আজকের শিরোনাম :

অসাম্প্রদায়িকতা, শান্তি-সম্প্রীতি রক্ষা ও উগ্রবাদ প্রতিরোধে বহুত্ববাদী সমাজ

  সঞ্জয় মজুমদার, সুমিত বণিক,

১২ জুন ২০১৯, ২০:২৪ | অনলাইন সংস্করণ

বাংলাদেশের সামাজিক সম্প্রীতি আজ বিপন্ন। দীর্ঘদিনের সামাজিক সম্প্রীতির কাঠামো যেন ভেঙে পড়ার উপক্রম। দুর্নীতি আজ সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকেছে, সাথে সাম্প্রদায়িকতা যোগ হয়ে চূর্ণ করে দিচ্ছে আমাদের সকল অর্জন। নাগরিকদের সুখ-দুঃখের চেতনাও যেন অস্ত্রের নীচে পড়ছে প্রতিদিন।

আমরা স্বাধীনতা অর্জনের চার দশকেরও বেশি সময় পার করে এসেছি। সেই ১৯৭১ সালে জন্ম নেওয়া মানুষটির বয়স আজ অর্ধ শতাব্দি হওয়ার পথে। সময়টা অনেক দীর্ঘ। যে রক্তস্নাত স্বাধীনতা যুদ্ধের মূলভিত্তি ছিলো, একটি উদার অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ, সেই দেশে কেন একজন নিরীহ মানুষকে ধর্মের নামে খুন হতে হয়? তাহলে এতো বছর পরে এসে তো প্রশ্ন উঠে আমাদের অর্জনটা তাহলে কি?ধর্মের নামে লেখক হত্যা, প্রকাশক হত্যা, বিদেশি হত্যা, পীর হত্যা, মঠ অধ্যক্ষ হত্যা আমাদের কোন বার্তা দেয়? জঙ্গি নাশকতা বা নাশকতার প্রচেষ্টাতো এখন রোজকার খবর প্রায়! কাগজ পড়ে বা ছবি দেখে, টিভিতে পরবর্তী রিপোর্টগুলো দেখে শিউরে উঠতে হয়। দেখেশুনে এও মনে হয় কারা কোথায় যেন তাদের পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে মেতে উঠেছে। সেই পরাজয় ১৯৭১-এ পরাজিত হওয়া।

 কিন্তু আমরা এই বিপ্রতীপ অবস্থার গাছটি কখনওই মুড়িয়ে ফেলতে পারিনি। যে দল বা যাদের আমরা জানতাম সা¤প্রদায়িক রাজনীতি করে না, তাদের বদলে যাওয়াও দেখছি। দেখছি নাগরিক সমাজের নির্লিপ্ততা। রাজনীতির তুখোড় চতুরতা বন্যার মতোই সর্বগ্রাসী। সমস্ত বাঁধ ভেঙে সে সর্বত্র ঢুকে পরে সব নীতিকেই ভেস্তে দেয়। কখনও ভাষা, কখনও ধর্ম, কখনও সমাজ, কখনও বিভিন্ন নাশকতার মাধ্যমে অশুদ্ধ ভাবনার প্রতিফলন হচ্ছে। অন্ধ ভাবাবেগের দ্বারা চালিত কিছু শ্রেণির মানুষ সমস্ত কিছুকে কুক্ষিগত করে রাখছে বা রাখতে চাইছে, তার নিজস্ব দলগত কোটরের মধ্যে।

আমাদের কে এই বিষয়টি বুঝার আগে, কিছু শব্দের মর্মার্থ অনুধাবন করতে হবে, যেমন-সাম্প্রদায়িকতা হচ্ছে এক ধরণের মনোভাব। কোন ব্যক্তির মনোভাবকে তখনই সাম্প্রদায়িক বলে আখ্যা দেওয়া হয় যখন সে এক বিশেষ ধর্মীয় সম্প্রদায়ভুক্তির ভিত্তিতে অন্য এক ধর্মীয় স¤প্রদায় এবং তার অন্তর্ভুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধচারণ এবং ক্ষতিসাধন করতে প্রস্তুত থাকে।

এ ক্ষেত্রে কোন ব্যক্তিবিশেষের ক্ষতিসাধন করার মানসিক প্রস্তুতি সেই ব্যক্তির সাথে সাক্ষাৎ পরিচয় অথবা বিরুদ্ধতা থেকে সৃষ্ট নয়। ব্যক্তিবিশেষ এ ক্ষেত্রে গৌণ, মুখ্য হলো সম্প্রদায়। ধর্মনিষ্ঠার সাথে সম্পর্ক আছে ধর্মীয় তত্ত্ব এবং আচার বিচারের। সা¤প্রদায়িকতার যোগ আছে স¤প্রদায়ের সাথে। অর্থাৎ ধর্মনিষ্ঠার ক্ষেত্রে ব্যক্তির নিজের আচরণ এবং ধর্মবিশ্বাসের গুরুত্ব বেশি। সা¤প্রদায়িকতার ক্ষেত্রে নিজের ধর্মীয় স¤প্রদায়ের প্রতি বিশেষ এক জাতীয় আনুগত্যের গুরুত্ব বেশি। এ ছাড়া সত্যকার ধর্মনিষ্ঠা পরকালমুখী। পরকালেই তার সত্যকার পুরস্কারের আশা। সাম্প্রদায়িকতার মুনাফা ইহলোকে। ধর্মনিষ্ঠার জন্য অন্যের বিরুদ্ধাচরণের প্রয়োজন নেই। ধর্মীয় উগ্রবাদ হলো- ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি ও ধর্মের অপব্যাখ্যা প্রদান করার মাধ্যমে সমাজে বিশৃঙ্খলা এবং অরাজকতা সৃষ্টি করা বা করার চেষ্টা।

মহান স্বাধীনতার স্বপ্ন ছিলো, সকল ধরণের বৈষম্য মুক্ত একটি সমাজ। যখন বৈষম্য মুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা হবে, তখন সা¤প্রদায়িকতা বা উগ্রবাদ, জঙ্গিবাদ কিছুই এখানে থাকবে না। সেই স্বপ্ন আমরা দেখি। বৈচিত্র্যময়তা ও বহুত্ববাদী চেতনা আমাদেরকে অন্যের স্বাতন্ত্র্য বা ভিন্নতাকে গ্রহণ করে নিতে শিক্ষা দেয়। ভাষা, সংস্কৃতি, জাতি-বর্ণ এগুলোকে ঘিরে আমাদের মধ্যে আমার মতবাদ-ই শ্রেষ্ঠ- এ ধরণের আবেগ ও অহমিকা সৃষ্টি হয়। বৈচিত্র্যময়তা ও বহুত্ববাদী চেতনা আমাদেরকে তার বাইরে দৃষ্টি ফেলতে শেখায়। কারণ, এই আত্মঅহম ও শ্রেষ্ঠত্ববোধই আমাদেরকে শ্রেণি, ধর্ম ও জাতিভেদবাদী, বর্ণবাদী ও লিঙ্গ-বৈষম্যবাদী করে তোলে। বৈচিত্র্যময়তা ও বহুত্ববাদী চেতনা আমাদেরকে আরো উদার ও মুক্ত হয়ে ভিন্নতর কোনো কিছুকে গ্রহণ করতে ও মানিয়ে নিতে শেখায়। তাই বলা হয়ে থাকে, ‘বৈচিত্র্যময়তা-ই সৌন্দর্য’।

বৈচিত্র্যময়তা বা ডাইভারসিটি বলতে সমাজে বিদ্যমান মানুষের মধ্যে লিংঙ্গ, শ্রেণি, ধর্ম, বর্ণ, ঐতিহ্য, ভৌগোলিক অবস্থান ইত্যাদি নানা কারণে বিদ্যমান ভিন্নতা ও বৈচিত্র্যকে বোঝানো হয়ে থাকে। এই ভিন্নতা সমাজ থেকে শুরু করে দল, গোষ্ঠী এমনকি ব্যক্তির মধ্যেও পরিলক্ষিত হয়। বৈচিত্র্য শব্দটির উৎপত্তি হয়েছে ‘ভিন্নতা’ শব্দটি থেকে। এই ভিন্নতা যেকোনো কিছুর মধ্যে হতে পারে; যেমন- সংস্কৃতি, ধ্যান-ধারণা, মূল্যবোধ, জীবনযাপন পদ্ধতি, শ্রেণি, মানুষের জীবনের লক্ষ্য ইত্যাদি। পাশাপাশি অবস্থানরত কোনো মানুষই একইভাবে মূল্যবোধ, আদর্শ বা ওপরে বর্ণিত বিষয়সমুহ ধারণ ও প্রদর্শন করেন না। বৈচিত্র্য বলতে বিভাজনকে বোঝায় না; এটা শুধুমাত্র ভিন্নতা বা বিচিত্রতাকে বুঝায়। বৈচিত্র্যময়তা বা ডাইভারসিটিই সৌন্দর্য্য। পৃথিবীর বা একটা দেশের বা সমাজের বা প্রকৃতির সবকিছু যদি একই রকম হতো তাহলে পৃথিবী-প্রকৃতি এত সুন্দর হতো না।

বৈচিত্র্যময়তা প্রত্যয়টি আরও যেসব বিষয় ধারণ করে তার মধ্যে রয়েছে ‘স্বীকৃতি’ ও ‘শ্রদ্ধা’। ডাইভারসিটি বা বৈচিত্র্যময়তা ধারণাটির সাথে অন্যকে মেনে নেয়া, স্বীকৃতি দেয়া ও শ্রদ্ধাবোধের বিষয়টি ওতোপ্রোতভাবে জড়িত। এটার অর্থ হলো, প্রত্যেক ব্যক্তিই অনন্য এবং আমাদের মধ্যকার ভিন্নতাকে প্রত্যেককেই স্বীকার করে নিতে হবে। এই স্বীকার করে নেয়া ও মেনে নেয়ার বিষয়টি হতে পারে জাতি, বর্ণ, ক্ষুদ্র জাতিসত্ত্বা, জেন্ডার, লিঙ্গ, অভিজ্ঞতা, আর্থ-সামাজিক অবস্থা, বয়স, শারীরিক সক্ষমতা, ধর্মীয় বিশ্বাস, রাজনৈতিক বিশ্বাস ও অন্যান্য মতাদর্শের ক্ষেত্রে। বৈচিত্র্যময়তা একে অন্যকে বুঝতে পারা এবং সাধারণ সহনশীলতার বিষয়। প্রত্যেক ব্যক্তির অন্তর্গত বৈচিত্র্যকে পরিপূর্ণ সম্মান করা ও বরণ করে নেওয়াও এর অন্তর্গত। বৈচিত্র্য শুধু বয়স, জেন্ডার সম্পর্ক ও জাতিবর্ণ ইত্যাদির মাঝেই নয়; বরং এটা আমাদের চিন্তা-প্রক্রিায়ার মাঝেও বিরাজমান।


একটি বহুত্ববাদী সামাজে নানা ধর্মের মানুষ মিলেমিশে থাকে। শুধু তাই না, শুধু ধর্মের কারণে পরস্পরের প্রতি ঘৃণা বিদ্বেষ না ছড়িয়ে, হিংসা ও হানাহানি না করে পরস্পরকে সহযোগিতা করে থাকে। এক ধর্মের মানুষ অন্য ধর্মের আচার-অনুষ্ঠানে বাঁধা না দিয়ে বরং অন্য ধর্মের আচার-অনুষ্ঠানে-উৎসবে সহযোগিতা করে থাকে। কারণ ধর্মের ভিত্তি হলো বিশ্বাস, যা একজন মানুষের ব্যক্তিগত বিষয়; অন্যদিকে উৎসবের ভিত্তি হলো আনন্দ, বন্ধন ও সম্প্রীতির লক্ষ্যে পারস্পরিক সম্মিলন। সেটা হতে পারে সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় বা জাতীয় যেকোনো ধরণের উৎসব।

আমরা একটি বহুত্ববাদী সামাজিক সংস্কৃতির উত্তরাধিকার। আমরা মুসলমান তো পাশের বাড়ির লোকেরা হিন্দু। অদূরেই বাস কয়েকঘর বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী। সে খ্রিষ্টান তো তার প্রতিবেশী নিরীশ্বর। বিভিন্ন ধর্মে বিশ্বাসী ও অবিশ্বাসী নির্বিশেষে পরস্পরের মধ্যে সামাজিক সৌহার্দ্য বৃদ্ধি ও সম্প্রীতির বন্ধন দৃঢ় করতে উৎসবগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। তাই উৎসব যে ধর্মেরই হোক না কেন একটি বহুত্ববাদী সামাজে আমরা সবাই মিলে সানন্দে তা উদযাপন করতে পারি। আবার, কোনো কোনো উৎসব বা দিবস কোনো ধর্মের মানুষের বা কোনো জাতির মানুষেরই নিজস্ব সম্পত্তি নয়; তা ওই দেশের সবার। এমনকি তাতে অন্য দেশের মানুষও অংশ নিতে পারে। যেমন : পহেলা বৈশাখ, ২১ শে ফেব্রয়ারি, বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবস, নবান্ন উৎসব প্রভৃতি।
প্রত্যেক ধর্মের ধর্মীয় সংস্কৃতির মধ্যে কিছু কিছু দিকে ভিন্নতা আছে। ভিন্নতা আছে উৎসবেও।

এমনকি একই ধর্মের দুটি উৎসবেও ভিন্নতা আছে। এই ভিন্নতাকে সমাজের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য হিসেবে দেখলে কোনো ধর্মেরই কোনো সমস্যা হয় না, বরং অন্যের উৎসবকেও তখন নিজের বলে ভাবা যায়। এই ধারণাটিই সর্বজনীনতার ভিত্তি। সর্বজনীনতা মানে হলো, যা সকলের জন্য হিতকর; যাতে বিশৃঙ্খলার কোনো স্থান নেই। এই ধারণা অন্যের ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের বিরোধী। ধর্ম নিয়ে যেসব বাড়াবাড়ি করা হয়, তা পরমতসহিষ্ণুতার অভাব, সাম্প্রদায়িক মনোভাব ও ধর্মীয় অপব্যাখ্যা বা বিভিন্নমুখী ব্যাখ্যার কারণে হয়ে থাকে। একটি বহুত্ববাদী সামাজ অন্য ধর্মেরপ্রতি সহিষ্ণু আচরণ করতে শেখায়। কিছু কিছু মানুষ ও গোষ্ঠী নিজেদের ধর্মকেই কেবল সত্য, বড় ও শ্রেষ্ঠ মনে করে এবং ফলে অন্যের ধর্ম পালনের অধিকার হরণ করতে চায়।

তাছাড়া, ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ির পেছনে রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে ক্ষমতা দখল এবং অন্যের সম্পদ কেড়ে নিয়ে সম্পদশালী হওয়ার দূরভিসন্ধিও থাকে। কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ এক বার বলেছিলেন, ‘জঙ্গলে একটা বাঘ আর একটা বাঘকে ভয় পায় না। কিন্তু সমস্যা হয়ে গিয়েছে যে, আমাদের সমাজে একটা মানুষ আর একটা মানুষকে ভয় পেতে শুরু করেছে। মানুষ মানুষের বিরুদ্ধে আঘাত হানতে শুরু করেছে। "আমার যা ভালো লাগে অন্যের তা ভালো লাগে না -এই নিয়েই পৃথিবীতে যত রক্তপাত"। আর ঢোল পিটিয়ে, অন্যের মগজে জ্বালা ধরিয়ে নিজেরটাকে শ্রেষ্ঠ বলাটা সেই ভালো লাগা খারাপ লাগায় আরেক প্রস্থ ঘি ঢেলে দেয়াই শুধু হয়, মঙ্গল কিছু সাধিত হয় না, বরং উল্টোটিই ঘটে।’ তাই সহনীয় সমাজ গড়তে, বিবেককে জাগ্রত করতে বহুত্ববাদী সমাজ গড়ে তুলতে হবে। আমরা স্বপ্ন দেখি,সকল ধরণের বৈষম্য মুক্ত একটি সুন্দর সমাজ। কোনো ধরণের বৈষম্য যখন থাকবে না তখন আসলে একটি সমাজ শান্তি-স¤প্রীতিতে ভরে উঠবে এবং সবাই সেখানে সুন্দর ভাবে একসাথে বসবাস করবে।

আজকের প্রেক্ষাপটে আমরা যদি দেখি যে, চার পাশে শুধু মাত্র বাংলাদেশ নয়, এটিকে শুধু মাত্র বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে দেখার সুযোগ নেই বা কোনো একটি নির্দিষ্ট ধর্ম বা কোনো একটি জাতি গোষ্ঠী কেন্দ্রিকও না। এটির সীমা রেখা আসলে সারা বিশ্বব্যাপী বিস্তৃত এবং এর প্রেক্ষাপট অনেক বেশি বিস্তৃত। সা¤প্রতিক সময়ে আমরা তরুণদের জঙ্গিবাদে জড়িয়ে যাবার ঘটনা দেখেছি। হলি আর্টিজানের ঘটনা এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য। এটা আমাদের জন্য ভীষণ উদ্বেগের বিষয়। আমরা এই উদ্বেগ থেকে বেড়িয়ে আসতে চাই। সুস্থ্য সাংস্কৃতিক পরিম-ল গড়ে উঠুক এবং চর্চা অব্যাহত থাকুক। সবাই মিলে শান্তি সম্প্রীতিতে বেঁচে থাকব এবং ভালোবাসা দিয়ে এই পৃথিবীটাকে সকলের বাসযোগ্য করে গড়ে তুলবো, সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবো।

সর্বোপরি,একটি সুন্দর সমাজ বিনির্মাণের লক্ষ্যে সহিংস চরমপন্থার বিপরীতে শান্তি, সম্প্রীতি, পরমতসহিষ্ণুতা এবং বৈচিত্র্যময় মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার জন্য সকলের সচেতনতা ও জ্ঞান বৃদ্ধি করা একান্তপ্রয়োজন এবং ধর্মীয় চরমপন্থা প্রতিরোধে পরিবারে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ও সামাজিক নেটওয়ার্কে সরকার ও সমাজের সচেতন নাগরিকদের সক্রিয় ভূমিকা রাখার বিকল্প নেই।

লেখকদ্বয় : উন্নয়নকর্মী,

এবিএন/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ