আজকের শিরোনাম :

বঙ্গবন্ধুর শতবর্ষে...

  প্রফেসর ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী

৩০ জুন ২০১৯, ১১:৩৬ | অনলাইন সংস্করণ

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৭ মার্চ, ১৯২০ সালে এই পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে আলোকিত করে জন্মগ্রহণ করেন। তার নেতৃত্ব গুণ শৈশবকাল থেকেই বিকশিত হয়েছে। বাংলার মানুষের মঙ্গল আকাক্সক্ষায় তিনি সদা ব্যাপৃত ছিলেন। উদার পিতৃগৃহে তিনি শৈশবের বন্ধুদের সঙ্গে পাড়া-প্রতিবেশীদের সুযোগ-সুবিধা, সুখ-দুঃখে ঝাঁপিড়ে পড়তেন। তার পিতা শেখ লুৎফর রহমান অম্লান বদনে তার কর্মকা-কে উৎসাহিত করতেন। ১৯২৯ সালে গোপালগঞ্জ পাবলিক স্কুলে তৃতীয় শ্রেণীতে ভর্তি হোন। ১৯৪২ সালে গোপালগঞ্জ মিশনারি স্কুল থেকে দক্ষতার সঙ্গে মেট্রিক পাস করেন। কলকাতার ইসলামিয়া কলেজ (বর্তমানে মাওলানা আজাদ কলেজ) থেকে ইন্টারমিডিয়েট এবং বিএ ডিগ্রী অর্জন করেন। ব্রিটিশরা চলে গেলে, পাকিস্তানী আমলে আইন শিক্ষার জন্য বঙ্গবন্ধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হোন। যিনি স্বভাবজাত নেতা, মানবকল্যাণে দূরদর্শী চিন্তা-চেতনার ধারক-বাহক, তিনি কখনও অন্যায় দেখে চুপ করে থাকতে পারেন না। আর তাই তো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবস্থায় চতুর্থ শ্রেণী কর্মচারীদের প্রতি অন্যায়ের বিরুদ্ধাচরণ করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সেদিন তার ওপর যে অন্যায় করেছিল, সেই পদঙ্খলন করতে ৬১ বছর লেগে গেছে। ২০১০ সালে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়- বলা হয় এটি অগণতান্ত্রিক এবং অন্যায্য। বঙ্গবন্ধুর ত্যাগ-তিতিক্ষা, মানুষকে মর্যাদাবান করে তোলা এক বিশেষ কর্মযজ্ঞে সর্বদা নিয়োজিত রাখতে সচেষ্ট ছিলেন। এ জন্যই বাঙালী জাতির পিতা হিসেবে তিনি ভূয়সী প্রশংসার দাবিদার। বাঙালী জাতির প্রতি তার ঔদার্য, স্নেহাশীষ এবং তাদের সকল সুখ-দুঃখের প্রতি সমদৃষ্টি জ্ঞাপন করাই ছিল যেন বঙ্গবন্ধুর এক বিশাল লক্ষ্য। সে লক্ষ্য পূরণে তিনি ছিলেন আপোসহীন। বঙ্গবন্ধুর সেই ঔদার্যকে ধারণ করে বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশকে সূর্যের উল্টো দিকের ছায়ার সম্মুখে এগিয়ে নিচ্ছেন। স্বাধীনতার পরবর্তীকালে বঙ্গবন্ধুর মাত্র সাড়ে তিন বছরের শাসনকালকে বলা যায় স্বর্ণ যুগ। যে বাঙালীর মোট জাতীয় আয়, ভোগ প্রবণতা, সঞ্চয় ছিল স্বল্প তাকে উচ্চমাত্রা দেয়ার জন্য বহুবিধ ব্যবস্থা তিনি গ্রহণ করেছিলেন। জাতির পিতার ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন, ‘ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠান গঠন করার সঙ্গে সঙ্গে বিরাট সাড়া পড়ে গেল ছাত্রদের মধ্যে। এক মাসের ভেতর আমি প্রায় সকল জেলায় কমিটি করতে সক্ষম হয়েছিলাম। ছাত্রলীগ গঠিত হয়। এ ছাত্রলীগের হাত ধরে কেবল ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষার মান উন্নয়ন নয়। যে জারজ পাকিস্তান ব্রিটিশরা কায়দা করে গঠন করেছিল, নানামুখী কর্মকাণ্ড ও ধাপে ধাপে রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান এবং পরবর্তীতে মুক্তি সংগ্রামের মাধ্যমে পাকিস্তানী হায়েনা এবং তাদের স্থানীয় দোসরদের হাত থেকে দেশের স্বাধীনতা প্রাপ্তিতে এক মাইল ফলকরূপে কাজ করে।’ বঙ্গবন্ধু তার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, ধীশক্তি ও মেধা-মননের মাধ্যম দেশের মানুষের কল্যাণের প্রতিটি স্তরে কাজ করেছেন। তাকে একদিকে পাকিস্তানপন্থী ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধে যেমন লড়তে হয়েছে তেমনি কট্টর বামপন্থীদের বিরুদ্ধেও লড়তে হয়েছে। তার এ লড়াইয়ে সাম্রাজ্যবাদী চক্র অংশ নিয়ে মর্মান্তিকভাবে পঁচাত্তরের বিয়োগান্তক ঘটনা ঘটায়। জাতির পিতা ও ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ পরিবারের অধিকাংশকে অবলীলায় হত্যা করে।

এই নির্মম হত্যাকান্ডের পর পরই ইনডেমিনিটি বিল পাস করে জিয়া গংরা। সেদিন শুধু অপরাধই করেননি- কুখ্যাত খুনীদের বিদেশে চাকরিসহ পৃষ্ঠপোষকতা করেছিলেন। তাদের এ কুকর্মে অনেকেই বেনিফিসিয়ারি ছিলেন। আজ বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়েছে। কেউ কেউ এখন শাস্তি ঘোষণার পরও ভিনদেশে থাকার কারণে শাস্তি পাননি। এখন সময় এসেছে যারা পরোক্ষভাবে বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল, যারা নানাভাবে হত্যাকারীদের উৎসাহিত করেছিলেন, পরিকল্পনা করেছিলেন, অর্থায়ন করেছিল এবং যারা বঙ্গবন্ধুর মর্মান্তিক মৃত্যুর পর আনন্দ উৎসবে মেতে উঠেছিলেন তাদের চিহ্নিত করা এবং তালিকা প্রকাশ করা।

ইতিহাসের প্রয়োজনেই ’৭৫-এর আগে এবং পরের ঘটনাপ্রবাহের সঙ্গে জড়িত মানুষগুলোকে চিহ্নিত করা এখন বড় দরকার হয়ে পড়েছে। কেননা এ সমস্ত কুলাঙ্গারকে দেখা যাচ্ছে, বিভিন্ন বড় বড় পদে আসীন হতে। এদের কেউ কেউ আবার বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী পালন কমিটিতে নিজেদের সম্পৃক্ত করার চেষ্টা করতে পারেন। যারা বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারকে অন্যায়ভাবে মিথ্যা অপবাদ দিয়েছেন তারা যদি নানা সুযোগে স্তাবকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয় তখন আশ্চর্যই লাগে। আজ এদের সুবাদেই মূল আওয়ামী লীগার ও আওয়ামী সমর্থকদের ত্রাহি মধুসূদন অবস্থা। এদের মধ্যে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার লোক আছেন। এরা সুবিধা নেয়, প্রত্যুত্তরে কিছুই দেয় না। একটি ছোট্ট উদাহরণ দিচ্ছি; নেতাজী সুভাষ চন্দ্রকে নিয়ে জি-বাংলা ভারতে কি চমৎকার সিরিয়াল হচ্ছে। অথচ দেশে এত আওয়ামী সমর্থক শিল্পবোদ্ধা, বেনিফিসিয়ারি থাকা সত্ত্বেও ভালবেসে কোন টিভি চ্যানেল কিংবা বিটিভি কোথাও বঙ্গবন্ধুর জীবন চরিত নিয়ে কোন সিরিয়াল তৈরি হয়নি। সরকারী নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও অধিকাংশ স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন সঠিকভাবে পালন করা হয় না। মনে আছে, আমি যখন প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলাম বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন পালন করায় সে সময়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা আমার ওপর ক্ষুব্ধ হোন। ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আমাকে সরাসরি বোর্ড মিটিংয়ে বলেছিলেন, শুধু এই কারণেই আপনাকে চলে যেতে হবে। অথচ কি আশ্চর্য, সে সময়ের বোর্ডের মেম্বার এখন চেয়ারম্যান। এভাবে যদি উদাহরণ টানা যায়।

কিছু দুর্বৃত্ত বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথ থেকে সরে গিয়ে অতিরিক্ত লোভ-লালসা এবং তাকওয়ায় মশগুল হয়ে গেছে। আমার পিতা শিক্ষাবিদ মোবাশ্বের আলী চট্টগ্রাম বেতারের সঙ্গে এক সাক্ষাতকারে আশির দশকে বলেছিলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ভাষা আন্দোলনে প্রত্যক্ষভাবে জেলে থেকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। একটি কুচক্রী মহল ওনার নামটি বেশ কিছু সময় লুকিয়ে রাখতে চেয়েছিল। ছয় দফা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর অবিস্মরণীয় নেতৃত্ব গুণের চিত্র ফুটে উঠেছে। এগারো দফায় তিনি সমর্থন দিয়ে দেশের মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। এদিকে আগরতলা মামলায় পাকিরা যেভাবে জুলুম করেছিলেন তাতে সেদিন বঙ্গবন্ধু পতœী শেখ ফজিলাতুন্নেছা অবিস্মরণীয়ভাবে বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা জানিয়েছিলেন। তার সহযোগিতা, সমর্থন ও সহমর্মিতা বঙ্গবন্ধুর কর্মকা-কে প্রজ্বলতি করেছিল। ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণকে প্রফেসর মোবাশ্বের আলী ‘বাংলাদেশের সন্ধানে’ গ্রন্থে বাঙালীদের জন্য মুক্তি সনদের ক্ষেত্রে ম্যাগনেকার্টা হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন। বস্তুত বঙ্গবন্ধুর যখন উচ্চারণ করেন ‘রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরও দেব। এ দেশের মানুষকেও মুক্ত করে ছাড়ব ইনশাআল্লাহ...।’ এখানেই তো সুস্পষ্টভাবে আত্মত্যাগের মাধ্যমে রাষ্ট্রকে স্বাধীন করার অভিপ্রায় ব্যক্ত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু একই ভাষণে যখন বলেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ তখন দ্বিধাহীনচিত্তে পরিস্ফুট হয়ে ওঠে স্বাধীনতাই বাঙালীর অভীষ্ট লক্ষ্য। এ লক্ষ্যে তিনি প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। আবার ২৫ মার্চ, ১৯৭১ এর ভয়াল কালরাতে, গণহত্যার সময় বঙ্গবন্ধু অকুতোভয়ে দেশবাসীর কথা ভেবেছেন। তাই তো পাকিস্তানিরা তাকে ধরার আগে ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরেই বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। আসলে দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতা হিসেবে একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের ঘোষণার মহেন্দ্র ক্ষণটি তিনি যথার্থভাবে নিরূপণ করেছিলেন।

বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানী কারাগারে নিঃশঙ্কচিত্তে কেবল বাঙালীর উন্নতি, আত্মমর্যাদা, মানবিকতার কথা ভেবেছেন। ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি দেশে ফিরে আসেন। এ দেশের ৯৮% প্রতিষ্ঠান শিল্প-কল-কারখানার মালিক ছিল পশ্চিম পাকিস্তানীরা। তাই তিনি জাপানী মেইজি সম্রাটদের মতো জাতীয়করণ করেছিলেন। তিনি নিরাপদ খাদ্য থেকে শুরু করে সমুদ্র সম্পদ, স্থল সম্পদসহ মানুষের সামষ্টিক, অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য দিন-রাত একাকার করে দিয়েছিলেন। ‘বাকশাল’ ছিল সাময়িক ব্যবস্থা যার মাধ্যমে সময়ের প্রয়োজনে একটি যূথবদ্ধ ব্যবস্থায় উন্নয়ন করা যায়। কিন্তু কুচক্রী মহল ঘৃণ্য কাজ করল। জিয়া, মোশতাক, ডালিম, রশীদ, মাহবুব আলম চাষী, তাহের উদ্দিন ঠাকুরসহ কুচক্রীরা যে ঘৃণ্য কর্ম করল তা পাকি বাহিনী সাহস পায়নি। রাজাকার-আলবদররা ত্রিশ লাখ শহীদ, দুই লাখ মা-বোনের ইজ্জত কেড়ে নিল। জিয়া ইনডেমনিটি বিল করল, এরশাদ কিন্তু রহিত করেনি। আবার যারা সেদিন ঘাপটি মেরে ছিল, তাদের ষড়যন্ত্রের মুখোশ নানা সময়ে পাল্টিয়েছে। দেশবাসী এদের অত্যাচারে জর্জরিত ছিল। খালেদার সংসার উনি বাঁচিয়েছিলেন-প্রতিদান দিলেন বঙ্গবন্ধুর মর্মান্তিক মৃত্যু দিবসে খালেদার ভুয়া জন্মদিন পালন করে। জিয়া-খালেদার অর্বাচীন সন্তান তারেক অর্বাচীনের যে সমস্ত ঘৃণ্য কথা বলে, বঙ্গবন্ধুর একনিষ্ঠ সমর্থক হিসেবে প্রত্যাশা একদিন বাংলার মাটিতে ঘাতক-দুর্নীতিবাজ তারেকের বিচার হবে। উন্নত বিশ্বে দেখা যায়, কেউ দুর্নীতি করলে তাকে শাস্তি পেতে হয়।

বঙ্গবন্ধুর মূল শিক্ষা ঔদার্য ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান। তার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে কয়েকটি সুপারিশমালা-

১. বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী পালন উপলক্ষে সর্বত্র নাগরিক কমিটি গঠন করা এবং বিশ্বস্ত বঙ্গবন্ধু প্রেমিকদের রাখা।

২. শিশু-কিশোরদের মেধা ও মননে বঙ্গবন্ধুর ঔদার্য ও দেশপ্রেম জাগিয়ে তোলা।

৩. যত ক্ষমতাধরই হোক, বঙ্গবন্ধুর প্রতি বিশ্বস্ত নয় কিন্তু বকধার্মিক তাদের অবশ্যই কোন উদযাপন কমিটির কোন পর্যায়ে রাখা উচিত নয়;

৪. অতি ডান বামদের থেকে সতর্ক থাকা বাঞ্ছনীয়।

৫. বঙ্গবন্ধুর জীবনীর ওপর ভিত্তি করে সিরিয়াল টিভিতে ছোটদের জন্য এবং আরেকটি বড়দের জন্য তৈরি করে সম্প্রচার করা উচিত।

৬. বঙ্গবন্ধুর চেয়ারে যারা আসীন হয়েছেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের বঙ্গবন্ধুর ওপর গবেষণাগুলো অবশ্যই DISSEMINATE করা উচিত।

৭. বঙ্গবন্ধুর আমলে যে সমস্ত অর্থনৈতিক উন্নয়ন হয়েছে কর্মযজ্ঞ পরিচালিত হয়েছে সেগুলো চলচ্চিত্র উন্নয়ন বিভাগ ডকুমেন্টারি তৈরি করতে পারে।

৮. বঙ্গবন্ধুর দর্শন, রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, মানুষের প্রতি ভালবাসা তাত্ত্বিক রূপের ওপর বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক কনফারেন্স দেশে-বিদেশে করা যেতে পারে।

লেখক : শিক্ষাবিদ ও অর্থনীতিবিদ।
[email protected]

এই বিভাগের আরো সংবাদ