এগিয়ে যাওয়ার দৃঢ়তায় যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্ক

  ড. এ কে আব্দুল মোমেন

০৪ আগস্ট ২০১৯, ১০:৩৭ | অনলাইন সংস্করণ

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র সরকারের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ধর্মীয় স্বাধীনতাবিষয়ক মন্ত্রী পর্যায়ের বৈশ্বিক সম্মেলন। সারা বিশ্বের ১০৬টি দেশের প্রতিনিধি ও ৪০টি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা অংশগ্রহণ করেন এ সম্মেলনে। আমাদের এবারের সফরের উদ্দেশ্য ছিল সেই সম্মেলনে যোগদান এবং ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সম্প্রীতি রক্ষায় বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্ববাসীর কাছে স্পষ্ট করে তুলে ধরা। বাংলাদেশ মানবতার দেশ, ধর্মীয় সম্প্রীতির দেশ। গোটা বিশ্বে একমাত্র বাংলাদেশেই সব ধর্মের লোক ধর্মীয় বিশেষ দিনগুলোতে রিলিজিয়াস হলিডে বা ধর্মীয় ছুটি পালন করে। এ দেশের মূলনীতিই হলো ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। শুধু মানবতার খাতিরে বাংলাদেশ ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে। সম্মেলনে উপস্থিত বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা বাংলাদেশের এই সাহসী ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। রোহিঙ্গা ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র সব সময় বাংলাদেশের পাশে আছে বলে জানিয়েছেন সে দেশের প্রতিনিধি। বস্তুত রোহিঙ্গাদের সেবাদানে এখন পর্যন্ত তাদের সাহায্য সবচেয়ে বেশি। এই সফরে বিভিন্ন সিনেটর, কাউন্সিলর, আন্তর্জাতিক নানা সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় ও সৌজন্য বৈঠকে উঠে আসে নানা প্রসঙ্গ।

বিশ্বে বাংলাদেশি পণ্যের অন্যতম বড় বাজার হলো যুক্তরাষ্ট্রে। রেমিট্যান্স অন্তঃপ্রবাহের ক্ষেত্রে এ দেশের অবস্থান প্রথম কয়েকটি দেশের তালিকায়। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ দ্বিপক্ষীয় উন্নয়ন অংশীদার। গত বছর ১৭ কোটি ৪০ লাখ ডলার বিনিয়োগ করে চতুর্থ স্থানে ছিল যুক্তরাষ্ট্র। আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক নিরাপত্তা, জঙ্গিবাদবিরোধী পদক্ষেপ গ্রহণ ও জলবায়ু পরিবর্তন প্রসঙ্গে উভয় রাষ্ট্রের বেশ কিছু সহায়তামূলক পদক্ষেপ চলমান। মার্কিন প্রশাসনের আন্তর্জাতিক উন্নয়নমূলক পদক্ষেপ, খাদ্য নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য উন্নয়ন এবং পরিবেশ উন্নয়নমূলক বেশ কিছু কাজে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান সহযোগী। উভয় দেশের সম্পর্ক নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরেরও মন্তব্য, ‘স্পন্দনশীল, বহুমুখী এবং অপরিহার্য’।

যেকোনো দেশের জন্য ঈর্ষণীয় পরিমাণ প্রবৃদ্ধি আজ বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন জিডিপিতে। দারিদ্র্য প্রবঞ্চনা কমছে, বাড়ছে মানুষের মাথাপিছু আয়। বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশের তালিকায় এখন বাংলাদেশের অবস্থান প্রথম দিকে। ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়নের প্রতিটি সূচকের মান অর্জন করবে বাংলাদেশ। ২০৪১ সালের মধ্যে হবে উন্নত দেশ। দেশের কূটনীতিও হাঁটছে অর্থনৈতিক বিস্তারের লক্ষ্য সামনে রেখে। বিভিন্ন দেশের সঙ্গে স্থাপন করছে নতুন নতুন অর্থনৈতিক সম্পর্ক। সরকারের দূরদর্শী, দায়িত্বশীল পররাষ্ট্রনীতি ও কূটনৈতিক প্রচেষ্টার ফলে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সাফল্য এখন সর্বজনবিদিত। প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে পুরনো বিরোধ মিটিয়ে সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনার সরকারের অন্যতম বড় কূটনৈতিক সাফল্য। এই সাফল্যের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের পুরনো অর্থনৈতিক মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক আরো এগিয়ে নেওয়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত।

মার্কিন কূটনীতিকদের মতানুযায়ী বাংলাদেশের প্রতি মার্কিন নীতি হলো ‘তিনটি ডি’; অর্থাৎ ডেমোক্রেসি বা গণতন্ত্র, ডেভেলপমেন্ট বা উন্নয়ন এবং ডিনায়াল অব স্পেস ফর টেররিজম বা জঙ্গিবাদের জন্য স্থান না দেওয়া। ২০১৬ সালের হিসাব অনুযায়ী এশিয়ার মধ্যে আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের পর সবচেয়ে বেশি মার্কিন সহায়তা লাভ করে বাংলাদেশ। বর্তমানে বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান কৌশলগত সামরিক মিত্রও যুক্তরাষ্ট্র। উভয় দেশের মধ্যে বঙ্গোপসাগরে প্রায়ই যৌথ কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে থাকে। বাংলাদেশ সামরিক বাহিনীর সঙ্গে মার্কিন প্যাসিফিক কমান্ড নিয়মিত কার্যক্রম বজায় রাখে। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বিশেষ বাহিনী সোয়াডস গঠনে আমেরিকার ও দক্ষিণ কোরীয় বিশেষ বাহিনীর নকশানুযায়ী যুক্তরাষ্ট্র সহায়তা করেছে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণকারী বিশ্বের বৃহত্তম দেশ বাংলাদেশ। বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের অংশগ্রহণের অন্যতম সমর্থক যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির সরকার জাতিসংঘের শান্তি মিশনে সবচেয়ে বৃহৎ অর্থসম্পদ প্রদানকারী দেশও বটে।

বাংলাদেশের বৃহত্তম রপ্তানি বাজার হলো যুক্তরাষ্ট্র। এ দেশের তৈরি পোশাক শিল্পের একক ক্রেতা হিসেবেও যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে বড়। গত বছর দেশটির বাজারে পোশাক রপ্তানিতে ৬ দশমিক ৬৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হলেও চলতি বছরের প্রথম চার মাসে (জানুয়ারি-এপ্রিল) তা বেড়ে ১৩ দশমিক ৯১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। চার মাসে রপ্তানি হয়েছে ৪২৩ কোটি ডলারের পোশাক। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পোশাক রপ্তানি বাণিজ্য বৃদ্ধির সুফল বৃহৎ পরিসরে পাচ্ছে মূলত বাংলাদেশ, ভিয়েতনাম ও ভারত। সে দেশে এই তিন দেশের পোশাক রপ্তানি বেড়েছে যথাক্রমে ১৩ দশমিক ৯১, ১২ দশমিক ৮৮ ও ১০ দশমিক ৭৬ শতাংশ।

২০১৩ সালে রানা প্লাজা ধসের পর যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানিতে ধস নামে ব্যাপকভাবে। ওই বছরের ১০ দশমিক ৬৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি বছর ঘুরতেই কমে নেমে আসে ২ দশমিক ২৯ শতাংশে। ২০১৫ সালে পৌনে ১২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়। পরের দুই বছর আবারও রপ্তানি কমে যায়। সরকার উদ্যোগী হয় রপ্তানি বাণিজ্য বিস্তৃত করতে। বছরের শেষ দিকে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের বাণিজ্যযুদ্ধ শুরু হলে দৃশ্যপট দ্রুত পরিবর্তন হতে থাকে। অতিরিক্ত শুল্কের হাত থেকে রেহাই পেতে যুক্তরাষ্ট্রের ব্র্যান্ড ও ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের অনেকেই তাদের ক্রয়াদেশ চীন থেকে সরিয়ে বাংলাদেশসহ অন্য দেশে নিয়ে আসতে শুরু করে। চলতি বছর সেটি আরো বেড়েছে। গত জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ওভেন পোশাকে আয় হয়েছে প্রায় ২৩১ কোটি ডলার। আগের বছরের চেয়ে যা প্রায় ২৩ শতাংশ বেশি। এ সময় নিট পোশাক রপ্তানিতে আয় হয়েছে ৭৭ কোটি ডলার। প্রবৃদ্ধি ৮ দশমিক ৫ শতাংশ। সব মিলিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রথম ছয় মাসে আয় এসেছে ৩০৯ কোটি ডলার। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৯ দশমিক ৮ শতাংশ। এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ করা যেতে পারে, টি-টি-পি পলিসি যা বাংলাদেশের প্রতিদ্বন্দ্বী পোশাক রপ্তানিকারকদের ট্যারিফ বা আবগারি শুল্ক শূন্যের কোটায় নিয়ে যাওয়ার একটা প্রস্তাব ছিল, তা বাতিল করে ট্রাম্প সরকার। এটি বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির ধারা সচল রেখেছে।

ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব কমার্সের আওতাধীন অফিস অব টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেলের (অটেক্সা) তথ্য বলছে, যুক্তরাষ্ট্রে চলতি বছরের প্রথম চার মাসে ৭২ কোটি বর্গমিটারের সমপরিমাণ কাপড়ের তৈরি পোশাক রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। এ ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে ২০১৮ সালে বাজার হিস্যা ছিল ৬ দশমিক ৫২ শতাংশ। চলতি বছরে চার মাস শেষে সেটি বেড়ে ৬ দশমিক ৬১ শতাংশ হয়েছে। বাংলাদেশ গত বছর মোট দুই হাজার ৬৬০ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি হয়েছে ২০ শতাংশ বা ৫৪০ কোটি ডলারের পোশাক। এই আয় দেশটিতে ২০১৪ সালের ৪৮৩ কোটি ডলারের রপ্তানির চেয়ে ১১ দশমিক ৭৪ শতাংশ বেশি। ২০১১ সালের পর এটিই এ বাজারে সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি।

বাংলাদেশে প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগকারী বৃহত্তম দেশ যুক্তরাষ্ট্র। এখানে বৃহত্তম আমেরিকান বিনিয়োগ করা হয় শেভরনের মাধ্যমে, যারা বাংলাদেশের ৫০ শতাংশ প্রাকৃতিক গ্যাস উত্তোলন করে থাকে। ২০১৪ সালে উভয় দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ছয় বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

দক্ষিণ এশিয়ায় আমেরিকার অন্যতম প্রধান মিত্র বাংলাদেশ। অর্থনৈতিক গুরুত্ব ছাড়াও অবস্থানগত কারণে বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র। এবারের সফরে যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটর ব্র্যাড শেরম্যান, এলিয়ট এংগেল, কংগ্রেসম্যান মিজ গ্রেস মেংয়ের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে উঠে আসে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের নানা দিক। এসব বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এ দেশে বিনিয়োগ সম্ভাবনা তুলে ধরা হয়েছে। প্রাকৃতিক তন্তু পাট ও পাটজাত দ্রব্যের ব্যবহারের সুফল এবং এসব দ্রব্য ও পণ্য বাংলাদেশ থেকে আমদানি করার ক্ষেত্রে সিনেটরদের ভূমিকা রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে দেশে চলমান রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে যুক্তরাষ্ট্রের মূল ধারাকে আরো সম্পৃক্ত করতে ভূমিকা রাখার অনুরোধ করা হয়েছে। তারা এসব বিষয়ে আন্তরিকতার সঙ্গে তৎপর হবে বলে জানিয়েছে।

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে সফল বৈঠক হয়েছে এবার। চলমান রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়ে তিনি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, এই সংকটের সমাধানে তিনি সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। জাতিসংঘ মহাসচিব রোহিঙ্গা ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশের জনগণের উদারতা ও মানবিক সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন। তা ছাড়া ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালকের সঙ্গেও রোহিঙ্গা বিষয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ ও পালাও রাষ্ট্রের মধ্যে আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন এবারে যুক্তরাষ্ট্র সফরের আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। নিউ ইয়র্কের বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে পালাওয়ের রাষ্ট্রপতি থমাস এসাং রেমেনগেসাউ জুনিয়র এবং আমার উপস্থিতিতে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন ও জাতিসংঘে নিযুক্ত পালাওয়ের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত নেডিকাস ওলাই উলুডংয়ের মধ্যে উভয় দেশের সরকারের পক্ষে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তি বাংলাদেশ ও পালাওয়ের মধ্যে বন্ধুত্বের সুদৃঢ় সম্পর্ক রচনা করবে, পারস্পরিক সহযোগিতার দিগন্ত বিস্তৃত করবে। পাশাপাশি এটি ব্যবসা-বাণিজ্য ও পর্যটনে পারস্পরিক বিনিয়োগ, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলা, দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস, আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষার ক্ষেত্রেও অবদান রাখবে। চুক্তিটি স্বাক্ষরের মাধ্যমে উভয় দেশ জাতীয় সার্বভৌমত্বের প্রতি পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও আঞ্চলিক সংহতি বজায় রাখা, অন্য রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করাসহ জাতিসংঘের নীতিমালা এবং আন্তর্জাতিক আইনগুলোর প্রতি তাদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত হয়েছে।

নানা দিক থেকে এবারের সফর ছিল বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। যুক্তরাষ্ট্র সব সময় গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের পাশে থাকবে বলে জানিয়েছে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। সার্বিক দিক বিবেচনায় বাংলাদেশের মন্ত্রী পর্যায়ের এবারের যুক্তরাষ্ট্র সফর ছিল উভয় দেশের মধ্যে চলমান অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ককে আরো নিবিড়ভাবে এগিয়ে নেওয়ার একটি সফল পদক্ষেপ।

লেখক : মন্ত্রী, পররাষ্ট্রবিষয়ক মন্ত্রণালয়

এই বিভাগের আরো সংবাদ