গুজব আর মিথ্যার বেসাতিতে যখন ভরে যায়
সামাজিক দুর্বৃত্তায়নের একটি কলাকৌশল হচ্ছে গুজব রটানো আর মিথ্যার বেসাতিতে ভরিয়ে দেয়া। দুষ্টু লোকেরা এ সুযোগটি গ্রহণ করে অনেক ক্ষেত্রেই পার পেয়ে যায়। ইদানীং মিথ্যা গুজব ‘কল্লা চাই’ থেকে শুরু করে ‘ছেলেধরা’সহ বিভিন্ন ধরনের অপকর্মে এরা লিপ্ত। গুজবের কারণে আর মিথ্যার দাপটে অনেক ক্ষেত্রেই ভাল ও সৎ এবং নিরপরাধ ব্যক্তিরা হয়রানি এমনকি মৃত্যুর শিকার হচ্ছেন। সমাজে ছোট বড় লঘু জ্ঞান নেই। ক্ষমতার মানদণ্ডে অশান্তি সৃষ্টিকারীরা সংঘবদ্ধ চক্র হিসাবে কাজ করছে। অমানবিক পরিবেশে দু’জন শিশু যখন তার মাকে হারায়- গুজব রটনাকারীদের দু-একজনের বিচার হলেও কিন্তু কিছুই হয় না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আইনের পথ ধরে মূল অপরাধীকে ধরতে চেষ্টা করে। কিন্তু তুবা আর মাহি তার মাকে ইহজনমে খুঁজে পাবে না। এ ধরনের ঘৃণ্য অপরাধপ্রবণতা গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্ব এবং বাংলাদেশের উন্নয়নকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে তৎপর। আর এ কারণেই সম্প্রতি তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ যথার্থই মন্তব্য করেছেন, ‘ছেলেধরা গুজব প্রথমে লন্ডন থেকে পোস্ট দেয়। আর সেটা এখানকার কিছুৃ বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মী মনিটরিং করে সারাদেশ ছড়িয়ে দেয়। এভাবে ডালপালা গজিয়ে ছেলেধরা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।’
বস্তুত যারা গুজব রটাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা প্রয়োজন। বিচারের দীর্ঘসূত্রতা অনেক ক্ষেত্রে প্রলম্বিত করে শাস্তি পেলেও ততক্ষণে যে ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে সেটা মুছে ফেলা দুরূহ হয়ে যাচ্ছে। এ অচলায়তন ভাঙতে হালে পুলিশ বাহিনীর ওপর নির্ভর করলেই চলবে না- দলমত নির্বিশেষে সবাইকে সামাজিক প্রতিরোধ গড়তে হবে। অবশ্য পুলিশকে সাধুবাদ জানাতেই হয়, তারা ছেলেধরা গুজবে কান না দেয়ার জন্য তৃণমূল পর্যায়ের স্কুলসমূহেও মাইকিং করে আত্মসচেতন করে তুলেছে। মানুষ জন্মগতভাবে পলিটিক্যাল এনিমেল। আর এ গুজবপ্রিয়তা এবং মিথ্যার বেসাতি সামাজিক উন্নয়ন কেবল ক্ষতিগ্রস্ত করছে না নরপৈশাচিক কর্মকান্ডে লিপ্ত রাখছে। রুমানা মন্তব্য করেছেন যে, গুজব এবং গল্পের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে।
এমনকি যারা মিথ্যা বলে, তারা নিজের পরিবারের সমস্যাকেও অনেক ক্ষেত্রে ব্যবহার করছে। কিন্তু ভুলে যাচ্ছে ‘ন্যাচারাল জাস্টিস’ বলে একটি শব্দ আছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ক্ষতি হয়ে যাবে কিন্তু একবার কাচের প্লেট ভাঙলে সে প্লেট জোড়া দিলেও দাগ থেকে যায়। এখন কোন্ পর্যায় গিয়েছে সুবিধাবাদীদের দৌরাত্ম্যতা বিচার করে দেখুন। পত্রিকান্তরে প্রকাশিত রিপোর্টে দেখা যায় যে, মেহেরপুরে ক্লাস ফাঁকি দেয়ার উদ্দেশ্যে ছেলেধরা নাটক সাজিয়েছে শরীফ নামের একজন মাদ্রাসাছাত্র, শেষপর্যন্ত পুলিশের দক্ষতায় প্রকৃত সত্য উদঘাটিত হয়। এখন একজন স্কুলছাত্র যদি এ ধরনের মিথ্যা কথা বলে পার পেয়ে যায়, তবে অন্যরাও উৎসাহিত হতে পারত। গুজব চার ধরনের হয়- ইচ্ছাকৃত গুজব, ভয় থেকে গুজব, আগ্রাসী গুজব এবং অনুমেয় গুজব। বরং শিশু-কিশোর সংশোধনাগারে কয়েকদিনের জন্য রাখা উচিত ছিল। এখন আপনি সত্য বলবেন কিন্তু আগেই তো মিথ্যাবাদী হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন। সমাজের মধ্যে এ ধরনের অরাজকতা একটি ঘৃণ্য অপরাধ। যারা অপরাধ করছেন, তাদের অনেকেই পার পেয়ে যান। এ ধরনের মিথ্যাবাদীরা সমাজের বিভিন্ন স্তরে বিদ্যমান। গোয়েবলসীয় কায়দায় তারা গুজব ও মিথ্যা প্রচারণার মাধ্যমে সমাজের অগ্রযাত্রা, সুস্থ মানবিক পরিবেশ অস্থির করে অন্যায়-অসত্যকে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে তার একটি বক্তৃতায় বলেছিলেন, ‘গুজবে যেন কেউ কান না দেয়।’ বঙ্গবন্ধুর এই সতর্কতা বক্তব্যটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। জাতির পিতা সব সময়ে বাঙালীদের ভালবাসতেন। এমনকি নিজের জীবন উৎসর্গ করে গেছেন বাঙালীদের প্রতি তাঁর অপরিসীম ভালবাসায়। এ ভালবাসা তুলনাহীন অথচ পাকিস্তানী স্বৈরশাসকরা যে অপকর্ম করার দুঃসাহস দেখায়নি একদল বিপথগামী বাঙালী সেই ষড়যন্ত্র করল। বঙ্গবন্ধুর যদি স্বাভাবিক মৃত্যু ঘটত এবং দেশ ও জাতিকে ন্যূনতপক্ষে আরও দশ বছর নেতৃত্ব দিতেন তাহলে অনেক আগেই দেশ মালয়েশিয়া ছাড়িয়ে যেত। মাঝখানে প্রায় পঁচাত্তর থেকে ছিয়ান্নবই আবার দু’হাজার এক থেকে দু’হাজার আট বছরগুলোর অবস্থা ছিল পালতোলা নৌকার মতো। বাঙালীর স্বকীয়তা হারিয়ে গিয়েছিল সন্দেহপ্রবণতা কূটতর্কবাজ এবং একককেন্দ্রিক হয়ে মিথ্যার বেসাতিকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে ইঁদুর দৌড় প্রতিযোগিতা কাকে ল্যাং মেরে কে উঠবে- তার আন্দোলনে লিপ্ত। তাদের এ অসততা জাতির জন্য অকল্যাণকর, মূর্খতা এবং ভ-ামিপূর্ণ হওয়ায় আজ গুজব আর মিথ্যের বেসাতিতে ভরপুর। যে কোন অফিসে ইদানীং অফিস কালচারে ন্যাস্টি ইতরামি অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িয়ে গেছে।
যেগুলোতে ট্রেড ইউনিয়ন আছে, সেগুলোতে আন্দোলন করে একদল কোন কাজ করে না। আরেক দল যারা কাজ করে তাদের ওপর বাড়তি চাপ পড়ে। কেবল যে ফ্যাক্টরিতে এ ধরনের ঘটনা ঘটে তা নয় বরং চিকিৎসা ক্ষেত্র থেকে শুরু করে প্রকৌশল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সর্বত্র এ নোংরামি মাখানো ব্যবস্থা। কোন কোন ক্ষেত্রে নারীদের লাঞ্ছিত করার গুজব রটিয়ে সুবিধাবাদী গোষ্ঠী কার্য উদ্ধার করতে চায়। অথচ প্রকৃত শিক্ষা না থাকার ফলে কিংবা যারা নারী ও শিশু নির্যাতন করে বেঁচে যাচ্ছে তাদের বিচারের আওতায় বিএনপি-জামায়াত কখনও কোন ধরনের উদ্যোগ না নেয়ায় এমনটি হয়েছে। মিথ্যা ধুয়া তুলতে পারলেই এমন হয়। আর যারা এ সমস্ত অসৎ কাজকে প্রটেকশান দেয় তাদের বিবেক বলে কিছু নেই মনুষ্যত্ব মিথ্যার প্রহেলিকায় আবদ্ধ। ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েরাও ইদানীং সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব রটাচ্ছে।
বাঙালী যেমন বীরের জাতি- যখন ভাটা আসে তখন হরিণ শাবকের মতো এলিয়ে পড়ে। সবাই অবগত আছেনÑ ফেসবুকে যুদ্ধাপরাধী দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ছবি ফটোশপে কারসাজি করে দেখিয়ে চাঁদে যাওয়ার মিথ্যা গল্প সাজিয়ে কি তেলেসমাতি কারবারই না করল। অথচ যারা এ গুজব রটনাকারী ছিল তাদের কয়েকজন যদি শাস্তি পেত তাহলে কিন্তু পরবর্তী সময়ে অনেকেই সাহস পেত না এমনকি নওশাবা নামের এক মডেল কিছুদিন জেল খাটলে পরে কি শাস্তি পেয়েছে জানি না। কাঁচা-মিছে কথা যারা বলেন, তাদের অনেক সময়ে উর্ধতন কর্তৃপক্ষ নিজের অনুগত চামচা হিসেবে বিশ্বাস করেন আর যারা সৎ এবং সত্য বলেন, তাদের মিথ্যাবাদী বলে চিহ্নিত করা হয়। এটি একটি সামাজিক ব্যাধি এবং অসুস্থ প্রতিযোগিতা। এ প্রতিযোগিতা তখনই কাটবে- যখন মানুষ সত্য ও ন্যায়কে ব্যক্তি জীবনে আশ্রয় দেবেন এবং নিজেকে বিবেক দ্বারা পরিচালিত করবেন। যারা অর্ধেক শুনে ব্যাক বাইটিং করে, কানভারি করে থাকেÑ তারা নর্দমার কীটের চেয়েও ঘৃণ্য। এদের দ্বারা আর যাইহোক, কখনও সমাজ ও দেশের কল্যাণ সাধন হয় না। বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ড. ওয়াজেদ মিয়ার লেখা একটি দুষ্প্রাপ্য বইপড়ার সৌভাগ্য হয়েছিল। বইতে অত্যন্ত সুন্দরভাবে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে স্মৃতিচারণ করা ছিল। এ দুষ্প্রাপ্য বইটি যদি সংগ্রহ করে বাংলা একাডেমি বঙ্গবন্ধুর শতজন্মবার্ষিকীতে পুনঃমুদ্রণ করেন তাহলে নতুন প্রজন্মের কাছে অনেক কিছু শিক্ষণীয় থাকবে। অবশ্যই মেয়ে-ছেলে যারা মিথ্যা কথা বলে সুবিধা নেবেন তাদের বিচার করতে হবে।
আমি আজ স্মরণ করি, আমার শৈশবের স্কুল আওয়ার লেডি অব ফাতেমা কনভেন্টের কথা। যখন ১৯৭০-এ ভর্তি হই সেটিতে আমেরিকান সিস্টাররা ছিলেন অনেক দরদ দিয়ে পড়াতেন। কেজিতে পড়ার সময়েই তারা আমাদের শিখিয়েছিলেন-মেয়ে-ছেলের মধ্যে প্রভেদ না করতে বরং মেধা দিয়ে ও কী শক্তি খাঁটিয়ে স্বাভাবিক নিয়মে ভাল করতে। সেই শিক্ষণীয়টি কিন্তু আমার এখন পর্যন্ত পাথেয় হয়ে আছে। আবার নেটিভ খ্রীস্টানদের জন্য ১৯৭৩ সালে স্কুলটি থেকে আমেরিকান সিস্টাররা চলে গেলে, ১৯৭৪ সালে কুমিল্লা জিলা স্কুলে ভর্তি হই। মানস গঠনে আলো আর দ্যুতি ছড়িয়ে ছিল আওয়ার লেডি অব ফাতেমা কনভেন্ট। কুমিল্লা জিলা স্কুলে এসে একটু ধাতস্থ হতে সময় লেগেছিল। এক ধরনের লিডারশিপ গড়ার প্রয়াস ছিল। প্রতি বছর বনভোজন থেকে শুরু করে বিজ্ঞানমেলা নানা ধরনের প্রোগ্রাম থাকত। স্পোর্টস টিচার স্পোর্টসের বিষয় তত্ত্বাবধান করতেন এবং বিতর্কের পিরিয়ডে বিতর্ক হতো। কুমিল্লা জিলা স্কুলে নাইনে পড়ার সময়ে স্কুলের প্রিন্টেড ম্যাগাজিনে প্রথম আমার লেখা ছাপা হয়। আবার বার্ষিক অনুষ্ঠানে কবি নজরুলের ‘মানুষ’ কবিতা আবৃত্তির সুযোগ হয়েছিল।
নবী করিম (সা)-এর ওপর জীবনী লেখে পুরস্কার পাওয়ার সুযোগ হয়েছিল। সুস্থ প্রতিযোগিতা, মানসিক গঠনকে মজবুত করেছিল। আবার চট্টগ্রাম কলেজে পড়ার সময়েও বিজ্ঞান ও বিতর্ক প্রতিযোগিতায় নিজে অংশ নিয়েছি এবং পুরস্কার পেয়েছি স্পোর্টস, বনভোজন তো হতোই। আর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র-শিবিরের অত্যাচার ও দৌরাত্ম্যের মধ্যেও অর্থনীতি বিভাগের অনুষ্ঠানগুলো সম্পৃক্ত থাকতে পেরেছিলাম। সেখানে নাটক লেখার হাতেখড়ি হয়েছিল। এর ফলে অনেক ছোটখাটো জিনিসকে এড়িয়ে যেতে শিখেছি কিন্তু বাস্তবে এখন খালি পড়া আর সারাক্ষণ সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে ব্যস্ত থাকার কারণ ছাত্রছাত্রীদের অধিকাংশের মনমানসিকতা পরিবর্তিত হয়ে যাচ্ছে। অবশ্য মণিপুরী স্কুল ও কলেজে একই মলাটে আটি প্রোগ্রাম সম্প্রতি আমাকে আকৃষ্ট করেছে। ওপেন ক্রেডিট সিস্টেমে এখন বড়-ছোট জ্ঞান অনেক স্থানেই নেই। অথচ আমরা এক বছর সিনিয়রকে যেমন সম্মান করতাম তেমনি আমার এক বছরের জুনিয়রও সম্মান করে। ইদানীং নতুন যে ট্রেন্ড হয়েছে কেউ কাউকে সম্মান করলে ভাবে দুর্বলতা। আর এ তো জানা কথা, দুর্বলের ওপর চড়াও হতে কারও কোন সমস্যা হয় না। গোয়েবলসীয় কায়দা তো হিটলার চালু করে গিয়েছিলেন সেই চালু করা প্রয়াস বর্তমান বিশ্ব ব্যবস্থায় প্রযুক্তির অগ্রগতিতে আরও মারাত্মক আকার ধারণ করেছে।
অন্যায়কারীরা এখন যূথবদ্ধভাবে অন্যায় করে, আনন্দ করে। এত যে শিশু ও নারী নির্যাতন হচ্ছে সেগুলোর মধ্যে যেগুলো সত্য সেগুলো তদন্ত সাপেক্ষে শাস্তি হলে গুজবের হার কমবে বলে বিশ্বাস করি। সবচেয়ে বড় কথা এদেশের মেধাবী এবং তুলনামূলকভাবে উচ্চবিত্তের অনেকেই বিদেশে তাদের সন্তান-সন্তুতিকে পাঠিয়ে শান্তি পাচ্ছেন। অথচ দেশমাতৃকার প্রতি যে মমত্ববোধ, দেশপ্রেম, সামাজিক দায়িত্ব, পারিবারিক দায়িত্ব কোনটির প্রতি কারোর কোন লক্ষ্য নেই। এমন হলে আমাদের মেধাবী ভবিষ্যত প্রজন্মের অনেকেই চলে যাবে- অথচ তরুণ-তরুণীরাই আমাদের ভবিষ্যত নেতৃত্ব দেবেন। দেশ থাকলে জড়িয়ে যাচ্ছে অসৎ সঙ্গে। দেশের স্কুল-কলেজে ক্রীড়া বিজ্ঞান-সংস্কৃতি চর্চার বিকাশ করতে হবে। কি করে তরুণ-মেধাবীরা দেশে থাকেন সমাজের উন্নতিকল্পে কাজ করলে বেসরকারী খাত থেকে উৎসাহ দেয়া হবে- তার একটি ব্যবস্থা থাকা দরকার। যারা দেশে আছেন, তারা ভাল কাজ করলে অবশ্যই সমাজ কর্তৃক পুরস্কৃত হওয়া দরকার। অথচ কেউ যদি ভাল কাজ করতে যায় তবে গাছ শুদ্ধ উপড়ে ফেলার ব্যবস্থা করে দুষ্টুচক্র। এ ধরনের ঘৃণ্য দুষ্টুচক্রের দু-একজন কেষ্ট বিষ্টুকে চিহ্নিত করে শাস্তি দিলে কিন্তু যুব সমাজ সামনে এগুনোর পথ পেত। স্মার্টফোন অনেক তরুণ-তরুণীর সুকুমারবৃত্তি নষ্ট করে দিচ্ছে, মাদকাসক্ত করছে। অস্ত্র রাখার মাধ্যমে নিজের ক্ষমতা জাহির করতে সাহায্য করছে। স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে বেসিক ফোন ব্যবহারের উদ্যোগ নেয়া উচিত। ছাত্রলীগ দেশের উন্নয়নে অনেক ভাল কাজ করছে। অথচ সে সংবাদগুলো যত বেশি পরিবেশন করা হবে তত তারা ভাল কাজে উৎসাহিত হবে। সমাজে যারা মিথ্যার জাল পাতছে তাদের মধ্যে বিএনপি-জামায়াতের পরই আছে একদল বামপন্থী। সময় থাকতে এদের থেকে সাবধান হওয়া দরকার। গুজব প্রতিরোধে এবং সাইবার সিকিউরিটি যাতে কেউ লঙ্ঘন না করে সাইবার ক্রাইম না করে সে জন্য পত্রিকায় গণবিজ্ঞপ্তি দেয়া দরকার। গুজব রটনাকারী মিথ্যাবাদী চক্রকে শাস্তির আওতায় আনা উচিত।
লেখক : শিক্ষাবিদ ও অর্থনীতিবিদ