচণ্ড তেজের সঙ্গেই দেশের তেজ নিবৃত্তির জন্যই লাগিয়াছেন; সমাজের মধ্যে কোথাও কিছু ব্যস্ততার লক্ষণ না দেখা দেয় সেজন্য ইঁহারা ভয়ংকর ব্যস্ত। এই সত্যটা আমাদের জানা দরকার যে, ন্যায়দণ্ডটা মানুষের হাতেই আছে, এবং ভয় বা রাগ উপস্থিত হইলেই সে হাত টলে। তর্কে জিতিলেই যদি জিত হইত তবে এ কথা বলা চলিত যে, রাগদ্বেষের দ্বারা আইনকে টলিতে দেওয়া উচিত নহে, তাহাতে অধর্ম হয়, অনিষ্ট হয় ইত্যাদি। এ-সমস্তই সদ্যুক্তি তাহাতে সন্দেহ নাই। কিন্তু ইহার উপর ভর দিয়া একেবারে দুই চক্ষু বুজিয়া থাকিলে চলে না। যাহা ঘটে, যাহা ঘটিতে পারে, যাহা স্বভাবসংগত, আমরা দুর্বল বলিয়াই যে আমাদের ভাগ্যে তাহার অন্যথা হইবে বিধাতার উপরে আমাদের এতবড়ো কোনো দাবি নাই। সমস্ত বুঝিয়া, জোয়ার- ভাঁটা রৌদ্র-বৃষ্টি সমস্ত বিচার ও স্বীকার করিয়া লইয়া, যদি আমরা যাত্রা আরম্ভ করি তবে নৌকা লেশমাত্র টলিলেই অমনি যেন একটা অদ্ভুত কাণ্ড ঘটিল বলিয়া একেবারে হতবুদ্ধি হইয়া পড়ি না।”
প্রকাশ থাকে যে, কংগ্রেসের এক বিশেষ অধিবেশনের পরই মোহম্মদ আলি জিন্নাহ অসহযোগ প্রশ্নে কংগ্রেস ত্যাগ করেন। এই জিন্নাহকেই একদা সরোজিনী নাইডু ‘হিন্দু মুসলিম ঐক্যের দূত’ বলে অভিহিত করতেন। যা হোক , সে আরেক ভিন্ন আলোচনা। তখন দেখব যে রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে জিন্নাহর কোথাও মনের একটা ক্ষীণ মিল ছিল। আগের বছর (১৯১৯) কংগ্রেসের অমৃতসর অধিবেশনে রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে নেতাদের উদাসীনতায় ক্ষুব্ধ জিন্নাহই ১৯২০ সালের ১৩ এপ্রিল মুম্বাইয়ে জালিয়ানওয়ালাবাগ দিবসের প্রথম বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে রবীন্দ্রনাথের শারীরিক উপস্থিতি প্রার্থনা করেন এবং প্রত্যুত্তরে রবীন্দ্রনাথ অনুষ্ঠানে পাঠ করার জন্য একটি লিখিত ভাষণ জিন্নাহকে পাঠিয়ে দেন। আমরা জানি, ১৯১৯ সালের ১৩ এপ্রিল সংঘটিত হয় ইতিহাসের জঘন্যতম জালিয়ানওয়ালবাগের হত্যাকাণ্ড। এদিন অমৃতসরের চারদিকে পাকা প্রাচীরের ভেতর চলছিল একটি ব্রিটিশবিরোধী সভা। বের হওয়ার পথ ছিল একটিই। হঠাৎ ব্রিটিশ সামরিক অফিসার জেনারেল ডায়ারের নেতৃত্বে একদল সৈন্য বেপরোয়া গুলি চালাতে থাকে জনসমাবেশের দিক লক্ষ্য করে। ১৬০০ রাউন্ড গুলি চালানোর পর গুলি ফুরিয়ে যায়। কতজন নিহত বা আহত হয়েছে তার হিসাবের চেয়ে বরং কতজন বেঁচেছিল, সে হিসাব সহজে করা যায়। ক্ষোভে, ঘৃণায় রবীন্দ্রনাথ ইংরেজদের দেয়া নাইট (স্যার) উপাধি প্রত্যাখ্যান করেন। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয়, গভর্নর জেনারেলের একজন এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের সভ্য স্যার শঙ্করণ নায়ার তার বার্ষিক চৌষট্টি হাজার টাকার বেতনের চাকরিতে ইস্তফা দেন কিন্তু ‘নাইট’ খেতাব বর্জন করেননি। অথচ এর পরবর্তী কংগ্রেসের অধিবেশনে চাকরি ত্যাগ করার জন্য স্যার শঙ্করণ নায়ারকে অভিনন্দন জানিয়ে একটি প্রস্তাব পাস করা হলেও ‘নাইট’ ত্যাগ করার জন্য রবীন্দ্রনাথকে নন্দিত করে যে প্রস্তাব করা হয়েছিল, তা কংগ্রেসে তুলতেই দেয়া হয়নি। এটি ছিল কংগ্রেসের অমৃতসর অধিবেশনের একটি কলঙ্কজনক ঘটনা। কংগ্রেস তখনও ব্রিটিশের দেয়া খেতাবের নেশায় বিভোর ছিল। তাই রবীন্দ্রনাথ নন্দিত হলেন না। বাঙালিদের অবদানকে সবসময় খাটো করে দেখা হয়েছে, এ ঘটনা তার একটা প্রমাণ। যা হোক, ইংরেজ সরকারের নানাবিধ নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের কোনো উপায় না পেয়ে, দেশনেতাদের কাছ থেকে কোনো সমর্থন, কোনো সাড়া না পেয়ে নিঃসঙ্গ রবীন্দ্রনাথ ২৯ মে রাতে ভাইসরয় লর্ড চেমসফোর্ডকে এক চিঠি লিখতে বসলেন। সবাই যখন নিদ্রিত, কবি তখন জাগ্রত। পরদিন ৩০ মে সকালে ওই চিঠি একই সঙ্গে ভাইসরয়কে এবং বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশের জন্য পাঠানো হল। স্বয়ং রবীন্দ্রনাথকতৃক বাংলা অনুবাদ প্রকাশিত হল ‘বসুমতী’ পত্রিকায়। লিখেছেন, ‘স্বদেশের কল্যাণ কামনায় আমি এইটুকুমাত্র সংকল্প করিয়াছি যে আমাদের বহুকোটি ভারতীয় প্রজা অদ্য আকস্মিক আতঙ্কে নির্বাক হইয়াছে, তাহাদের আপত্তিকে বাণী দান করিবার সমস্ত দায়িত্ব এই পত্রযোগে আমি নিজে গ্রহণ করিব। অদ্যকার দিনে আমাদের ব্যক্তিগত সম্মানের পদবীগুলি চতুর্দিকবর্তী জাতিগত অবমাননার অসামঞ্জস্যের মধ্যে নিজের লজ্জাকেই স্পষ্টতর করিয়া প্রকাশ করিতেছে।’ এর আগে অ্যানি বেসান্তকে অন্তরীণ করার প্রতিবাদে সুব্রহ্মণ্য আয়ারও নাইটহুড প্রত্যর্পণ করেছিলেন।
ছাত্র ও যুব-মানসে এ নিয়ে চরম ক্ষোভ ও হতাশা দেখা দেয়। এবং তাই এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ করা যায়, রাজনৈতিক সব জটিল সময়ে রবীন্দ্রনাথ যুক্তির পথ দেখিয়েছেন। আমরা জানি, ১৯১৯ সালের ১৩ এপ্রিল বিকালে অমৃতসরের জালিয়ানওয়ালাবাগের হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল। পাঞ্জাবে তখন সামরিক আইন থাকার ফলে এবং বাইরে সংবাদ প্রকাশের সব পথ বন্ধ করে দেয়ার জন্য জালিয়ানওয়ালাবাগের তথা পাঞ্জাবের ঘটনাবলির খবরাখবর দেশবাসী জানতেই পারেনি। আর ১৯১৯ সালে ১০ এপ্রিল গান্ধীজীকে লেখা রবীন্দ্রনাথের চিঠিটি ১৬ এপ্রিল কলকাতা ‘ইন্ডিয়ান ডেইলি নিউজ’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। কলকাতায় এসে প্রথমে গান্ধীজীকে খবর পাঠালেন যে দু’জনে মিলে সামরিক আইন ভেঙে পাঞ্জাবে প্রবেশ করবেন। কিন্তু গান্ধীজীর কাছ থেকে সম্মতিসূচক কোনো উত্তর না পেয়ে রবীন্দ্রনাথ গেলেন দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জনের কাছে। বলেলেন, একটা সভা ডাকুন, তিনিও কিছু বলবেন। তাতে দেশবন্ধু বললেন, সভাটা রবীন্দ্রনাথই ডাকুন, নিজেই বক্তৃতা দিন, নিজেই সভাপতি হোন। দেশবন্ধুর কথাতে রবীন্দ্রনাথ ভাবলেন তাকে একাই সব করতে হলে তিনি একা যা পারবেন, তা-ই করবেন। রাত জেগে ২৯ মে নিজের নাইটহুড ত্যাগ করে ভাইসরয় চেমসফোর্ডকে চিঠি লিখে পাঠিয়ে দিলেন। তা একই সঙ্গে পাঠিয়ে দিলেন বিভিন্ন সংবাদপত্রে। রবীন্দ্রনাথের নাইটহুড ত্যাগে ব্রিটিশ প্রভাবাধীন পত্রিকাগুলো স্বভাবতই তার সম্পর্কে নানা বিরূপ মন্তব্য করে। এদিকে ডিসেম্বরে অমৃতসরে অনুষ্ঠিত হল জাতীয় কংগ্রেসের বার্ষিক অধিবেশন। ‘লাহোর ট্রিবিউনে’র সহসম্পাদক অমল হোম ওই অধিবেশনে পৌঁছে একটা কাগজে নাইটহুড ত্যাগে রবীন্দ্রনাথকে অভিনন্দন জানানোর জন্য অনুরোধ লিখে সভাপতি মতিলাল নেহরুকে দেন। পরবর্র্তীকালে ‘পুরুষোত্তম রবীন্দ্রনাথ’ গ্রন্থে অমল হোম লিখেছেন, মতিলাল কাগজটা পড়ে চশমার খাপ দিয়ে চেপে রাখেন এবং ঘটনাটা লক্ষ করে মোহাম্মদ আলি জিন্নাহ বলেন যে ওই কাগজটা অমল হোম তার হাতে দিলে ভালো করতেন। পরের বছর জিন্নাহ মুম্বাইয়ে ১৩ এপ্রিল জালিয়ানওয়ালাবাগ দিবস পালন করেন এবং তাতে রবীন্দ্রনাথকে আমন্ত্রণ জানান। উত্তরে রবীন্দ্রনাথ এক দীর্ঘ ভাষণ পত্র লিখে পাঠান জিন্নাহকে। এভাবে রাউলট আইন পর্বে রবীন্দ্রনাথ-গান্ধী-জিন্নাহ কাহিনীর সমাপ্তি ঘটে, কিন্তু রাউলটের সুবাদে গান্ধীজী হয়ে উঠলেন ভারতের প্রধান জননেতা।
রবীন্দ্রনাথ অসহযোগ আন্দোলনের বিরোধিতা করেননি; কিন্তু যুক্তি দিয়ে সবকিছুই বিচার করেছেন। রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন যে তার প্রধান আপত্তি ছিল অসহযোগ আন্দোলনের নামে জোর-জবরদস্তিতে সব মানুষকে এক ছাঁচে ঢেলে, এক মতে এনে, এক কাজে বাধ্য করানোতে। তখন গান্ধীজী বলেছিলেন, রবীন্দ্রনাথের আপত্তিটা অমূলক, কারণ গান্ধীবাদীরা অহিংসায় বিশ্বাসী। গান্ধীজীর উত্তর শুনে রবীন্দ্রনাথ তাকে বারান্দায় নিয়ে গিয়ে দেখান, গান্ধীবাদী স্বেচ্ছাসেবকরা অদূরে চিৎপুর রোডের দোকান থেকে বিলিতি কাপড় চুরি করে এনে পথের ওপর পোড়াচ্ছে। রবীন্দ্রনাথ ভেবেচিন্তেই ‘চুরি’ শব্দটা ব্যবহার করেছিলেন, কারণ হিসেবে বলেছিলেন যে খুচরা দোকানদাররা পাইকারের কাছ থেকে দাম দিয়ে কাপড়গুলো এনেছিল খদ্দেরদের কাছে বিক্রির জন্য, সুতরাং অহিংসবাদী স্বেচ্ছাসেবকদের উচিত ছিল দোকানদারের কাছ থেকে দাম দিয়ে কাপড় কিনে এনে পোড়ানো।
প্রথম মহাযুদ্ধের ভয়াবহতা দেখে রবীন্দ্রনাথের মন জাতীয়তাবাদের প্রতি বিরূপ হয়ে ওঠে এবং সে বিরূপতা প্রকটিত হয় ‘Nationalism’ গ্রন্থখানিতে। এই গ্রন্থটির প্রতিক্রিয়া এতদূর গড়ায় যে, এক মার্কিন প্রবাসী জাতীয়তাবাদী ভারতীয় গোষ্ঠী ১৯১৬-র অক্টোবরে মার্কিন মুলুকে ভ্রমণরত রবীন্দ্রনাথকে হত্যার চেষ্টা করছে বলে খবর রটে যায়। তখন তার নিরাপত্তার জন্য মার্কিন মহল বিশেষ উদ্যোগ নেয়। অন্ধ জাতীয়তাবাদ মানুষকে অন্ধ আবেগে তাড়িত করতে পারে এই উপলব্ধি রবীন্দ্রনাথের মনে জন্ম নেয়। বিশ্বজাতিকতা বিশ্বমানবিকতার আদর্শ। তখন শিকাগো থেকে পুত্র রথীন্দ্রনাথকে ১৯১৬-র ২৮ অক্টোবর লেখেন, ‘শান্তিনিকেতন বিদ্যালয়কে বিশ্বের সঙ্গে ভারতের যোগের সূত্র করে তুলতে হবে। বীরবল বলেছিলেন, ‘সমালোচনা, কাব্য সমালোচনার তিনটি জাতি আছে- উত্তম, মধ্যম এবং অধম। যে সমালোচনায় কোনো ব্যক্তি বা গ্রন্থের দোষগুণ বিচার করা হয়, তাই উত্তম; যাতে কেবল প্রশংসা করা হয় তা মধ্যম এবং যাতে শুধু নিন্দা করা হয় তা অধম।’ কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিজে উত্তম-মধ্যমের পক্ষপাতী ছিলেন; অধম সমালোচনা করার প্রবৃত্তি তার ছিল না।
সুভাষ সিংহ রায় : লেখক ও গবেষক
(সংগৃহীত)
(সংগৃহীত)
এই বিভাগের আরো সংবাদ